অতিরিক্ত কাশি হলে কি করা উচিত

বর্তমানে এসে চলে এসেছে। এবং মানুষের কাশিও অনেক বেশি শুরু হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে অনেকে দেখা যায় যে কাশতে কাশিতে অনেক সময় গলা দিয়ে বা মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসে। তো এগুলো হয় মূলত অতিরিক্ত কাশি হলে। তো থেকে মুক্তির উপায় কি চলুন জেনে আসি।
অতিরিক্ত কাশি হলে কি করা উচিত
অতিরিক্ত কাশি হলে আপনি কি করবেন আপনার করণীয় কি এবং খুশখুশ বিরক্তি কর খাসির জন্য কি ওষুধ সেবন করবেন ? অসুস্থ হলে কাশি হওয়ার কারণ কি, এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

খুসখুসে বিরক্তিকর কাশির ঔষধ

ফুসফুসে বিরক্তিকর কাশি এটি মূলত শীতকাল শুরু হলেই এটি হয়ে থাকে। তো এই খুশখুসে কাশি ভালো করার জন্য অনেকেই বিভিন্ন ধরনের ঔষধ খেয়ে থাকেন। যে সকল ওষুধগুলো খেলে মূলত অনেক সময় দেখা যায়, অনেক বেশি ঘুম হয়। তো আজ থেকে খুশখুশের বিরক্তিকর কাশির জন্য আর কোন ওষুধ সেবন নয়, 
আজ থেকে ঘরোয়া এই টোটকগুলো আপনারা ফলো করুন দেখবেন আপনার খুশখুসে কাশি খুব দ্রুত সেরে যাবে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কি সেই ঘরোয়া উপায় গুলো যেগুলো ব্যবহার করলে আপনারা খুব দ্রুতই খুসখুসে বিরক্তি প্রকাশ থেকে রেহাই পাবেন।

প্রথমতঃ খুশখুসে বিরক্তিকর কাশির জন্য আদা খুব ভালো একটি উপকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। খুশখুসে কাশির জন্য আপনারা আদা ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত চায়ের সাথে কিংবা গরম পানির সাথে। এজন্য আপনারা প্রথমেই আধাগুলোকে ভালোভাবে কুচি কুচি করে কেটে নেবেন এবং এটা দুই কাপ গরম জলের মধ্যে ভালোভাবে নেড়ে নিবেন এবং এই পানিটা উষ্ণ থাকা অবস্থায় আপনারা পান করবেন। আশা করা যায় এভাবে যদি নিয়মিত কয়েকদিন করেন তাহলে আপনারা খুশখুসে কাশি থেকে রেহাই পাবেন।

দ্বিতীয়তঃ তো হলো ফুসখুসে কাশির জন্য আপনারা মধু ব্যবহার করতে পারেন। মধু একটি খুবই উপকারী ঔষধি যার মধ্যে রয়েছে কিনা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল। এবং এন্টি ইনফ্লামেটর এর উপাদান সমূহ। যা কিনা আপনার গলার সকল ধরনে্র শ্লেষ্মা দূর করবে। তো এটি আপনি কিভাবে ব্যবহার করবেন, প্রথমে আপনাকে একটা লেবু মিশ্রিত করা তা নিতে হবে এবং এ চায়ের মধ্যে আপনাকে মধু মিশ্রিত করতে হবে। তবে সবসময় মনে রাখতে হবে যে ফুটন্ত গরম পানিতে লেবু মিশ্রিত করা যাবে না। তো এই দুই ঘরোয়া পদ্ধতিতেই আপনারা আপনাদের খুশখুসে কাশি খুব দ্রুতই ছেড়ে তুলতে পারবেন।

কাশি হলে কিভাবে ঘুমানো যায়

রাতে কাশি হলে অনেকেই দেখা যায় ঘুম পারতে পারে না এমন পরিমাণে কাশি মাঝেমধ্যে উঠে। তো এটি মূলত বিশেষ করে হয়ে থাকে শীত যখন পড়া শুরু করে, তখন অনেকের অসতর্কতার কারণে ঠান্ডা লেগে যায় এবং এর সাথে সাথেই জ্বর সর্দি কাশি অনেক বেশি চলে আসে। অনেক সময় ঘরের মধ্যে যে কোন একটি জায়গা দিয়ে বাতাস চলে আসে। তো রাতে অবশ্যই আপনারা গলা জড়িয়ে কিংবা মাথা ঢেকে শুয়ে থাকবেন। 
এবং অবশ্যই যদি আপনার অতিরিক্ত কাশি হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত গরম পানি সেবন করবেন এবং সবসময় আদা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন সেই পানির সাথে। এর ফলে আপনি কাশি থেকে রেহাই পাবেন এবং রাতে ঘুমাতে পারবেন। তো আশা করছি জানতে পারলেন কাশি হলে কিভাবে আপনারা রাতে শান্তি ঘুমাতে পারবেন এ সম্পর্কে।

অসুস্থ হলে কাশি হওয়ার কারণ কি

অনেকে জিজ্ঞাসা করেছেন যে অসুস্থ হলেই কাশি হওয়ার কারণ কি ? অনেক সময় দেখা যায় কাশ শীত লাগলে সর্দি জ্বর চলে আসে, কিন্তু এর পাশাপাশি কাশিও চলে আসে কেন। কাশিটা হচ্ছে মূলত একটি প্রদাহ। তো এছাড়াও অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ধূমপান বায়ু দূষণ কিংবা হাঁপানি সমস্যার কারণে অনেকের এই দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসনালীর প্রদাহ অর্থাৎ এই কাশি টি ,অনেকদিন ধরে লেগে থাকে। 

এবং সেটি আবার গুরুতরভাবে হয়ে ওঠে যখন কারো সর্দি কিংবা ঠান্ডা লেগে যায়। তো কাশি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে অনেকের ঠান্ডা লাগলে কাশি হয়। আবার অনেকের ধূমপান করার কারণে বায়ু দূষণ শরীরের মধ্যে প্রবেশ করার কারণে এই কাশি হয়ে থাকে। কাশি হলে আপনারা কি কি করতে পারেন এ সকল করণীয়, এবং ঘরোয়া কিছু উপায় উপরোক্ত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি সেগুলো পড়লে জানতে পারবেন।

দিনের বেলা কাশি হয় কিন্তু ঘুমের সময় কাশি হয় না কেন

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে যাদের দেখা যায় দিনের বেলা অনেক পরিমাণে কাশি হয়। কিন্তু রাতের বেলা কোন রকমের কাশি হয় না তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। আর বিশেষজ্ঞরা অন্যদিকে জানাচ্ছেন উল্টো যে যে, প্রায় অধিকাংশ মানুষ দিনের বেলা ভালো থাকে কিন্তু হঠাৎ করে রাতের বেলা কাশি ওঠার কারণে তারা ঘুমাতে পারে না। 

তো যাদের দিনের বেলায় মূলত কাশি হয় কিন্তু রাতের বেলা কাশি হয় না, এদের মূলত এটি শ্বাসকষ্ট প্রদাহমূলক একটি রোগ। অর্থাৎ এটি অনেক সময় হয়ে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণে ধূমপান কিংবা বায়ু দূষণ হওয়ার কারণে। আর যদি শীতের সময় হয়ে থাকে তাহলে এটি, অবশ্যই ঠান্ডা লাগার কারণে। 
অবশ্যই চেষ্টা করবেন সবসময় সতর্কতার সাথে চলার, যেন কোনোভাবে ঠান্ডা আপনাকে ধরতে না পারে। তা আশা করছি কিসের জন্য মূলত দিনের বেলায় কাশি হয় কিন্তু  ঘুমের সময় কাশি হয় না, এ সম্পর্কে জানতে পারলেন।

সর্বশেষ পরামর্শ

তো আশা করছি অতিরিক্ত কাশি হলে করণীয় কি এবং কি করা উচিত এবং কি কি উপায়ে আপনারা অতিরিক্ত কাশি ভালো করতে পারবেন এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। সুতরাং পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন, এবং অবশ্যই ওয়েবসাইটটি সাবস্ক্রাইব করে রাখবেন। যেন নতুন নতুন তথ্য আসার সাথে সাথে আপনারা পেয়ে যেতে পারেন। তো আজকের মত এ পর্যন্তই, সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url