তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় - তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য

প্রিয় পাঠক মন্ডলী এ পর্যায়ে জানবো, তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে? আমরা শুধু জানি যে তুলসী পাতা এটি অসুস্থ হলেই খেতে হয়। আসলে বিষয়টা তো তা নয়। তুলসি পাতা এটি আপনি মুখে ব্যবহার করতে পারেন। তো চলুন জেনে আসি তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে।
তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় - তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য
তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এবং পুলিশি পাতার বৈশিষ্ট্য কি এবং আপনি তুলসি পাতা রূপচর্চায় কি কি উপকারিতা পেতে পারেন এবং রাম তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য কি? এ সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে নিম্নে পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।

তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য

তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলতে গেলে, তুলসী পাতার গাছ বা তুলসী পাতা মূলত একটি ঘন ঘন শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট তিন থেকে চার ফুট উঁচু এবং এর ডালগুলো বা ফুলগুলো প্রত্যেকটা ডালে ডালে ফুল হয়ে থাকে কিন্তু ডালগুলো ছোট ছোট। 

তাছাড়া তুলসী পাতার মন এবং কাণ্ড তাছাড়া এর যে পাতাগুলো রয়েছে, এ সকল পাতাগুলো প্রায় দুই থেকে চার সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। তাছাড়া এর পাতার কিনারাগুলো খাঁজ কাটা, খাঁজ কাটা হয়ে থাকে। এছাড়াও এর শাখা-প্রশাখের যে অগ্রভাগগুলো রয়েছে এটি পাঁচটি পুষ্পদন্ড বের হয়ে থাকে। 
এবং প্রত্যেকটি পুষ্পদ দন্ডের চারিদিকে দিয়ে ছাতার মতো আকৃতির ১০ থেকে ২০ টি কিংবা তার চাইতেও বেশি কিছু স্তরে স্তরে ফুল থাকে। এমনকি প্রত্যেকটি স্তর .৬ থেকে ৭ টি করে ছোট ছোট ফুল থাকে। তো আশা করছি বুঝতে পেরেছেন পুলিশি পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় বা তুলসী পাতার রূপচর্চায় উপকারিতা সম্পর্কে।

রূপচর্চায় তুলসী পাতার উপকারিতা

আপনি আপনার রূপচর্চার জন্য তুলসী পাতা রস এবং মধু ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইটি হচ্ছে সবচাইতে ভালো ঔষধ যে দুটি ঔষধ ব্যবহার করে, প্রত্যেকটা বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো কিংবা ফেসওয়াস কোম্পানিগুলো এই সকল ক্রিম বা ফেসওয়াশ এর মধ্যে মধু কিংবা তুলসী পাতা মিশ্রিত করে থাকে। এজন্য যদি আপনি তুলসী পাতার ব্যবহার ঘরে বসেই ঘরোয়া উপায়ে করেন তাহলে এতে করে আপনি উপকারিতা দ্বিগুণ বেশি পাবেন। তো চলুন জেনে আসি রূপচর্চার জন্য তুলসী পাতা ব্যবহার সম্পর্কে।
  1. আপনার মুখে যদি হঠাৎ করে কোন রকমের লাল কিংবা কালো রঙের পিম্পল বের হয়ে যায় কিংবা সেটি যদি ফুটে ওঠে। তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি তখন তুলসী পাতা ভালোভাবে বেটে নিবেন নিয়ে এর মধ্যে নিমপাতা মিক্সার করে এটি আপনার পিম্পলের উপর লাগিয়ে দিবেন দেখবেন খুব তাড়াতাড়ি পিম্পল দূর হয়ে গেছে।
  2. আপনার মুখের মধ্যে থেকে যদি পিম্পলের কোনরকম দাগ দূর করতে চান তাহলে আপনি তুলসী পাতা বেটে এর মধ্যে মধু মিক্সার করে প্রত্যেকদিন ১৫ মিনিট করে লাগিয়ে রাখুন দেখুন কিছুদিন পরেই আপনার স্ক্রিন পরিষ্কার হয়ে গেছে।
  3. আপনার মুখে যদিচ ছোপ ছোপ দাগ পড়ে থাকে, তাহলে ভয়ের কোন কারণ নেই দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনি নিয়মিত দুই থেকে তিন দিন, তুলসীপাতা ব্যবহার করবেন দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার মুখের মধ্যকার দাগ উঠে গেছে।
  4. আপনি চুলের যত্নেও তুলসী পাতার ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি তুলে প্রত্যেক দিন তেল দেওয়ার পূর্বে তুলসী পাতার রস মিশিয়ে সেই তেল ব্যবহার করেন তাহলে এতে করে আপনার চুলের মধ্যকার সকল খুকশী এবং চুলকানি দূর হয়ে যাবে। আর এজন্য আপনাকে তুলসী পাতা আগের দিন রাত্রেই ভালোভাবে ভিজিয়ে রাখতে হবে এবং পরের দিন তেলের সাথে সেটি মিক্সচার করতে হবে করে সেটি আপনার তুলে দিতে হবে।
  5. ত্বকের উজ্জ্বলতা যদি আপনি বাড়াতে চান তাহলে তুলসী পাতা ব্যবহার করুন। আপনি প্রত্যেকদিন এক চামচ তুলসী পাতার রসের সাথে দুই টেবিল চামচ মধু মিক্সার করে এটি আপনি ভালোভাবে আপনার মুখে মাখিয়ে দিন দেখুন বিশ মিনিট রাখবেন এভাবে। রাখার পরে দেখবেন আপনার ত্বক থেকে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক পদার্থ গুলো উঠে যাই, এবং উঠে গিয়ে সকল দাগ তুলে দেয় এবং আপনার ত্বককে একটু উজ্জ্বল ত্বক দিয়ে দিবে।
  6. আপনি যদি আপনার মুখের ব্রণ কমাতে চান তাহলে অবশ্যই তুলসীপাতার রসের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। নিয়মিত প্রত্যেকদিন আট থেকে ১০ দিন এভাবে ব্যবহার করতে থাকুন আধা চামচ চন্দনের গুরু নিবেন এবং এর সাথে গোলাপ জল নিবেন নিয়ে এর সাথে তুলসী পাতার রস ব্যবহার করে ভালোভাবে মিক্সার করে এটি আপনার ব্রণের উপর লাগিয়ে দিন। দেখবেন কিছুদিনের মধ্যে আপনার মুখের মধ্য থেকে সকল ব্রণ দূর হয়ে গেছে।
  7. আমাদের মধ্যে অনেকেরই শীতের মধ্যে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায় অনেকেই চিন্তিত হয়ে থাকেন যে এই টপ নিয়ে কিভাবে বাহিরে বের হবো। তো চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। নিয়মিত ১০ থেকে ১২ দিন তুলসী পাতা বেটে এটি ভালোভাবে পরিমাণ মতো মধু নি্বেন, নিয়ে এটি আপনার মুখে ভালোভাবে ১৫ মিনিট ধরে লাগিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার ত্বকের মধ্যকার সকল শুষ্ক ভাব দূর হয়ে গেছে।
তো আশা করছি ইতিমধ্যে জানতে পেরেছেন যে তুলসী পাতার রূপচর্চায় কি কি উপকারিতা রয়েছে এ সম্পর্কে। প্রচলন এবার জানবো তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এই সমস্ত বিষয়ে সম্পর্কে।

তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয়

তুলসী পাতা মূলত এক ধরনের ঔষধি পাতা। আপনি যদি এই পাতা মুখে ব্যবহার করেন। তাহলে আপনি বিভিন্ন রকমের উপকারিতা লাভ করতে পারবেন বিশেষ করে আপনার মুখের মধ্যকার সকল ধরনের দাগ দূর হয়ে যাবে আপনার মুখের মধ্যকার সকল ধরনের ব্যাকটেরিয়া দূর হয়ে যাবে। 

এবং আপনার মুখের মধ্যে তার সকল ধরনের জীবাণুগুলো দূর হবে এবং আপনার মুখ কে করে তুলবে উজ্জ্বল ভাব। এছাড়াও যদি আপনি তুলসী পাতা নিয়মিত আপনার মুখে ব্যবহার করেন তাহলে এর মধ্যে থাকা এন্টি অক্সিডেন্টগুলো আপনার ত্বককে রাখবে রিফ্রেশ এবং সতেজ সবসময়ের জন্য। 

তো তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এই ভিটামিন এবং রয়েছে প্রোটিন, আপনার ত্বকের সকল ধরনের ব্রণ দূর করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তো এজন্যই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন তুলসী পাতা অন্যান্য সকল ব্যবহার করার চাইতে যদি আপনি মুখে ব্যবহার করেন তাহলে এতে করেই আপনি আসল ফলাফলটা দেখতে পাবেন, 
বা তুলসী পাতার ফলাফলটা মূলত দেখতে পাবেন যে তুলসী পাতা কেমন উপকারী, এক ধরনের ঔষধি পাতা। তো এছাড়াও তুলসী পাতা মুখে দিলে আপনার ত্বকের মধ্যে এক ধরনের নূরানী ভাব চলে আসে যদি আপনি মধু এবং তুলসী পাতা ব্যবহার করেন কারণ দুইটার কথায় হাদিসের মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখ করা হয়েছে। তো আশা করছি বুঝতে পেরেছেন যে তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এ সম্পর্কে

তুলসী পাতার চা এর উপকারিতা

তুলসী পাতা অনেকেই অনেক রকম ভাবে খেয়ে থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন তুলসী পাতার চায়ের কি কি উপকারিতা রয়েছে বা এটি যদি আপনি খান তাহলে আপনার শরীরে কি কি উপকারিতা আপনি লাভ করতে পারবেন। হয়তো অনেকে জানেন না। তো আজকে চলুন জানবো যে, তুলসী পাতার চায়ের উপকারিতা কি কি, বা আপনি যদি এই তুলসী পাতার চা খান তাহলে কি কি উপকারিতা লাভ করতে পারবেন।
  1. সর্বপ্রথমে বলবা আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতার চা খান তাহলে এক্ষেত্রে আপনার সর্দি কাশি কিংবা জ্বর আপনার ধারে কাছেও আসতে পারবে না। তাছাড়া যদি আপনার কখনো সর্দি কিংবা কাশি হয় এক্ষেত্রে আপনি তুলসী পাতার চা খেলে সেটি খুব সহজেই ভালো হয়ে যায়।
  2. তুলসী পাতার চা খেলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট সমস্যা দূর হয়ে যায়। অর্থাৎ তুলসী পাতার চা আপনার শ্বাসকষ্টের রোগ ভালো করে দেয়। অর্থাৎ আপনার যদি হাঁপানি কিংবা ব্রংকাইটিস এর মতন রোগ থেকে থাকে তুলসী পাতার চা খাওয়ার ফলে এটি আপনার দূর হয়ে যাবে।
  3. আপনি যদি নিয়মিত তুলসী পাতাটা খান তাহলে আপনার মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যাবে। গবেষণায় জানা গেছে যারা নিয়মিত তুলসী পাতার চা খায় তাদের করোটি সল হরমোনের মাত্রা অনেকাংশে কমে যায়।
  4. নিয়মিত তুলসী পাতার চা খাওয়ার ফলে এটি আপনার রক্তের শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। অর্থাৎ এর মধ্যে থাকা কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট আপনার বিভাগ প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সহায়তা করে।
  5. তুলসী পাতার চা খেলে এটি আপনার দাঁত এবং পেটের মধ্যকার সকল এন্টি ব্যাকটেরিয়াল ক্ষতিকারক জীবাণুগুলো দূর হয়ে যাবে। এমনকি তুলসি পাতার চা" এটি আপনার দাঁতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
  6. নিয়মিত তুলসী পাতার চা খাওয়ার ফলে আপনার ভাতের রোগ দূর হয়ে যাবে খুব সহজেই। কেননা তুলসী পাতার মধ্যে রয়েছে এন্টি ইনফ্লামেটরির গুণ। যা কিনা আপনার জয়েন্টের সকল ব্যথা দূর করে দেয় এবং আর্থাইটিসে আক্রান্ত রোগীদের যে সকল সমস্যাগুলো থাকে এ সকল সমস্যা দূর করে দেয়।
তো আশা করছি জানতে পেরেছেন, তুলসী পাতার উপকারিতা কিংবা তুলসী পাতা বা যদি আপনি নিয়মিত তুলসী পাতার চা খান, তাহলে আপনি কি কি উপকারিতা লাভ করতে পারবেন এ সম্পর্কে।

রাম তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য

তুলসী পাতার বিভিন্ন রকমের ধরন রয়েছে তুলসীপাতার কথা আমরা কম বেশি সকলেই শুনেছি। কিন্তু তুলসী পাতার আবার অনেক রকম রয়েছে রাম তুলসী আবার অনেক সময় দেখা যায় বন তুলসী। তো আজকে বলবো রাম তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। 

আসলে রাম তুলসী হচ্ছে এক ধরনের প্রাকৃতিক ঔষধ। রাম তুলসী এটি যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ এবং সকল ধরনের স্টেস কার তোমার। কমাতে সহায়তা করবে। এছাড়াও রাম তুলসী এমন এক ধরনের তুলসী পাতা যা কিনা আপনার সকল রকমের ক্যান্সারকে দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। 

এছাড়াও এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই তুলসী। এটা আপনার হজম শক্তিকে অনেক বেশি উন্নীত করে তোলে। অন্যদিকে আপনি এই তুলসী ছোট বাচ্চাদেরকে খাওয়াতে পারবেন না কেননা এটি খুবই কড়া এক ধরনের তুলছি। তো আশা করছি জানতে পেরেছেন রাম তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য এবং এতে কি কি কাজ করে থাকে এ সম্পর্কে।

শেষ কথা

তো প্রিয় পাঠক মন্ডলী, আজকে আমাদের পোস্টটি ছিল তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এবং তুলসী পাতার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে। তো আশা করছি তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এবং পুলিশি পাতার কি কি বৈশিষ্ট্য রয়েছে এবং এটি যদি আপনি নিয়মিত সেবন করেন তাহলে কি কি উপকারিতা লাভ করতে পারবেন এ সকল বিষয় সম্পর্কে আশা করি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 
সুতরাং আজকের আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। এবং আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারাও তুলসি পাতা মুখে দিলে কি হয় এই পোস্টটি পরে উপকৃত হতে পারে। তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি, সকলের ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ"

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url