কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে

প্রিয় বন্ধুরা আজকে আলোচনা করব কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে। অনেকেই আমরা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ নিয়ে সমস্যায় পড়ে আছি। এরপরে অনেকেই আমরা এইচএসসি পরীক্ষার পর কানাডায় যাইতে চাচ্ছি, কিন্তু কিভাবে যাব চলুন এ প্রসঙ্গে জেনে আসি।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে
কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনার কি কি প্রয়োজন এবং কেমন খরচ হবে সেখানে এবং আপনি কানাডা পড়াশোনা করতে যাইতে চাইলে সেখানে আপনার কত পয়েন্ট দরকার হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে পুরো পোস্টটি করতে থাকুন।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ

আমরা অনেকেই রয়েছি যারা কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা স্টাডি গ্যাপ নিয়ে চিন্তিত রয়েছে। অর্থাৎ আপনার যদি স্টাডি গ্যাপ বা পড়ালেখা দীর্ঘ একটি বিরতি হয়ে থাকে তা সত্ত্বেও আপনি ভিসা পেতে পারেন কিভাবে? চলুন এ বিষয়ে জেনে আসি। আসলে স্টাডি গ্যাপ বলতে এমন একটি সময়কে বোঝায়, যে সময়টাতে কিনা আপনি কোন আনুষ্ঠানিক শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে ভর্তি ছিলেন না, 

কিংবা পূর্ববর্তী যত পড়াশোনা করেছেন এই সকল পড়াশোনা শেষ করার পরে আপনি আর পড়াশোনা সঙ্গে জড়িত নেই। অর্থাৎ আপনি পড়াশোনা করেন নাই। সেক্ষেত্রে আপনার স্টাডি গ্যাপে কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনার পারমিট ভিসা কিছুটা হলেও করতে পারেন। এই বিষয়ে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান রয়েছে সেটা আপনি করতে পারেন। 
আপনি স্টাডি পারমিট ভিসার জন্য আবেদন মূল্যায়ন করার সময় কানাডিয়ান যেই কর্তৃপক্ষ অর্থাৎ প্রতিনিধি বাংলাদেশে থাকে তাদেরকে স্টাডিং গ্যাপ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন তারা এটা বিবেচনা করে দেখবে। আর তাছাড়া যদি আপনার একটা বেশ লম্বা সময় ধরে যদি স্টাডি গ্যাপ থাকে তাহলে সে ক্ষেত্রে এটি একটি স্টাডি পারমিটের জন্য আপনার যোগ্য তাকে তারা প্রভাবিত করবে। 

কারণ এটাকে বলা হয় একাডেমিক অগ্রগতি। একাডেমিক অগ্রগতিতে বিরতি হিসেবে দেখা যায় যে কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য অনেকেই স্টাডি গ্যাপের পরেও যেতে পারে। সুতরাং এইটা নিয়ে এত চিন্তাভাবনার কিছু নেই। আপনি কানাডিয়ান দূতাবাসের কাছে এই সকল কথাগুলো জানাবেন তাহলেই তারা আপনার ব্যাপারে একটু বিবেচনা করবে।

Hscএর পর কানাডা

আমরা অনেকেই এইচএসসি পাশ করার পরে বাহিরে পড়াশোনা করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকি। সুতরাং অনেকেই এইচএসসি পাস করার পরে বাইরের দেশে যেমন কানাডায় অনেকেই যাইতে চাচ্ছেন পড়াশোনা করার জন্য। অর্থাৎ আপনাকে কানাডা ভিসা করে নিতে হবে। যদি যাইতে চান। 

অর্থাৎ আপনাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যেতে হলে আপনাকে বিচার আবেদন করতে হবে এজন্য আপনার যে সকল বিষয়গুলো মেনে আপনাকে ফোন পূরণ করতে হবে অর্থাৎ আবেদন করতে হবে। সুতরাং আবেদন করার জন্য আপনার কাছে যে সকল বস্তুগুলো ডকুমেন্টসগুলো খুব বেশি জরুরী সেগুলো বিস্তারিত নিচে বর্ণনা করা হলো।
  • সর্বপ্রথমে আপনার কাছে অবশ্যই একটি পাসপোর্ট থাকতে হবে।
  • একজন বাংলাদেশী নাগরিক হিসেবে অবশ্যই আপনার নিকট জাতীয় পত্র কিংবা ভোটার আইডি কার্ড থাকা লাগবে।
  • আপনার পুলিশ ক্লিয়ারেন্স করে নিতে হবে।
  • অবশ্যই আপনার কাছে নিবন্ধন করা হাসপাতালের মেডিকেল রিপোর্ট যেটা আছে এটা থাকতে হবে।
  • যদি দেখেন আপনার ভিসার মেয়াদ কোনভাবে শেষ হয়ে গেছে তখন আপনাকে সেখানে ফিরে আসবেন এসে আবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতে হবে।
  • আপনার যদি ব্যাংক একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সেটার মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা হিসেব দেখাতে হবে।
  • কানাডিয়ান কনসুলেট কর্তৃক আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ছবি সেটা প্রদান করতে হবে সেখানে।
  • কানাডা ভিসা আবেদন যে ফরম রয়েছে এ ফরমের কপি রাখতে হবে।
  • অবশ্যই আপনাকে কানাডিয়ান ভিসা ফি প্রদান করতে হতে পারে।
  • আপনার কোন কাজের যদি দক্ষতা কিংবা অভিজ্ঞতা থেকে থাকে তাহলে সেটি প্রমাণপত্র হিসেবে জমা দিতে হবে।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি, সম্পর্কে এবং এইচএসসির পর আপনি কিভাবে কানাডায় আবেদন করতে পারবেন।

কানাডা যেতে কত পয়েন্ট লাগে

আপনি যদি কানাডায় পড়াশোনার জন্য উচ্চ শিক্ষার জন্য যেতে চান এইচএসসির এর পরে কিংবা যেকোনো ধরনের শিক্ষার জন্য যদি যেতে চান তাহলে কেমন পয়েন্ট লাগবে, মানসম্মত শিক্ষার দিক দিয়ে বলতে গেলে কানাডা প্রথম স্থানে আছে এখন। এমনকি আপনি কানাডায় উচ্চশিক্ষা করতে গিয়ে লাভ করতে পারেন বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা। 

আপনি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মধ্যে প্রস্থ শিক্ষা লাভ করার জন্য কানাডায় যেতে পারেন। আবার যদি আপনি মনে করেন যে উচ্চশিখা লাভ করার পর সেই দেশে স্থায়ী নাগরিক হবেন তাহলে আপনি সেটা হতে পারবেন। তো সে দেশে পড়াশোনা করার জন্য প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর কেমন পয়েন্ট লাগবে সে দেশে চান্স পাওয়ার জন্য, এইটাই হচ্ছে মেন ফ্যাক্ট। 

আসলে বাংলাদেশ কিংবা ভারত থেকে কানাডায় প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা লাভ করার জন্য অনেকে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতেছে। কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা করার জন্য অনেকেই যাচ্ছে। কারণ স্টাডি পারমিট ভিসা মাধ্যমে চালু করা হয়েছে। আপনি যদি এখন কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য বুঝাতে চান তাহলে খুব দ্রুত স্টাডি ভিসা ফর্মে আবেদন করতে হবে। 

আর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করার জন্য আপনার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টি জরুরী ভিত্তিক দরকার হবে সেটি হচ্ছে আপনার ইংরেজি ভাষার প্রতি একটি বিশেষ দক্ষতা থাকা লাগবে। এমনকি আপনাকে ইংরেজি ভাষায় কনভারসেশন করার মতন দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আর বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যাদের ইংরেজি ভাষার প্রতি বেশি দক্ষতা হয়ে থাকে তারাই স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় আবেদন করতে পারে। 

এখন বুঝলাম যে স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডায় দেওয়ার জন্য ইংরেজির প্রয়োজন হবে এখন মেইন পয়েন্ট টা হল আমাদের কানাডায় যেতে হলে শিক্ষার যেই যোগ্যতা রয়েছে, অর্থাৎ এস এস সি এইচ এস সি সমমান পরীক্ষায় কেমন পয়েন্ট থাকা লাগবে ? আসলে কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনাকে সর্বনিম্ন পয়েন্ট সিক্স থাকতে হবে আপনার যদি LELTS স্কোর ৭- ৮ হয় তাহলে আপনার কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার উপায়টারও সহজ হয়ে যাবে।

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এর জন্য আমরা অনেকেই করে থাকি কিন্তু আসলে খরচ টা কেমন পড়ে যায় সেই বিষয়ে অনেকের ধারণা নেই, তো আপনি যদি সে বিষয়ে জানার জন্য ওয়েবসাইটের মধ্যে ঢুকে থাকেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনাকে এখানে জানানো হবে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনাকে কেমন খরচ করতে হবে। 

আর কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা যোগ্যতাটা জানার পরে আপনাকে এটা অবশ্যই জানতে হয়। আসলে এটা অনেক রকম ক্যাটাগরির হয়ে থাকে কিন্তু সবচাইতে কম খরচে যদি আপনি কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার নিতে চান তাহলে আপনাকে সর্বনিম্ন ন্যূনতম হলেও 5 লক্ষ টাকা জমা দিতে হবে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য। 
আর তাছাড়া কানাডায় অন্যান্য বিচার ক্ষেত্রে আরো বেশি খরচ হয়ে থাকে। আবার আপনি যদি কানাডা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা থেকে যেতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে .৭ - ৮ লক্ষ্য টাকা খরচ করতেই হবে। আবার যদি আপনি কানাডায় টুরিস্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন তাহলে আপনাকে অনেক টাকা খরচ করতে হবে।
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা হতে সর্বোচ্চ কত সময় লাগে
তবে মনে রাখবেন যে কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার খরচটা আপনার টুরিস্ট ভিসা এবং কাজের ভিসা চাইতে অনেকটা কম। আবার যদি আপনি কোন যোগ্যতা ছাড়াই কানাডায় পড়াশোনার জন্য যেতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনাকে ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা দিতেই হবে।

কানাডায় স্পাউস ভিসা

কানাডা স্টুডেন্ট ভিসার প্রসেসিং এজেন্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেছি এখন কানাডায় স্পাউস ভিসা, এ বিষয়টা অনেকে জানা নেই। অর্থাৎ স্পাউস ভিসা সঙ্গী সঙ্গিনী। সুতরাং আপনি যদি কানাডায় স্পাউস ভিসা পেতে চান তাহলে কি কি শর্তাবলী এবং সুবিধাগুলো আপনার থাকবে, চলুন জেনে আসি।
শর্তাবলী এবং সুবিধাঃ
  • ইস্পাউজ ভিসা এর জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কানাডায় দুই থেকে তিন বছর বা তারও বেশি সময়কাল ধরে থাকতে হবে বিভিন্ন প্রোগ্রামের তালিকাভুক্ত তাদেরকে হতে হবে।
  • এ ভিসার মাধ্যমে স্বামী কিংবা স্ত্রী নির্ভরশীল ওয়ার্ক পারমিট নিতে পারেন যা কিনা কানাডায় পূর্ণ সময় ধরে অফ বিকাশ করতে পারেন।
  • আপনি যখন একবার এপ্লিকেশন গুলি কানাডা ভিসা অফিসারদেরকে জমা দিবেন তখন সেটি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে জন্য নূন্যতম সময় তাদের দরকার হবে।
  • কারণ প্রথমে যোগ্যতার শর্তাবলী গুলো মূল্যায়ন করা হয় এবং এরপর স্বাক্ষর যাচাইয়ের মাধ্যমে সমগ্র পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়ে নেওয়া হয়।
  • আর মনে রাখতে হবে প্রক্রিয়াকরণ বিষয়গুলো খুবই জরুরী ভিত্তিক একটি ধাপ বলা চলে কারণ অনেক মানুষের আবেদন প্রতিবছর জমা পড়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু বিষয় গুলোর গুরুত্বপূর্ণ যেমনঃ যেখানে জমা দেওয়া হয়েছে আবেদনপত্র সেখানে পরীক্ষা কত পদ্ধতি এবং জমা পড়া সকল আবেদনপত্রের সংখ্যা কতগুলো এ সকল বিষয়ের উপর।
সম্ভাব্য যে সময়টা লাগবেঃ
  • কানাডায় পত্নী , পতি ভিসা প্রক্রিয়াকরণ অনেক সময় জমা পড়ে থাকে। কারণ এটির মধ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। কারণ অনেক সময় বিচার অফিসার কোন জায়গাতে ওই সকল ডকুমেন্ট খুঁজে না পাওয়ার কারণে দস্তা পেজ গুলিতে স্বাক্ষর যে অনুপস্থিত থাকে সেগুলোকে প্রক্রিয়াকরণ করতে তার অনেকটা সময় লাগে।
  • পত্নী বা পতি ভিসার আবেদনে প্রক্রিয়াকরণ করতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়, তাও সেটা প্রায় নিম্নে.১৫ থেকে ৩০দিন।
  • আবার যদি স্বামী বা স্ত্রী নির্ভরশীল কোন ওয়ার্ক পারমিটের জন্য হয়ে থাকে তাহলে সেটির সময় প্রায় ৬০ থেকে ৯০ দিন কিংবা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
  • আবার অনেক সময় যদি অভিবাসন এর প্রক্রিয়া চলতে থাকে তাহলে এর সময় প্রায় ৪ থেকে ৯ বা মাস তারও বেশি লেগে যেতে পারে।
  • সুতরাং বোঝা গেল যে আবেদনপত্র এবং তার যে বিষয়গুলো রয়েছে খুঁটিনাটি সেগুলো পাওয়ার জন্য অতি মূল্যবান সময়ের দরকার হয়। আর এই সময় দরকার হয় আপনার একজন প্রতিনিধি যিনি সেটি নিখুঁত অভিজ্ঞতায় আপনার আবেদন পত্র কে তুলে দিবেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করি বুঝতে পেরেছেন কিভাবে কানাডা স্টুডেন্ট ভিসা প্রসেসিং এজেন্সি এর মাধ্যমে আপনি, কানাডায় যেতে পারবেন। এবং এর পাশাপাশি আপনার কানাডায় যেতে হলে শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন লাগবে এবং আপনার কত পয়েন্ট হলে আপনি কানাডায় যেতে পারবেন এবং এর পাশাপাশি আপনার দেশে থাকতে কি কি অভিজ্ঞতা লাগবে। 
অর্থাৎ ফর্মে পূর্ব অভিজ্ঞতা দিতে কি কি লাগবে এবং এর পাশাপাশি কানাডায় যেতে কেমন খরচ হতে পারে, আর তাছাড়া স্পাউচ ভিসা এর জন্য কত দিন সময় লাগবে। এ সকল বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে, আশা করি আমার পোস্টটি আপনাদের কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়েছে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url