দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আজকে আমরা জানবো যে দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় কি। আসলে আমরা কম বেশি সকলেই দিনের বেলা কাজ করি, কিন্তু দিনের বেলা কাজ করার মধ্যে যদি ঘুম চলে আসে তাহলে কোন কাজই হয় না। এজন্য চলুন জেনে আসি দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় কি।
দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়
ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক কোনো উপায় রয়েছে? কিংবা অনেকেই অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায় সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তো চলুন অতিরিক্ত ঘুম আপনি আপনার চোখ থেকে কিভাবে দূর করবেন, এবং ঘুম কমানোর কি ওষুধ আছে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।

ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক উপায়

আমরা সকলেই রাতে ঘুমাই এবং দিনের বেলা কাজ করে থাকি। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় রাতে খুব তাড়াতাড়ি ঘুমানো যায় না, এজন্য দিনের বেলায় কাজের মধ্যে প্রচন্ড ঘুম চেপে আসে। আবার অনেক সময় দেখা যায় ভোরের বেলা ঘুম থেকে ওঠার জন্য অ্যালার্ম দিয়ে থাকি, এলার্ম বেজে যায় কিন্তু আমাদের ঘুম ভাঙতে চায় না। কিন্তু যখন খুব কষ্ট করে ঘুম থেকে উঠি, দেখা যাচ্ছে কিছুক্ষণ পর আবার চোখে ঘুম থেকে আসে।তো আপনি আপনার প্রচন্ড ঘুম কমানোর জন্য কি কি উপায় অবলম্বন করবেন। এর মধ্যে ঘুম কমানোর প্রাকৃতিক কিছু উপায় সম্পর্কে চলুন জেনে আসি।

পানি খাওয়াঃ আপনি প্রত্যেকদিন ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস থেকে দুই গ্লাস পর্যন্ত পানি খেয়ে নেবেন। কারণ পানি আপনার শরীরকে পুরোপুরি সতেজ করে তুলবে। এমনকি আপনার মস্তিষ্কটাও উজ্জীবিত করে তুলবে। তাছাড়া আপনার ঘুম ঘুম যে ভাবটা থাকে এটা অনেকটা কেটে যাবে। তাছাড়াও যদি আপনার ঘুম প্রচন্ড পরিমাণে লেগেই থাকে, তাহলে ওই সময় আপনি পানি আপনার চোখে ছিটে মারবেন। 

এতে করে আপনার চোখের ঘুম অনেকটা কেটে যাবে, এরপরে ঘুম থেকে উঠে আপনি গরম পানি দিয়ে গোসল করুন, কারণ ভালোভাবে গোসল করার ফলে এটি আপনার শরীরকে অনেকটা ফ্রেশ করে তুলবে। আর এছাড়া যে আপনি এলার্ম টা দিয়ে রাখবেন আপনার ফোনে, এটা যেন খুব বেশি পরিমাণে জোরে না হয় যেন আপনার প্রাণের মধ্যে সরাসরি বেজে ওঠে। 

এমন শব্দ সেট করবেন যেটা আপনার ঘুম ভাঙতে খুব কষ্টদায়ক হবে না। আর যখন আপনি গোসল করতে যাবেন গোসল করার পানির মধ্যে বালটির মধ্যে অল্প করে গোলাপ জল পানি মিশিয়ে নিবেন। কারণ গোলাপ জল আপনার শরীরকে অনেকটা সতেজ করতে সহায়তা করবে।

চা/কফি খাওয়াঃ আপনি সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে চা কিংবা কফি অবশ্যই খাবেন। কারণ এটি আপনার সকালে ঘুম ভাঙতে অনেকটা সাহায্য করবে। আর তাছাড়া যদি দুপুরের দিকে আপনার চোখে ঘুম চলে আসে, তাহলে তখন আপনি আরো একবার চা কিংবা কফি খেয়ে নিবেন। তবে সবসময় চেষ্টা করবেন সন্ধ্যাবেলা চা না খাওয়ার। কারণ সন্ধ্যার সময় যদি আপনি চা খান তাহলে সেটা আপনার রাতের ঘুম আসতে বাধা প্রদান করবে। 

এজন্য অন্তত রাত্রে শোবার ৬ থেকে .৭ঘন্টা আগে চা খাবেন না। এজন্য আপনাকে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যেটি আপনার শরীরে এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করবে। যেমন সেটি হতে পারে রুটি কলা কিংবা টক দই ফলসহ বিভিন্ন রকমের এনার্জি জাতীয় জিনিস। যেগুলা খেলে কি না আপনার ঘুম সহজে চলে আসবে। সবসময় হালকা জিনিস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কেননা এতে আপনার রাত্রে ঘুমই লাগছে হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।

রাতে ভালো করে ঘুমানোঃ আপনার সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে দরকার। আপনি যদি প্রত্যেকদিন সকালে খুব তাড়াতাড়ি উঠতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে রাত্রে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়তে হবে। কারণ রাত্রে ঠিকমতো ঘুম হলেই আপনি সকালবেলা এনার্জি সহকারে কাজ করতে পারবেন আপনার সকালে কোন ঘুম আসবে না। 

সব সময় মনে রাখবেন সারাদিন কাজ করার পরে রাত্রে আপনার শরীরকে রেস্ট দেওয়া দরকার। আর এই রেস্ট আপনি যদি আপনার শরীরকে না দেন তাহলে আবার যদি কাজ শুরু করেন তাহলে এটি আপনার সারাদিনের কাজ করতে ক্লান্তিতে শেষ করে দিবে। এজন্য আপনার শরীরকে প্রত্যেকদিন রাত্রে এনার্জি টিভ করে নিবেন, যাতে আপনার শরীরের সকালে কাজ করতে কোন বাধা না হয়।

ব্যায়াম করুনঃ আপনার শরীরের ফিটনেস বাড়াতে অবশ্যই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করা উচিত। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যায়াম করুন দৌড়াতে থাকুন। এজন্য আপনি বাড়িতেই শরীরচর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি কিনে রাখুন। এ সকল যন্ত্রপাতি দিয়ে ব্যায়াম করতে যদি পারেন, 

এবং এর পাশাপাশি যদি জিমে যাওয়ার সময় পান তাহলে অবশ্যই আপনি জিমে যেতে পারেন, এবং এর সাথে সাথে মেডিটেশনও করতে পারে্ন, এটা আপনার শরীরের জন্য অনেকটা উপকারী। আপনাকে বেশিক্ষণ করার দরকার নেই অন্তত প্রত্যেকদিন সকালে ১০ থেকে ২০ মিনিট করে মেডিটেশন করুন।

ফোন বন্ধ করে ঘুমানঃ আপনি যখন রাত্রে ঘুমাতে যাবেন তখন আপনি ফোন বন্ধ করে ঘুমাবেন। কারণ ফোন যদি খোলা থাকে তাহলে আপনার কখনোই তাড়াতাড়ি ঘুমানো হবে না। আর যদি আপনি তাড়াতাড়ি না ঘুমান তাহলে দেরি করে ঘুমান তাহলে তখন সকালে উঠে আপনার চোখে প্রচন্ড পরিমাণে ঘুম চাপবে। 

এজন্য আপনাকে খুব দ্রুত ঘুমিয়ে যেতে হবে রাত্রে। এবং সবসময় মনে রাখবেন সারাদিন আপনার শরীরটা অনেক পরিশ্রমের পরে রাতেই রেস্ট নেওয়ার সময় পাই। এজন্য প্রত্যেকদিন রাত্রে ফোন বন্ধ করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়বেন তাহলে আপনি সকালে দ্রুত তাড়াতাড়ি উঠতে পারবেন এবং আপনার কোন ঘুম ধরবে না।

আশা করি বুঝতে পেরেছেন দিনের বেলায় ঘুম দূর করার প্রাকৃতিক উপায় অর্থাৎ দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায়

সকালের ঘুম দূর করার উপায়

সকালের ঘুম দূর করার বিভিন্ন রকমের উপায় রয়েছে। আজকে জেনে আসি তাহলে সকালে ঘুম দূর করার উপায় কি? অর্থাৎ কি কি উপায়ে আপনি আপনার সকালের ঘুম দূর করতে পারবেন। আসলে আপনার চোখে ঘুম দূর করার অন্যতম চিকিৎসা হচ্ছে আপনাকে রাতে ভালো করে ঘুমাতে হবে। যদি আপনি রাতের বেলা তাড়াতাড়ি ঘুমান বা ভালো করে ঘুম হয় তাহলে আপনার সকালে ঘুম কখন আসবে না। এজন্য সর্ব প্রথমে আপনাকে রাতের বেলা সঠিকভাবে ঘুমানোর প্ল্যান করতে হবে। এরপরও চলুন জেনে আসি সকলের ঘুম দূর করার উপায়।

রাতে ভালোভাবে ঘুমানোঃ দিনের বেলায় ঘুম ধরার অন্যতম একটি বড় কারণ হলো তাড়াতে ভালোভাবে ঘুম না হওয়া। আপনাকে সর্বোচ্চ রাতের সাত থেকে আট ঘন্টা করে ঘুমাতেই হবে। রাত্রে বেলা যদি আপনি পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমিয়ে নেন তাহলে সকালবেলা আপনার ঘুম ধরবে না।

চা-কফি পান করুনঃ আপনি সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই, ফ্রেশ পানি পান করবেন। এর পরে আপনি তা কিংবা কফি উভয়েই একটা না একটা খাবেন। এতে করে আপনার ঘুম অনেকটা কেটে যাবে।

একটু ঘুম পেরে নিনঃ আপনার যদি সকালে পছন্দ পরিমাণে ঘুম পায় সে ক্ষেত্রে আপনি ২০ থেকে ৩০ মিনিট ঘুমিয়ে নিন। এতে করে আপনার শরীর অনেকটাই আলসেমি ভাব কমে যাবে।

কাজের ফাঁকে বিরতিঃ আপনি সকালে উঠে যে কাজটাই করুন না কেন এখন বা সারাদিনে যে কাজটাই করুন না কেন, কাজের মধ্যে একটু করে ব্রেক দিবেন বিরতি দিবেন। এবং উঠে গিয়ে একটু হাটাহাটি করে আসবেন এতে করে আপনার ঘুম কেটে যাবে।

ব্যায়াম করা শুরু করুনঃ আপনি যদি দিনের বেলায় ঘুমাতে চান, তাহলে আপনাকে প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যান করতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। পুশ আপ করতে হবে পা উঠানামা করতে হবে জগিং করতে হবে এই সকল ব্যায়াম গুলো করতে হবে।
আশা করি জানতে পেরেছেন সকালে ঘুম দূর করার উপায়। অর্থাৎ সারাদিনে আপনি আপনার, দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে।

পড়ার সময় ঘুম কমানোর উপায়

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের পড়তে বসলেই ঘুম চোখে চলে আসে, মনে হয় যেন বইয়ের মধ্যে ঘুমের ট্যাবলেট মেশানো থাকে সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে বাচ্চাদের পড়াশোনা অনেকটা ক্ষতি হয়ে যায়। চলুন জেনে আসি তাহলে পড়ার সময় ঘুম তাড়ানোর উপায় কি কি রয়েছে এ সম্পর্কে। সর্বপ্রথম আপনাকে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। 

পড়াশোনার পড়ার সময় অনেক সময় ঘুম থেকে যদি বিরত থাকতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে, যে সকল খাবারের মধ্যে রয়েছে ফাইবারযুক্ত। যেমন ফল, শাকসবজ্‌, মসুর ডাল, ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাবার, এবং সাধারণত যে সকল খাবারের ফ্যাট থাকে অর্থাৎ চর্বি থাকে এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। 

কেননা এর সকল খাবারে আমাদের আরো বেশি অলস করে তোলে। এর পরে আপনাকে প্রয়োজন পরিমাণে ঘুম পারতে হবে। পড়াশোনার সময় ঘুম আসার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হলো রাতের বেলা পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম না হওয়া। আপনার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রত্যেকদিন রাতে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা করে ঘুমানো দরকার। 

এক্ষেত্রে আপনাকে অতিরিক্ত ঘুমানো যাবে না কারণ এটি আবার নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমানোর অভ্যাসে পরিবর্তন করে দেয়। এজন্য একটি রুটিন এর মধ্যে থেকেই আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে। পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে আপনাকে পাওয়ার ম্যাপ নিতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে যখন পড়েই পড়েই যাবেন, তখন সেটি আপনার বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। 

এজন্য আপনাকে পড়াশোনা ফাঁকে ফাঁকে ২০ থেকে ৪০ মিনিট পাওয়ার ম্যাপ নিতে হবে। এর পরে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে আপনার ঘুম অনেকটা আপনাকে আট করে দেবে। এজন্য পড়ার সময় পড়ার টেবিলে অন্তত দুই বোতল করে পানি রেখে দিবেন। 

তাছাড়াও যখন আপনার করার সময় অধিক বেশি ঘুম চেপে আসবে তখন আপনি অবশ্যই আপনার চোখের মুখে পানি দিয়ে আসবেন, এতে করে আপনার পড়ার সময় ঘুম অনেকটা কেটে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন পড়াশোনা করার সময় ঘুম কাটানোর উপায় কি অর্থাৎ দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে।

অতিরিক্ত ঘুম দূর করার উপায়

আসলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৯ ঘন্টার বেশি যখন ঘুমাবে তখন সেটি অতিরিক্ত ঘুম বলে গণ্য করা হবে। কারণ অতিরিক্ত ঘুমানো কে চিকিৎসা বিজ্ঞানে চিকিৎসা বিদ্যা রোগ হিসেবে ধরে নিয়েছে। এমনকি এ রোগটির নাম তারা দিয়েছে "হাইপারসোমনিয়া"। 

কারণ দিনের ঘুমের একটি আদর্শ সময়ে রয়েছে যে সময়টি পার করে ঘুমালে এটিকে রোগ বলে ধরে না হয়। এমনকি যাদের হাইপারসোমনিয়া, রোগ হবে তাদের মধ্যে এরকম কিছু লক্ষণও দেখা দেয় সেগুলো হল,
  • শরীরে শক্তির পরিমাণ কমে যাওয়া
  • যেকোনো বিষয় নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া
  • স্মৃতিশক্তির মধ্যে দুর্বলতা অধিক বেশি চলে আসে
সুতরাং আপনার মধ্যে যখন দেখবেন এই তিনটি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তখন মনে করবেন না আপনার শরীরের মধ্যে হাইপারসোমনিয়া রোগ দেখা দিয়েছে। সুতরাং আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পারতে হবে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়া যাবে না এবং মনে রাখতে হবে অতিরিক্ত ঘুম পারলে আপনার এই রোগটি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। এছাড়াও অতিরিক্ত ঘুম কমানোর উপায় অর্থাৎ দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে উপরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ঘুম কমানোর ওষুধ

আপনি যদি চান যে আপনার ঘুম আগের থেকে অনেক বেশি কমাবেন। অর্থাৎ আপনার অতিরিক্ত ঘুম চলে আসতেছে সকাল বেলা দুপুর বেলা কোন কাজে মন বসাতে পারতেছেন না, আপনার ঘুম পর্যন্ত পরিমাণে চলে আসছে এ সময় আপনি এ সকল ট্যাবলেট গুলো ওষুধগুলো সেবন করলে আপনি আপনার ঘুম অনেকটা কমাতে পারবেন। চলুন জেনে আসি কি সেই ওষুধ। 
সেই ওষুধ টির নাম হচ্ছে ডায়াজিপাম ( Diazepam ) এটি একটি বিশেষ ধরনের ঔষধ যেটি ঘুমের ঔষধ নামে পরিচিত, এটি মূলত যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন এটি আপনার ঘুম অনেকটা কমিয়ে দেবে আগের থেকে. এক্ষেত্রে আপনারা যদি প্রচন্ড পরিমাণে ঘুম হয় সেক্ষেত্রে আপনি এই ওষুধটা খেতে পারবেন। 

অন্যথায় আপনার যদি ঘুম পরিমান মত থাকে তাহলে আপনি ওষুধ কখনো খাবেন না, কারণ এটি হিতে বিপরীত হতে পারে। এজন্য সবকিছুই পরিমাণের মধ্যে থাকা উচিত। এখন যদি আপনার ঘুম পর্যাপ্ত পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই এই ওষুধটি খাবেন না। আশা করি জানতে পেরেছেন, ঘুম কমানোর ঔষধ সম্পর্কে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক মন্ডলী, দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় সম্পর্কে অনেকে জানতেন না, তো আজকে বিস্তারিত জানলেন। আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুম এটি আমাদের জীবনের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। এজন্য সব সময় খেয়াল রাখতে হবে আমাদের রাত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম যেন হয়। 

আর রাত্রে যদি ঘুম সঠিকভাবে হয়ে থাকে তাহলে এমনিতেই, দিনের বেলা ঘুম কমানোর উপায় এর মধ্যে একটি উপায় আপনি পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনাদের কাছে আমাদের পোস্টটি ভালো লেগেছে। সুতরাং ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে দিবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url