পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় - চুলকানি পুরুষাঙ্গে ইনফেকশন

প্রিয় পাঠক মন্ডলি আজকের আলোচনা করব পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে প্রায় অনেক ব্যক্তি এই সমস্যার সাথে সম্পর্কিত। অনেকে অনেক রকমের চিকিৎসা খোঁজেন কিন্তু পান না। তাই পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় - চুলকানি পুরুষাঙ্গে ইনফেকশন
পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় এবং এর পাশাপাশি অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায় এবং চুলকানি দূর করার কি কোন ক্রিম রয়েছে? এই সকল বিষয় সম্পর্কে যদি পুরোপুরি জানতে চান তাহলে পুরো পোষ্টটি না টেনে বিস্তারিতভাবে পড়তে থাকুন। 

অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায়

আমাদের মধ্যে প্রায় কম বেশি সকলেই অন্ডকোষে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে খুব বেশি খোঁজাখুঁজি করতেছি। অর্থাৎ কিভাবে আমরা অন্ডকোষে চুলকানি দূর করব এই বিষয় নিয়ে অনেক চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছি অনেক জায়গায় গিয়েছি কিন্তু এই সমস্যা দূর করার উপায় আমরা অনেকেই খুঁজে পাচ্ছি না। 

আর আজকে আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি কিভাবে আপনারা অন্ডকোষের চুলকানি দূর করতে পারবেন বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় কি এই সম্পর্কে। তাই জেনে আসি চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে। আসলে মূলত আমাদের অন্ড থলিতে ফাংগাল ব্যাকটেরিয়া নামক সংক্রান্ত সংক্রমনের কারণে মূলত অন্য কোষে বাউন্ডার থলিতে চুলকানি হয়। 
আর যখনই আমরা এই অন্ডকোষের চুল কাঁদে লাগবো কিংবা চুলকায় তখনই এটি উপরের শুকনা যে চামড়া রয়েছে এই চামড়াটি ছিলে চলে আসে। এর ওপর আবার গরমকাল গরমকাল আসলেই মূলত আপনাকে অনেকগুলা নিয়ম মেনে চলতে হবে, যদি এই সকল নিয়মগুলো না মেনে চলেন তাহলে আপনার অন্ডকোষে চুলকানি ভালো হবে না। সে নিয়মগুলা হলো,
  • আপনি অবশ্যই যদি আপনার অন্ডকোষে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে আপনি কখনো গোসলের সময় সেই স্থানে সাবান ব্যবহার করবেন না।
  • আপনি অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আন্ডারওয়ার ব্যবহার করবেন।
  • আপনি যে আন্ডারওয়ারটি ব্যবহার করবেন সেটি যেন সব সময় ভিজে এবং সেতস্যাঁতে হয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
  • আপনার যদি অন্ডকোষে চুলকানি হয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনাকে রানের চিপাই চিপাই যদি ঘেমে যাই সেটি পরিষ্কার করতে হবে, গোসলের সময় ভালোভাবে।
  • আপনাকে অবশ্যই প্রত্যেক সাত থেকে ১৪ দিন পর পরই আপনার অবাঞ্চিত লোমগুলো পরিষ্কার করতে হবে।
  • আপনার যদি অন্ডকোষে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে সব সময় ঢিলা ঢালা প্যান্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • আপনার যখন অন্ডকোষে চুলকানি শুরু হবে তখন আপনি অবশ্যই সেখানে খুব বেশি হাত দিয়ে চুল পাবেন না, এতে করে আপনার হাতের ময়লা ইনফেকশন হতে পারে।
  • আপনি অবশ্যই চেষ্টা করবেন প্রত্যেকদিন করে দুই থেকে তিনবার নারিকেলের তেল ব্যবহার করার অন্ডকোষে।
  • আপনার যদি অন্ড থলেতে চুলকানি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি গোসলের পর .২ থেকে ৩ বার করে ফাঙ্গাস ক্রিম ব্যবহার করবেন।
আশা করি এই নিয়মে যদি আপনি ক্রিম এবং নারিকেল তেল ব্যবহার করেন এবং এই নিয়মে যদি আপনি চলাফেরা করতে পারেন তাহলে আপনার অন্ডকোষের চুলকানি খুব দ্রুতই সেরে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন অন্ডকোষের সুলবানি দূর করার উপায় বা পুরুসাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে।

গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঔষধের নাম

আমাদের মধ্যে এখন প্রায় প্রত্যেকটা ছেলে এবং মেয়েদের গোপনাঙ্গে চুলকানি হয়ে থাকে। অর্থাৎ আমরা প্রায় সকলেই এখন এই সমস্যাটার সাথে জড়িত। আমরা অনেকেই জানিনা কিভাবে আমরা আমাদের গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করতে পারবো বা কোন কোন ঔষধ খেলে আমরা আমাদের গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করতে পারবো। চলুন আজকে জেনে আসি তাহলে গোপনাঙ্গে চুলকানি দূর করার উপায় সম্পর্কে বা গোপনাঙ্গের চুলকানি দূর করার ঔষধের কিছু নাম জেনে আসি।
  • Shafi Tablet
  • Oradin Tablet
  • Ebatin Tablet
  • Togent Tablet
  • Fexo Tablet
  • Ezex
আশা করি এই সকল ঔষধ গুলা ব্যবহার করলে, আপনি আপনার পুরুষাঙ্গের চুলকানি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন। তবে একটা কথা মাথায় রাখতে হবে এ বিষয়টা সবসময় সতর্ক থাকবেন যে বিশেষজ্ঞ কোন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এ সকল ওষুধগুলো ব্যবহার করা তেমন একটা ঠিক হবে না। 
তবে ব্যবহার করতে পারবেন, কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এ ঔষধ গুলা ব্যবহার করাই আপনার জন্য ভালো হবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি হলে এর জন্য আমরা দায়ী থাকবো না।

চুলকানি দূর করার ক্রিমের নাম

চুলকানি এই কথাটার সাথে কম বেশি আমরা সকলেই পরিচিত। কারণ বর্তমান সময়ে চুলকানি আমাদের প্রায় প্রত্যেকটা ব্যক্তি হয়ে থাকে। আর এটি হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যার মধ্যে আপনার যদি চামড়ার গঠনগত কোনো পরিবর্তন হয় তখন আপনার চুলকানি হতে পারে। এছাড়াও যদি আপনার কোন সময় নার্ভ সিস্টেমের কোন রকমের সমস্যা হয়। 

এই সমস্যার কারণে অনেক সময় চুলকানি হয়ে থাকে। তাছাড়া যদি কারো সাইকোজেনিক সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে অনেক সময় এই চুলকানি হয়ে থাকে এবং নিউরোলজি সমস্যার কারণেও এই চুলকানি হয়। তাছাড়া সুলতানের বিভিন্ন ধরনের কারণ রয়েছে যেগুলো কারণে আমাদের সব সময় চুল চাপে থাকে শরীরের যেকোন চাপা চাপায়। 

আর বেশিরভাগ সময়ই এই চুলকানি গোপনাঙ্গে হয়ে থাকে। তবে সমস্যাটা শুধু ছেলে দেরি নয়, এটি ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। তো চলুন জেনে আসি যে চুলকানি দূর করার জন্য আপনি কি কি ক্রিম ব্যবহার করবেন, এই সম্পর্কে চলুন জেনে আসি কয়েকটি চুলকানি ভালো করার ক্রিমের নাম সম্পর্কে।
  • Afun Cream .
  • Fanjidal, H' Cream.
  • Betameson CL' Cream.
  • Bilanex 20' cream.
আশা করছি যে এইগুলা ক্রিম যদি আপনারা ব্যবহার করতে পারেন সঠিকভাবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করলে আরো ভালো হয় যদি এগুলার সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনারা খুব দ্রুত চুলকানি দূর করতে পারবেন, আপনাদের শরীর থেকে। 

এবং প্রত্যেকটা চাপায় চাপায় যে চুলকানি গুলো ছিল, ওই সকল চুলকানি গুলো দূর হয়ে যাবে। তো আশা করছি ধারনা পেয়েছেন যে পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় কি এবং কোন কোন ক্রিম ব্যবহার করে চুলকানি দূর করতে পারবেন।

পুরুষের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি কেন হয়

এই প্রশ্নটা আমাদের কমবেশি প্রায় সকলের মধ্যে জাগিয়ে যে পুরুষের পোশাকে রাস্তায় চুলকানি কেন হয়? তো আজকে চলুন জানবো যে পুরুষের প্রসবের রাস্তায় কেন চুলকানি হয় এবং কি কি কারণ হওয়ার এই সম্পর্কে। তো পুরুষের প্রসবের রাস্তায় চুলকানি হতে পারে এটার এটার বিভিন্ন কারণ রয়েছে যেমনঃ
  1. এলার্জি জনিত কারণেঃ যাদের শরীরে এলার্জির পরিমাণ অনেক বেশি তারা যদি তাদের শরীরে সাবান কিংবা ডিটারজেন্ট কিংবা অন্যান্য প্রসাধনীগুলোর যেকোনো প্রসাধনে যদি তাদের মূত্রথলীতে যদি ব্যবহার করে তাহলে ওই সময় রাস্তায় চুলকানি হতে পারে।
  2. ড্রাই স্কিন জনিত কারণেঃ তাদের মতো নানীর অনেক সময় যাদের প্রসবের রাস্তা শুষ্ক অর্থাৎ খসখসে হয়ে থাকে তখন ওই সময় প্রসাব এর রাস্তায় চুলকানি হতে পারে
  3. ইনফেকশন জনিত কারণেঃ পুরুষের পোশাকের রাস্তায় চুলকানি হওয়ার অন্যতম একটি কারণ যদি ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস সংক্রমণ হয়ে থাকে। যদি কারো ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস সংক্রমণ করে থাকে তাহলে তাহলে এক্ষেত্রে তাদের প্রসাবের রাস্তায় চুলকানি হতে পারে।
  4. প্রদাহ জনিত কারণেঃ অনেক সময় অনেক পুরুষের ত্বকের মধ্যে মূত্রনালীতে প্রদাহ হয়ে থাকে। আরে প্রদাহ হওয়ার কারণে অনেক সময় চুলকানি হয়ে থাকে প্রসাবের রাস্তায়।
  5. ছত্রাক সংক্রমণের কারণেঃ অনেক সময় এই কারণেও হয়ে থাকে প্রসবের রাস্তায় যদি ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয় কিংবা মহিলাদের ক্ষেত্রে যদি আন্ত সত্তা হরমোন গ্রহণের সময় পিএইচ এর ভারসাম্য পরিবর্ত হয়ে যায় তখন সেটি অনুকূলে না থাকার কারণে সংক্রমণ হয়ে যায় এবং প্রসাদের রাস্তায় চুলকানি হয়ে যায়।
তো আশা করি জানতে পেরেছেন যে পুরুষের পোশাকের রাস্তায় চুলকানি কেন হয় এবং কি কি কারণ রয়েছে বা পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায়এই সম্পর্কে

মলদ্বারে চুলকানি দূর করার উপায়

মলদ্বারে চুলকানি এটা প্রায় একশোর মধ্যে ৯৯% ব্যক্তিটি এই সমস্যাটি রয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই জানিনা যে এই সমস্যাটি কিভাবে দূর করতে হয়। মলদ্বারের চুলকানি মূলত দূর করার উপায় কি? মলদ্বারের স্নায়ুতন্ত্রের পাঁচুজের কারণে অনেক সময় এটি হয়ে থাকে। তবে সকলেরই উচিত যে এটি যখন অল্প অল্প থাকবে তখনই এটির চিকিৎসা করার। 

কেননা এটি যখন ধীরে ধীরে বড় আকারে রূপ নেবে তখন এটি অনেক ক্ষতিকারী হতে পারে আপনার জন্য, আর এর পাশাপাশি আপনাকে অবশ্যই সঠিক খাবার খেতে হবে অর্থাৎ যেকোনো ধরনের খাবার জাঙ্ক ফুড জাতীয় খাবার আপনাকে কম খেতে হবে এবং রাফেজ জাতীয় খাবার গুলো আপনাকে সবচেয়ে বেশি খেতে হবে যদি আপনি মনরে চুলকানি দূর করতে চান। 

এবং আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ মলদ্বারের মাংসপেশির মধ্যে ফাংশনাল সমন্বয়ের অভাবের কারণে এটি হয়েছে কিনা এটা ঠিক ঠাক ভাবে পরীক্ষা করতে হবে, আর এজন্য আপনাকে মলদ্বারের ভেতরে একটি কপি পরীক্ষা করতে হবে। করে আপনাকে অবশ্যই চিকিৎসা করতে হবে। 

বিভিন্ন ধরনের ঔষধ কিংবা লোশন ব্যবহার করে এটির উপকার পাওয়া যায় কম বেশি। এমনকি এটি ইনজেকশনের মাধ্যমেও সেরে তোলার চেষ্টা করা হয়। আর এজন্য ডাক্তারেরা সবসময় পরামর্শ দেন যে যখনই এই সমস্যাটা আপনার ছোট ছোট থাকবে তখনই আপনি এর চিকিৎসা করবেন কেননা যখন বড় হয়ে যাবে, এই সমস্যাটি অর্থাৎ মলদ্বারের এই চুলকানির সমস্যাটি, 

তখন ধীরে ধীরে ওই জায়গাতে ফোসকা পড়ে থাকবে। এবং সেখানে তখন অপারেশন করে সেটা চামড়া পরিবর্তন করতে হতে পারে। তাই আপনি যদি মলদ্বারের চুলকানি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখি চলতে হবে এবং এর পাশাপাশি আপনাকে সবসময় এলার্জি জাতীয় যে কোন খাবার থেকে আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে। 
তাহলে আশা করি আপনি আপনার মলদ্বারের চুলকানি খুব সহজে দূর করতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি অবশ্যই ভালো কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন জীবনে চুলকানির জন্য প্রযোজ্য। তো পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় এর পাশাপাশি মলদ্বারের চুলকানি কিভাবে দূর করতে পারবেন বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

সর্বশেষ পরামর্শ

প্রিয় পাঠক, আজকে তাহলে জানতে পারলেন পুরুষাঙ্গের চুলকানি দূর করার উপায় কি এ সম্পর্কে। এবং এর পাশাপাশি জানতে পারলেন মলদ্বারের চুলকানি কিভাবে দূর করবেন বা কোন কোন ক্রিম ব্যবহার করে আপনার চুলকানি খুব সহজেই দূর করতে পারবেন, 

তো আজকের আমাদের পুরো পোস্টটি যদি পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন। এবং আপনারাও আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারাও পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পার।। আজকের মত আপনাদের সুস্থতা কামনা করে এখানে শেষ করছি, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url