অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা

প্রিয় পাঠক মন্ডলী, আজকে আলোচনা করব অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। কমবেশি আমরা সকলেই অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা কি এ সম্পর্কে কিছু কথা শুনেছি। তো চলুন অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা
অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এর পাশাপাশি আরো জানবো অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য এবং এর ব্যবহার এবং এর সাল খাওয়ার নিয়ম কি? তো অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ এর পাশাপাশি এই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য

অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্যের কথা বলতে গেলে অর্জুন গাছ হচ্ছে এমন এক ধরনের গাছ যাকে বলা হয় এটি একটি শুপুস্তক উদ্ভিদ। তথা এর একটি বৈজ্ঞানিক নাম রয়েছে এবং এর বৈজ্ঞানিক নামটি হল (Terminalia arjuna )। তো এটি হচ্ছে এর একটি বৈজ্ঞানিক নাম। তো এই গাছের বৈশিষ্ট্যের কথা যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হয় এরা একটি পত্র ঝরা উদ্ভিদ। 
তাছাড়া এর মাধ্যমে এবং আকৃতিটা হয় অনেক বড় এবং বৃক্ষের মতো। তাছাড়া এই গাছটি প্রায় হয়ে থাকে ২০ থেকে ৩০ মিটার উঁচু প্রকৃতির। তাছাড়া এই গাছটায় ফুল ফোটে এবং এটির একটি বিশেষ সময় রয়েছে যেমন এটি মার্চ থেকে জুন মাসের দিকে খুব বেশি পরিমাণে ফুল ফুটে থাকে। 

তো এই হচ্ছে মূলত অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য আশা করছি অর্জুন গাছের বৈশিষ্ট্য কি এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তো চলুন এবার জেনে নেওয়া যাক অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

অর্জুন গাছের ব্যবহার

অর্জুন গাছ একটি বিশেষ উপকারী গাছ যদি আপনারা এর ব্যবহার সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনারা আশ্চর্য হয়ে যাবেন যে এই গাছে এত রকমের উপকারীতা। তো আপনারা যদি নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল বা অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করেন, 

তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনারা অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে মূলত জানতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক অর্জুন গাছের উপকারিতা এবং কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উপকারিতা
  1. উচ্চ রক্তচাপ কমায়ঃআপনারা যদি নিয়মিত অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার শরীরের মধ্যকার কোলেস্টেরল এবং বিভিন্ন উচ্চ রক্তচাপকে কমিয়ে দিবে এবং রক্ত প্রবাহের মান নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কেননা অর্জুন গাছের ছালের মধ্যে রয়েছে লিপিড এবং টাই গ্লিসারাইড স্তর যা কিনা আপনার সকল কাজকর্মগুলো করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
  2. উন্নত চুল তৈরি করতেঃ আপনারা চুলের মান উন্নত করার জন্য অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করতে পারেন। কারণ অর্জুন গাছের ছালের মধ্যে রয়েছে এমন এক ধরনের উপাদান যা কিনা আপনার চুলের হেনালকে মিশ্রণ করবে এবং এর পাশাপাশি আপনার চুল অনেকটা কালো করবে এবং এর সাথে আপনার চুলকে আগের থেকে অনেকটা শক্তিশালী করে তুলবে বা মজবুত করে তুলবে।
  3. ওজন কমাতেঃ অতিরিক্ত যাদের মেদ হয় তাদের অনেক সমস্যায় হয়ে থাকে। তো যারা মেদ কমাতে যাচ্ছেন তাদের অবশ্যই অর্জুন গাছের ছাল সকাল এবং সন্ধ্যায় ভালোভাবে মিশ্রণ করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে দেখবেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই কিংবা মাস খানেকের মধ্যে আপনার মেয়ে অনেকটা কমে গেছে।
  4. ত্বক উজ্জ্বল রাখতেঃ অর্জুন গাছের ছাল এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান থাকায় এটি আপনার ত্বকের মধ্যকার বিভিন্ন ধরনের দাগ এবং বিভিন্ন ধরনের বলিরেখা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আপনি অর্জুন গাছের ছালের সাথে একটু করে কর্পূর নিবেন তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন।
  5. প্রসাবে জ্বালাপোড়া দূর করতেঃ অর্জুন গাছের ছাল যদি নিয়মিত খান সেক্ষেত্রে দেখবেন আপনার পোশাকে সকল ধরনের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে গেছে। আর এজন্য আপনাকে অর্জুন গাছের ছাল ভালো করে পিষে নিতে হবে এবং এর মধ্যে দুই থেকে তিন কাপ পানি দিয়ে সেটি ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ সেটি ভালোভাবে যখন ঠান্ডা হয়ে যাবে তখন সেটি আপনাকে পান করতে হবে। এভাবে কিছুদিন করলে দেখবেন আপনার প্রসাবের সকল ধরনের জ্বালাপোড়া দূর হয়ে গেছে।
  6. বিভিন্ন প্রদাহ দূর করতেঃ আপনি যদি অর্জুন গাছের বাকোল খান তাহলে এটি খাওয়ার ফলে আপনার সকল ধরনের প্রদাহ কেটে যাবে। সুতরাং এটি আপনাকে প্রথমে ভালোভাবে পিষে নিতে হবে এবং এর গুঁড়ো গুলো মিহি করে নিতে হবে নেওয়ার পরে এটি ভালোভাবে পাউডার করে পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হবে।
  7. হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়ঃ আপনারা যদি নিয়মিতভাবে অর্জুন গাছের ছাল ব্যবহার করেন তাহলে এটি আপনার শরীরের সকল ধরনের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি হৃদরোগের স্পন্দনের ঝুঁকিটাও কমে দিবে। শুধু আপনাকে প্রত্যেকদিন অর্জুন গাছের ছালের সাথে একটি বন্য পেঁয়াজ ভালোভাবে মিশিয়ে এটি কেটে নিতে হবে নিয়ে এটি হার্টের রোগীকে প্রত্যেকদিন দুধ খাওয়ানোর সাথে সাথে এটি খাওয়াই দিতে হবে। তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই রোগের সকল স্পন্দনের রোগ দূর হয়ে গেছে। আশা করছি বুঝতে পেরেছেন কি কি উপকারিতা রয়েছে অর্জুন গাছের মধ্যে।
অপকারিতা
অর্জন গাছের উপকারিতার কথা যদি বলতে যাই তাহলে বলতে হয় এর উপকারিতার চাইতে উপকারিতা অনেক বেশি। তো চলুন জেনে নেয়া যাওয়া পর্যন্ত গাছের ছালের কি কি অপকারিতা রয়েছে এ সম্পর্কে।
  • যাদের সুগার রয়েছে এ সকল রোগীদের অবশ্যই অর্জন গাছের ছাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • এছাড়াও অর্জুন গাছের ছাল গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক বেশি ক্ষতি কারী। সুতরাং গর্ভবতী মহিলাদের সকল অর্জুন গাছের ছাল থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • কোন বড় কোন রোগ হলে একমাত্র চিকিৎসকের পরামর্শ এর মাধ্যমে আপনারা অর্জুন গাছের সার ব্যবহার করবেন অন্যথায় ব্যবহার করার দরকার নেই।
  • তো আশা করছি জানতে পেরেছেন যে অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা। 

তো চলুন এবার নিম্নে জেনে নেওয়া যাক অর্জুন গাছের পাতার উপকারিতা এবং এর ছাল খাওয়ার নিয়ম কি বা এর ফলের কি কি উপকারিতা রয়েছে এ সম্পর্কে।

অর্জুন গাছের পাতার উপকারিতা

অর্জুনের ছালের যেরকম উপকারিতা এবং অপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে অর্জুন গাছের পাতারও অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এর সঠিক ব্যবহার আপনাকে করতে হবে যদি আপনি এর সঠিক ব্যবহার করতে পারেন অর্থাৎ সঠিকভাবে যদি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে এর সঠিক ফলাফল আপনি পেয়ে যাবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক অর্জন গাছের পাতার কি কি উপকারিতা হয়েছে সম্পর্কে।
  • আপনি যদি নিয়মিত অর্জুন গাছের পাতা ভালোভাবে পিষে খান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার শরীরের উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমে যাবে এবং অনেক বেশি উপকারী হবে আপনার শরীরের কোলেস্টেরলের জন্য।
  • ওজন গাছের পাতা খাওয়ার ফলে আপনার অনেকটা কাশি উপশম হবে যদি আপনার কাশির সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই আপনি অর্জুনের পাতা খান। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার কাশি দূর হয়ে গেছে।
  • আপনার যদি শরীরে প্রচুর পরিমাণে মেদ হয়, তাহলে আপনি অবশ্যই নিয়মিত অর্জুন গাছের পাতা খেতে পারেন।
  • আপনার ত্বকের সমস্যা যদি দূর করতে যান অর্থাৎ তোকে যদি বিভিন্ন রকমের দাগ পড়ে যায় এবং সে দাগ যদি দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনি অর্জুন গাছের পাতা খেতে হবে।
  • আপনি যদি আপনার প্রসাবের রাস্তার সকল জ্বালাপোড়া দূর করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে অর্জনের কথা ব্যবহার করতে হবে। এর কিছুদিনের মধ্যেই আপনি এর উপকারিতা পেয়ে যাবেন।
তো আশা করছি জানতে পেরেছেন অর্জুন গাছের পাতার উপকারিতা কি বা অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা কি এ সকল বিষয় সম্পর্কে।

অর্জুন ছাল খাওয়ার নিয়ম

প্রত্যেকটা খাবার খাওয়ারই একটি নিয়ম রয়েছে যদি আপনি সঠিক নিয়মে এই খাবারগুলো খান তাহলে সঠিক উপকার আপনি পাবেন। তো ঠিক সেভাবে অর্জুনের সাল ও একই রকম একটি খাবার যদি আপনি এই খাবারটি খান তাহলে এটি আপনার শরীরে ঔষধের মতন কাজ করবে। 

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক, অর্জুন ছাল খাওয়ার নিয়ম কি বা কি কি উপায় আপনি অর্জুন গাছের ছাল খাবেন চলুন জেনে নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন অর্জুন গাছের ছাল বেশ উপকারী এবং এক ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ। আসলে এর চালের মধ্যে থাকে অর্থাৎ এর বাকলের মধ্যে থাকে লিপিড ট্রাই গ্লিসারাইড এক ধরনের স্তর। 
যা কিনা আপনার কোলেস্টেরল কে অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর এটি আপনি খাবেন প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে, অর্থাৎ প্রথমে এ অর্জুন গাছের বাকল আপনাকে ভালোভাবে পিষে নিতে হবে। এবং এরপর এই বাকলটাকে ভালোভাবে পিসে গুঁড়ো করে নিতে হবে। এবং এই গুঁড়ো প্রত্যেকদিন সকালে এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে মিক্সচার করে নিবেন, 

নেওয়ার পরে এটি খেয়ে নেবেন। এভাবে যদি আপনি নিয়মিত অর্জুন ছাল খান তাহলে দেখবেন আপনার শরীরে কতটা পরিবর্তন চলে এসেছে। তো আশা করছি জানতে পেরেছেন যে অর্জন ছাল খাওয়ার নিয়ম কি বা অর্জুন গাছের ছাল কি কি উপায় আপনি খেতে পারবেন বা কখন কখন খাবেন এ সম্পর্কে।

অর্জুন ফলের উপকারিতা

আমরা কমবেশি অর্জুন গাছের ছাল এর কথাই খুব বেশি কিছু জানেন। যেগুলো খেলে আপনি কি কি উপকারিতা পাবেন এবং কখন কখন খাবেন এ সকল বিষয়ে সম্পর্কে। তো আসলে আপনারা কি জানেন অর্জুন গাছের ছালের মধ্যে যেরকম গুনাগুন রয়েছে এর থেকে বেশি গুনাগুন রয়েছে অর্জুন গাছের ফলের মধ্যে। 

হয়তো আপনি অবাক হচ্ছেন শুনে আসলে বাস্তবতা তাই। সুতরাং অর্জুন ফলের কি কি উপকারিতা রয়েছে এই সকল বিষয়ে সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা উচিত। বা অর্জুন গাছের ফল খেলে আমরা কি কি উপকারিতা লাভ করতে পারব তো চলুন এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
  1. আপনি যদি নিয়মিতভাবে অর্জুন গাছের ফল খান তাহলে এতে করে আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে এটি আপনি নিয়মিত খাওয়ার ফলে এটা আপনার শরীরের মধ্যে লিভার সিরোসিস টনিক নামক এক ধরনের উপাদান হিসেবে কাজ করবে।
  2. আপনার যদি হরমোনাল কোন সমস্যা হয়ে থাকে কিংবা আপনার মুখ জিব্বা মাড়িয়ে যদি কোন প্রদাহ হয়ে থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই অর্জুন গাছের এই ফল খান দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই সকল প্রদাহ সেরে গেছে।
  3. আপনারা যদি মুখ দিয়ে এবং মুখের মাড়ি দিয়ে কোন রকমের রক্তপাত হতে থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে ওজন গাছের ফল খান আপনার সেই রক্তপাত কমে যাবে।
  4. আপনারা যদি কোন রকম জ্বর কিংবা সর্দি লেগে থাকে, তাহলে আপনি সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিন যদি এর ব্যবহার করে থাকেন। তাহলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার জ্বর এবং সর্দি চলে গেছে।
  5. আপনার শরীরে যদি কোন রকম চর্মরোগ কিংবা যৌন কোন রোগ হয়ে থাকে তাহলে আপনি অবশ্যই অর্জুনের ফল ব্যবহার করা শুরু করুন আজ থেকেই। দেখবেন আপনার সকল চর্ম এবং যৌন রোগ সেরে গেছে।
আশা করছি জানতে পারলেন অর্জুন ফলের উপকারিতা কি বা এর ফল খেলে আপনি কি কি উপকারিতা পেতে পারেন এ সম্পর্কে।

সর্বশেষ পরামর্শ

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, আমাদের আজকের এই পোস্টটি অর্থাৎ অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং এর পাশাপাশি অর্জুন ফলের উপকারিতা কি এবং অর্জুনের ছাল খাওয়ার নিয়ম কি এবং অর্জুন গাছের পাতার মধ্যেও কি, কোন উপকারিতা রয়েছে? এই সমস্ত বিষয় সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 
সুতরাং আজকের আমাদের এই পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এবং আপনারাও আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারাও অর্জুন গাছের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জেনেও উপকৃত হতে পারে। তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি। সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url