ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - ডেঙ্গু রোগের ওষুধ

 

প্রিয় পাঠক আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করবো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ এবং তার প্রতিকার সম্পর্কে। আমার কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ডিমগুলো কিভাবে ছড়ায় এবং এর প্রতিকার কি। তাই আপনাদের জানতে কারো উপর ভিত্তি করে, এই পোস্টটি তৈরি করা হয়েছে। পুরো পোস্টটি যদি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন লক্ষণ এবং তার প্রতিকার।
ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার - ডেঙ্গু রোগের ওষুধ
তাছাড়াও জানতে পারবেন যে কিভাবে এবং কোন কোন ঔষধ খেলে আপনি এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তো ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো আর্টিকেলটি দেরি না করে এখনই মনোযোগ সহকারে পড়া শুরু করুন। আশা করি উপকৃত হবেন।

ভূমিকা

আসলে আমরা জানি যে বিশেষজ্ঞদের মতে অর্থাৎ তাদের গবেষণা অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগটা ছড়ায় এডিস মশার কারণে, কারণ এডিস মশা যখন আমাদের কামড়ে দেয় তখন আমাদের ডেঙ্গু রোগটা হয়। আপনি হয়তো জানেন ভিন্ন ভিন্ন রকমের মশা এখন ঘুরে বেড়ায়, এর মধ্যেই একটি হচ্ছে এডিস মশা। আর এই মশাটি যদি কোনক্রমে কোনো মানুষের শরীরে কোনভাবে যদি কামড়ে দেয়, 

তাহলে ওই ব্যক্তির শরীরের ডেঙ্গু জ্বর কিংবা হয়ে যাবে। অর্থাৎ ব্যক্তি তখন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে। আবার আপনি জানেন কিনা এটা যে, যদি কোন এডিস আক্রান্ত রোগীকে কোন মশা কামড়ায়, আর ওই মশাটা যদি আবার অন্য কোথাও গিয়ে অন্য কোন ব্যক্তিকে যদি কামড়ায়, তাহলে যে ব্যক্তিকে কামড়াবে ওই ব্যক্তি ও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে যাবে। 
অর্থাৎ এটি একজনের দেহে থেকে অন্য জনের দেহে ছড়িয়ে যায়। অর্থাৎ যেটাকে আমরা বলে থাকি ছোঁয়াচে রোগ। তাই আমাদের অবশ্যই উচিত ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। এবং ব্যক্তিকে খুব দ্রুতই চিকিৎসার মাধ্যমে ঔষধ গ্রহণ করতে হবে। আর এখন আমরা জানি যে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা গ্রামে গ্রামেই কমিউনিটি ক্লিনিক 

অর্থাৎ যেখানে ফ্রি চিকিৎসা দেওয়া হয়। যেটি বাংলাদেশ সরকার প্রত্যেকটা অঞ্চলে তৈরি করে দিয়েছেন। যেখানে কিনা আপনি এ ধরনের চিকিৎসা পাবেন। কিংবা আপনাকে ফ্রি ঔষধ দিয়ে তারা সহযোগিতা করবে। এজন্য আমাদের উচিত যে এরকম যদি কেউ আক্রান্ত হয় যে কোন চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়া।

ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ ২০২৩

ডেঙ্গু খুবই একটা মরণঘাতক ব্যাধি। আর যেটা কিনা এডিস মশার কামড়ে বেশিরভাগ হয়ে থাকে। আর এই একটি মশা যদি কোন ব্যক্তিকে আক্রমণ করে তাহলে ওই ব্যক্তিটি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে। এমন কি যদি কোন ভাল ব্যক্তি কেউ যদি ওই মশাটি কামড়ে দেয় তাহলে ওই ব্যক্তিও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হবে, অর্থাৎ যেটি একজনার কারণে অন্যজনের শরীরেও ছড়াতে পারে। 

আর এই ডেঙ্গু রোগের প্রধান এবং মূল লক্ষণ হল জ্বর। জ্বরের মাধ্যমে বোঝা যায় যে আপনার ডেঙ্গু রোগ হয়েছে কি হয় নাই। আর যদি আপনি বুঝতে পারেন যে আপনার ডেঙ্গু রোগ হয়েছে তাহলে আপনি বাসায় বসে না থেকে, যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা কেন্দ্রে গিয়ে চিকিৎসা নেবেন। তাহলে চলুন জেনে আসি কি কি লক্ষণ দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনি ডেঙ্গু জনিত সমস্যায় ভুগছেন। নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু রোগের মূল লক্ষণ হলো জ্বর। আর চিকিৎসকরা বলেছেন যে ডেঙ্গু রোগে যদি কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয় তাহলে ওই ব্যক্তির শরীরের তাপমাত্রা হবে ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। শুধু তাই নয় এই জ্বরটা আবার একটানা থাকতে পারে, আবার দেখা যাবে কিছুদিন অনেক বেশি ঘামার কারণে জ্বর গুলো কমে যাবে আবার রাত্রে যাওয়ার আসবে।
  • ডেঙ্গু রোগের আরও একটি মূল লক্ষণ হল শরীরে ব্যথা করা। শুধু তাই নয় শরীর ব্যথার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মাথাও ব্যথা করতে পারে, তাছাড়া চোখের পেছনেও ব্যথা করতে পারে। এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার চামড়ায় রেস থাকতে পারে।
  • তারপর দেখা যাবে যে আপনার শরীর অনেকটা ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। এমনকি আপনার ক্ষুধা মন্দা ভাব চলে আসবে। এমনকি শরীরটা কেমন যেন ম্যাজ ম্যাজ করতে থাকবে।
  • এরপর আবার যদি আপনার সিভিয়ার ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হন, তাহলে সে রোগের ক্ষেত্রে তীব্র পেট ব্যথা করবে, পেট সময় সময় ফুলে যাবে, রক্ত পড়বে বমির সাথে, এবং মুখের মধ্য থেকে রক্তক্ষরণ হবে, শ্বাসকষ্টে ভীষণ সমস্যা দেখা দিবে। এবং খুব বেশি শরীর থেকে ঘাম হবে, আর ঘুম ঘুম ভাব চলে আসবে এবং আপনি অচেতন হয়ে থাকবেন।
  • ডেঙ্গুর শক সিনড্রোম যদি হয় তাহলে এর থেকে আপনার মানব দেহে পানি শূন্যতা তৈরি হবে। এর সঙ্গে সঙ্গে আপনার পালস রেট টা বেড়ে যাবে এবং সাথে রক্তচাপ খুব কমে যাবে। আর যদি আপনার এই ডেঙ্গুর সব সিনড্রোম হয় তাহলে এটার কারণে আপনার শ্বাস প্রশ্বাস খুব দ্রুত চলাচল করতে থাকবে। আর তখন রোগী ভীষণ অস্থির হয়ে পড়বে। আর ওই সময় সময় নষ্ট না করে অতি দ্রুত রোগীকে হসপিটালে ভর্তি করানো লাগবে।

ডেঙ্গু রোগের কারণ ও প্রতিকার

ডেঙ্গু রোগের কারণঃ ডেঙ্গু রোগ ছড়ানোর বিভিন্ন রকমের কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো বাসার আশেপাশে যদি কোন বালতি কিংবা কোন মাটির পাতিলে যদি পচা পানি থেকে থাকে তাহলে সেখান থেকে ডেঙ্গুর আবির্ভাব হয়। আর এই ডেঙ্গু মশাটা যদি কোন ব্যক্তির শরীরে কামড়ে দেয়, তাহলে ওই ব্যক্তি ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এছাড়াও যদি আশেপাশে নদী-নালা খাল মিলে যদি পচা পানি থেকে থাকে 

তাহলে সেখান থেকে এডিস মশার জন্ম হয়। আর এই মশাটা যখন কোন ভাল মানুষকে কামড়ে দেয় তখন সেটি ডেঙ্গু রোগের রূপ নেয়। এভাবে ছড়ায়, আবার আরো একটি উপায় ছড়াতে পারে সেটি হলো, যদি কোন মশা কোনো ডেঙ্গু রোগীকে কামড়ায় এবং ওই মশাটা যদি কোন ভালো মানুষকে কামড়ায় তাহলে সেখান থেকে আবার ভালো মানুষের শরীরে ডেঙ্গু রোগের আক্রান্ত হবে।
ডেঙ্গু রোগ হলে প্রতিকারঃ এখন জানব যে কিভাবে ডেঙ্গু রোগের প্রতিরোধ কিভাবে করা যায়। তো সুতরাং এ সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হলে নিম্নে বিস্তারিত পড়তে থাকুন। কারণ এখন আমাদের সমাজে প্রায় ডেঙ্গু রোগে মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। সুতরাং আপনি যদি ডেঙ্গু জ্বরের প্রতিকার সম্পর্কে ধারণা নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিবার পরিজন কিংবা প্রতিবেশীরা যদি আক্রান্ত হয় তাহলে আপনি তাদের কি পরামর্শ দিবেন, এবং ডেঙ্গুর প্রতিরোধের কি কি উপায়ে সেই সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন। সুতরাং চলুন জেনে নেই ডেঙ্গুর প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে।
  • সর্বপ্রথম দিনগুলোর প্রতিরোধ করতে আপনার বাড়ির আশেপাশে যতটা সম্ভব পুরোপুরি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করবেন।
  • যদি পারেন আপনার ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব কিংবা কোন ভাঙ্গা প্লাস্টিকের বোতল, কিংবা ডাবের খোসা, জমাকৃত আবর্জনা টায়া্র, অথবা বিভিন্ন রকমের পচা পলিথিন, থাকে দ্রুত সেগুলো পরিষ্কার করে ফেলুন।
  • তাছাড়াও সপ্তাহে ২ - ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
  • তাছাড়াও আপনি বাড়ির বাইরে যখন যাবেন যাওয়ার সময় মশা নিধনের ব্যবহৃত ক্রিম রাখতে পারেন সাথে।
  • আবার যখন সন্ধ্যা পরে যাবে, তখন বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা ঘরে বা যে কোন জায়গায় ঘুমানোর পূর্বে মশারিটা ব্যবহার করে ঘুমাবেন।
  • আপনার বাসার আশেপাশে যেখানে দেখবেন বৃষ্টির পানি জমে আছে খুব দ্রুত সম্ভব সেখানে বৃষ্টির পানি গুলো পরিষ্কার করুন। কারণ এটা থেকে এডিস মশার জন্ম হয়।
  • তাছাড়া আপনি চাইলে মশার প্রভাব কমাতে চাইলে মশারির পাশাপাশি ম্যাপ ব্যবহার করতে পারেন।
  • তুমি হয়তো এই বিষয়টা জানেন যে এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়। তাই দিনের বেলা ঘুমানোর সময় যেখানেই ঘুমান না কেন লক্ষ্য রাখতে হবে যে মশারি টাঙানো আছে কিনা।
উপরের আলোচনা থেকে আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে কিভাবে আপনি ডেঙ্গু রোগের রোগী হবেন এবং এটা প্রতিরোধ করার জন্য কি কি উপায়, এগুলা জানতে পেরেছেন। সুতরাং আপনি আপনার বন্ধুদের কেউ জানিয়ে দিন।

ডেঙ্গু হলে কি খেতে হবে

ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে কি কি খাওয়ানো যাবে, অর্থাৎ ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগে কি কি খেতে পারবে, কোন কোন খাবারগুলো খেলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে। চলুন জেনে আসি। অধ্যাপক ডাক্তার অনিরুদ্ধ ঘোষ এর মতে ডেঙ্গু অর্থাৎ এডিস আক্রমণকারী রোগীকে স্বাভাবিকভাবে কোন ধরনের শক্ত খাবার দেওয়া নিষিদ্ধ। অর্থাৎ রোগে সব ধরনের নরম খাবার খেতে দিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে যে খাবার গুলো বেশি বেশি খাবেন সেগুলো হল,
  • কমলাঃ কমলার রস করে রোগীকে খাওয়াতে হবে। কারণ এই কমলার রসে রয়েছে ভিটামিন সি এবং খুব বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যেটি কিনা ডেঙ্গুজার নিয়ন্ত্রণের সহযোগিতা করে।
  • ডালিমঃ ডালিম রয়েছে আমরা জানি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। সেই সঙ্গে এতে রয়েছে মিনারেল। কেউ যদি নিয়ম করে প্রতিদিন ডালিম খান তাহলে প্লেটলেটের সংখ্যা তার বেড়ে যাবে। প্রাচীনকাল থেকেই আমরা জানি ডেঙ্গু রোগ হলে এই ফলটি বেশি বেশি খাওয়ানো হতো।
  • ডাবের পানিঃ ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীর শরীরে তরলের শূন্যতা সৃষ্টি হয়। তার মধ্যে সৃষ্টি হয় ডি হাইড্রেশন। এ সময় বেশি বেশি করে রোগীকে ডাবের পানি খাওয়ানো উচিত। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে।
  • ক্যাফিন যুক্ত পানিয়ঃ ডেঙ্গু যদি কোন ব্যক্তির হয় তাহলে তাকে তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। সেইসঙ্গে ক্যাফিন যুক্ত খাবার গুলা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এ সকল খাবার গুলো রোগীর হার্ট রেট বেড়ে দেয়। সেই সাথে ক্লান্তি নিয়ে আসে।
  • মসলাযুক্ত খাবারঃ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীকে অবশ্যই মসলাযুক্ত খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ সেটি পাকস্থলীর দেয়ালটাকে নষ্ট করে দেয়।
  • পালং শাকঃ রোগীকে বেশি বেশি পালন শাক খাওয়াতে হবে। কারণ সেটাতে রয়েছে আয়রন এবং ও মেঘোথ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যেটি কিনা রোগের প্লেটলেট কে বৃদ্ধি করে।
  • পেপে পাতার জুসঃ ডেঙ্গুর রোগীকে অধিক বেশি পেপে পাতার জুস খেতে হবে। কারণ রবির দেহে প্লেটলেটের সংখ্যা ডেঙ্গুর কারণে কমে যায়। আর কেউ যদি এটি খায় তাহলে তার মতো এনজাইম সমৃদ্ধ হজম করতে সহায়তা করে।
  • আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ডেঙ্গুর রোগীর জন্য এই সমস্ত খাবারগুলো খাওয়ানো দরকার। কেননা এ সকল খাবারগুলো যদি কোনদিন খাওয়ানো যায় তাহলে সে অতীব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে।

ডেঙ্গু রোগের ওষুধ

ডেঙ্গু জ্বর আসলে এটি একটি ছোঁয়াচে জাতীয় রোগ। ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে যে সকল ঔষধ গুলা খাওয়াবেন সেগুলো হলো-ডেঙ্গু রোগীর জ্বর কমাতে হলে রোগীকে নিয়মিত প্যারাসিটামল দিতে হবে। কারণ রোগীর শরীরে সব সময় তাপমাত্রা হাই ভোল্টের হয়ে থাকে, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জানা যায় যে ১৩০ থেকে ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত জ্বর থাকে। 

সেই অনুপাতে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়ালেই হবে না রোগীকে জ্বরের বিভিন্ন রকমের ওষুধ দিতে হবে। এরপর কিছুক্ষণ পরপর রোগীকে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। কেননা যখন কোন ব্যক্তিকে এডিস মশায় আক্রমণ করে, তারপর যখন রোগীর ডেঙ্গু রোগ হয়ে যায়, তখন রোগীর দেহে পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এজন্য চিকিৎসকরা সব সময় বেশি বেশি তরল জাতীয় খাদ্য খেতে বলে। 

অর্থাৎ পানীয় জাতীয় খাবার, কিংবা সকল খাবারগুলো নরম করে খাওয়ানো। এরপর যখন যদি দেখেন যে রোগী কবি মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে গেছে তখন রোগীর শরীর থেকে রক্ত বের করে রোগীকে নতুন করে রক্ত দিতে হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা না জানার কারণে ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকও ননস্টেডোরেল প্রদাহ দশমি যে কোন ধরনের ঔষধ সেবন করান, 

আসলে ডেঙ্গু জ্বর হলে রোগীকে এন্টিবায়োটিক সহ এই সমস্ত ওষুধ সেবন করানো যাবে না। কেননা এন্টিবায়োটিক জাতীয় এই সকল প্রদাহ প্রসঙ্গে সেবন করানো হয় তাহলে রোগীর রক্তপাতের ঝুঁকি বেড়ে যায়। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী এন্টিবায়োটিক বাদ দিয়ে প্যারাসিটামল সহ যে সমস্ত ওষুধগুলো রয়েছে এগুলো সেবন করতে হবে। আশা করি এর দ্বারায় রোগী সুস্থ হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

ডেঙ্গু জ্বর কত দিন থাকে

আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা জানিনা যে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত কতদিন ধরে থাকে। আসলে এটি একটি খুবই মারাত্মক ধরনের একটি রোগ। যেটার কারণে কিনা রোগী যেকোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারে, যদি ডেঙ্গুর প্রভাব বেশি ফেলে তার শরীরে। 
তবুও যদি ডেঙ্গুজ একটা স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে তাহলে এর একটি সময় আছে। যে সময় পর্যন্ত এই ডেঙ্গু জ্বর থাকতে পারে। চিকিৎসকদের মতামত অনুযায়ী তারা জানিয়েছেন যে ডেঙ্গু যার সাধারণত রোগীর শরীরে তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। সুতরাং এটি সাধারণত তিন থেকে ছয় দিন পর্যন্ত থাকে। 

আর জ্বর যখন ভালো হয়ে যাবে ভালো হয়ে যাওয়ার ৪৮ থেকে ৭২ ঘন্টা কে বলা হয় খুবই সংকটকাল। কারণ ডেঙ্গু একটি এমন রোগ যেটি কিনা বিভিন্ন ধরনের জটিলতা নিয়ে আসে। তাই যদি একবার আপনার শরীর থেকে ডেঙ্গু জ্বর চলে যেতে পারে তাহলে নিশ্চিত থাকবেন যে এটা হওয়ার আর কোন সুযোগ নেই।

সর্বশেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে, ডেঙ্গু কেমন রোগ এবং এরূপ থেকে বাঁচার কি কি উপায় রয়েছে। এবং এ রোগ আপনার হয়েছে আপনি কিভাবে বুঝবেন এ রোগের লক্ষণ কি কি এবং আপনি কিভাবে এর রোগ কে প্রতিরোধ করতে পারেন। এবং এর কি কি প্রতিকার রয়েছে এই সমস্ত বিষয়ে আশা করি পুরোপুরি পোস্টটা পড়ে ভালো করে বুঝতে পেরেছেন। 

আসলে এখন সময়টা এরকম হয়ে গেছে যে আমি নিজে যদি ভালো থাকতে চাই তারপর আমি ভালো থাকতে পারতেছি না। কারণ এই ডেঙ্গু রোগটা হচ্ছে এক ধরনের। কখন কোথায় থেকে কোন মশা এসে শরীরে বসে তার কোন ঠিক নেই, এজন্য সব সময় সুস্থ পরিবেশে থাকতে হবে এবং বাড়ির আশেপাশে আঙ্গিনায়ক কোন নোংরা রাখা যাবে না। 

এবং চেষ্টা করতে হবে সবসময় মশারির মধ্যে থাকার। অন্তত রাতে সবার পূর্বে মশারি টাঙিয়ে নিবেন কেননা রাত্রে মশার প্রকোপ বেশি হয়। আর সব সময় রাত্রে সবার সময়ের জানালা লাগিয়ে শুবেন। এতে করে কোন প্রকার মশা কিংবা রোগ জীবাণু আপনার ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না । আশা করি পুরো পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url