ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

 

আমাদের সমাজে এখন প্রায় শিশুরা এবং বড়রা বিশেষ করে একটি রোগে, খুব বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। ডায়রিয়া হলে করণীয় কি, আর এই থেকে কিভাবে মুক্তি পাবো। যেটা কিনা নোংরা পানি কিংবা নোংরা খাদ্য পেটের মধ্যে গেলে এই সমস্যাটা হয়, তো আমরা অনেকেই জানিনা এর কি কি সমাধান রয়েছে বা ডায়রিয়া হলে করণীয় কি আমাদের কিংবা ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত চলুন জেনে আসি।
ডায়রিয়া হলে করণীয় কি - ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত
ডায়রিয়া হলে করণীয় কি কি আপনার এবং কোন কোন ওষুধ খেলে, আপনার ডায়রিয়াটা খুব দ্রুত কমবে। এবং ডারিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে। এবং কোন কোন ফল খেলে এ ডায়রিয়া পুরো পুরি ভালো হয়ে যাবে, এবং বড়দের যদি হয় তাহলে কি কি করণীয় চলুন বিস্তারিত জেনে আসি।

ভূমিকা

ডায়রিয়া এমন একটি রোগ আমরা প্রায় সাধারণত, প্রত্যেক ব্যক্তি এই রোগে খুব কম বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। আসলে এটি এমন একটি কারণে হয়ে থাকে যেটি খুবই ন্যাচারাল, বলতে গেলে আমাদের সমাজে এখন প্রায় জায়গাতেই নোংরা ছড়াছড়ি। আর এই নোংরা সরাসরি থাকার কারণে আজকে সমাজে প্রায় প্রত্যেক ব্যাক্তি রই এই ডায়রিয়া রোগটা হয়ে যাচ্ছে। 
বিশেষ করে এটা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। কারণ অনেক বাবা মা তাদের সন্তানদেরকে এদিক-ওদিকে ঘোরাফেরা করার জন্য ছেড়ে দিয়ে থাকে, তখন সেই সন্তান কোথায় যাচ্ছে কি নাড়ছে এই সকল দিকে খেয়াল রাখে না। আর এই খেয়াল টা না রাখার কারণে সন্তান এমন একটি ময়লা আবর্জনা জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় কিংবা এমন কোন জিনিস নাড়া নাড়ি করে যার কারণে সন্তান ওই হাত যখন নোংড়ার মধ্যে দেয়।

তখন ওই হাতটাই আবার তার মুখের মধ্যে দিয়ে ফেলে। আর তখন কিছু বোঝেনা ওঠার আগেই বাচ্চার ডায়রিয়া হয়ে যায়। তাহলে চলুন নিম্নে বিস্তারিত জেনে আসি যদি আপনার সন্তানের ডায়রিয়া হয়ে যায় তাহলে তাকে কি কি ওষুধ খাওয়ায়ে,  তাকে সুস্থ করে তুলবেন বা ডায়রিয়া হলে করণীয় কি এবং যদি ডায়রিয়াটা কোন সময় বড়দের হয়ে যায় তখন বড়রা কি কি উপায়ে তাদের ডাইরিয়াকে ভালো করবে।

ডায়রিয়া হলে কি ওষুধ খাওয়া উচিত

ডাইরিয়া আসলে এখন একটি মারাত্মক রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে এটা তাই প্রত্যেক ব্যক্তির এখন হচ্ছে। তার প্রধান কারণ হলো এদিকে ওদিকে দেখেন নোংরা থাকার কারণে। আমাদের সমাজে নোংরার পরিমাণ বেড়ে গেছে কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার পরিমাণ কমে গেছে। যার কারণে ছোট থেকে বড় সকলেরই এই ডায়রিয়াটা হয়ে যাচ্ছে। 

তো এখন এই ডায়রিয়াটা যদি একবার হয়ে যায় তাহলে সেটাকে সারাতে হলে আপনি কি কি ওষুধ খেতে পা্রেন। হঠাৎ করে যদি আপনার পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া হয়ে যায় তখন আপনি কি করেন এটি থামাতে হলে বাজারে গিয়ে নানা রকমের ওষুধ কেনার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। আসলে এটা আমাদের জানা উচিত যে বেশিরভাগ সময় ডায়রিয়ার জন্য। 

কিংবা ডায়রিয়া ভালো করার জন্য আমাদের কোন ওষুধ খাবার প্রয়োজন হয় ্না। আসলে ডায়রিয়া হলে আমাদের শরীর থেকে পানি এবং লবণ বের হয়ে যায় আর সেটা পূরণ করার জন্য স্যালাইন খাওয়ায় আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু সময় ডায়রিয়া এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে এখন যখন আপনি ডায়রিয়া হওয়ার পরে বাজারে ওষুধ কিনতে হলে।

বাজারে বিভিন্ন দোকানে প্রচলিত ডায়রিয়া বন্ধ করার অনেক ওষুধ রয়েছে। যখন আপনার ডায়েরীয়া হয় এবং যখন আপনি ডাক্তারের কাছে যান দোকানে তখন ডাক্তার আপনাকে একটা ওষুধ ধরিয়ে দিবে এবং বলবে যে এটা খান এটা অনেকেই খেয়েছে এবং তাদের কমে গিয়েছে। যখন ডাক্তাররা এরকম লেকচার মারে তখন অনেকেই আছে এই লেকচার শুনে বাসায় গিয়ে ওষুধগুলো সেবন করতে থাকে। 

যেমন তার মধ্যে কিছু কিছু রয়েছে, লোপেরামাইড এবং বিভিন্ন জাতীয় কোডিন এর ঔষধ। আবার অনেক সময় অনেকেই সিপ্রোফক্সিন বা আ্যজিথ্রোমাইসিন এর মত বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ আপনারা খেয়ে ফেলেন। কিম্বা এর সাথে সাথে মেট্রোনিজল এটি একটি খুবই পরিচিত ঔষধ। কারণ প্রায় সময় একটু পাতলা পায়খানা হলেই আমরা এ ওষুধটা খেয়ে ফেলি, ডায়রিয়া হলে করণীয় কি সেটা জানি না। 

কিন্তু সব সময় মাথায় রাখবেন যে প্রয়োজন ছাড়া এই সকল ঔষধ গুলা কখনোই খাওয়া ঠিক হবে না আপনার জন্য। কারণ এই সকল ঔষধ যখন আপনি খাইতে থাকবেন তখন এগুলা আপনার অন্তরে কমিয়ে দিবে। যার ফলে আপনার বারবার যে ইচ্ছাটা জাগে সেটা কমে যাবে। কিন্তু ডায়রিয়া আপনার সারাতে সাহায্য করবে এর কোন প্রমাণ নেই। 

সুতরাং এই সকল ওষুধ থেকে বাচ্চাদেরকে দূরে রাখবেন অর্থাৎ বাচ্চাদেরকে পারলে স্যালাইন বানিয়ে খাওয়াবেন কিন্তু এই সকল ঔষধ যেকোনো কারণে খাবেন না। কারণে সকল ওষুধ যদি বিনা কারণে খান একটু ডায়রিয়া হলে কিংবা একটু পাতলা পায়খানা হলে যদি ওষুধ গুলা খান তখন আপনাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে যেমন মাথাব্যথা করা মাথা ঘোরা মাথা হালকা পাতলা ব্যথা করা কষ্ট কাঠিন্য ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

ডায়রিয়া হলে কি খাওয়া উচিত

এখন আসলে ডায়রিয়া কম বেশি আমাদের সকলেরই হচ্ছে কিন্তু বাচ্চাদের এবং বড়দের অর্থাৎ মুরুব্বীদের এই সকল সমস্যা বেশি দেখা দিচ্ছে। সুতরাং ডায়রিয়া হলে আপনি কোন কোন খাবারগুলো খাবেন যেগুলা খেলে আপনি সুস্থ হয়ে উঠবেন অর্থাৎ ডায়রিয়া হলে করনীয় কি চলুন নিম্নে নিয়ে বিস্তারিত জেনে আসি।
  1. পানিঃ গৃহবন্দর আপনার যদি ডায়রিয়া হয়ে থাকে এবং এই ডায়রিয়া থেকে যদি আপনি মুক্তির কোন উপায় খুঁজে দেখেন তাহলে এর প্রথম উপায় হল পানি খাওয়া। কারণ ডায়রিয়ার হওয়ার কারণে আমাদের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। আর যেটার কারণে কিনা আমাদের শরীর অনেকটা দুর্বল মনে হয় এবং বমি বমি ভাব সহ মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে যায় আর এজন্যই তখনই আপনাকে ঘন ঘন পানি পান করতে হবে।
  2. কলাঃ আপনার ডায়রিয়া বন্ধ করার জন্য কলা খাওয়া। কারণ ডায়রিয়া হওয়ার কারণে আপনার শরীর থেকে পানি সহজে সকল পুষ্টিগুলো বের হয়ে যায় এগুলো ফ্রি আনতে কলার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর তাছাড়া বিশেষ একটি উপকারিতা হলো কলা সহজেই আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয় এবং সাথে সাথে পেটের ব্যথাও দূর করে দেয়।
  3. খিচুড়িঃ আপনার যখন ডায়রিয়া হয় তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের বাজারজাত দ্রব্য ভাজাপোড়া কিংবা বাইরের কোন খাবার খাবেন না। এটা করে আপনার ডায়রিয়ার সমস্যা না কমার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং ভাষাতেই ভালো করে ডাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করে খাবেন আপনার পেট সুস্থ থাকবে এবং আপনার শরীরে শক্তি যোগাবে।
  4. ফলের রসঃ হচ্ছে তখন আপনি বুঝতে পারতেছেন যে আপনার শরীর থেকে অনেক পরিমাণে পানির সল্পতা এবং পুষ্টির স্বল্পতা দেখা দেয়, ওই মুহূর্তে তখন আপনি বিভিন্ন রকমের ফলমূল খেতে পারেন যেমন কমলা ডাব ডালিম তরমুজ বিশেষ করে এর সাথে পানি জাতীয় অর্থাৎ রস জাতীয় যে সকল ফলমূল রয়েছে এ সকল ফলমূল গুলা বেশি বেশি খাবেন।
  5. আলুঃ আপনি যখন বুঝতে পারতেছেন যে আপনার অধিক পরিমাণে ডায়রিয়া হয়ে যাচ্ছে তখন আপনি বিশেষ করে সামান্য পরিমাণ লবণ এবং গোল মরিচের গুড়া যদি থাকে তাহলে সেটা দিয়ে আপনি বাড়িতে সিদ্ধ করে খেতে পারেন আলু। কিংবা বাড়িতে বলবেন যে ভর্তা করে দিতে কারণ আলুর ভর্তা খেলে আপনার ডায়রিয়া অনেকাংসে কমে যাবে।

বড়দের ডায়রিয়া হলে করণীয় কি

ডায়রিয়া এখনো ছেলে বড় এবং ছোট দেখে শুনে হয় না। তবে এটা প্রায় সময় বড়দেরও খুব মারাত্মকভাবে হয়ে থাকে তো এই ডায়রিয়ার হওয়ার অনেকগুলো কারণ রয়েছে যে সকল কারণগুলো থেকে যদি বাঁচতে পারেন তাহলে আশা করি আপনাদের ডায়রিয়াটা কমে যাবে। যে সকল কারণে আসলে সবচেয়ে বেশি আমাদের পাতলা পায়খানা কিংবা ডায়রিয়া হয়ে যায় তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হলো।
ডায়রিয়ার কারণঃ
  • আপনার পেটের জীবনর আক্রমণে আপনার ইনফেকশন হয়ে যাওয়া। যাকে আমরা গেস্টো অ্যন্ডেরাইটিস বলে থাকি। এটি বেশিরভাগ সময় হয়ে যায় কিন্তু এটি কয়েকদিনের মধ্যেই সেরে যায়।
  • নরওভাইরাস নামের এক ধরনের ভাইরাস রয়েছে এই ভাইরাসের কারণে অনেক সময় হয়ে থাকে।
  • অনেক সময় আবার ডায়রিয়া হয়ে থাকে আমাদের খাবারের বিষক্রিয়ার কারণে। কারণ অনেক সময় খাবারের সাথে এমন কিছু ঢুকে যায় যেগুলা কিনা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আর এ সকল ক্ষতিকর খাবার গুলো যখন আমাদের পেটের মধ্যে ঢুকে যায় তখন আমাদের ডায়রিয়া হয়ে থাকে।
  • আর তাছাড়া অনেক সময় ঔষধের যেকোন রকমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার কারণে আমাদের ডায়রিয়া হয়ে যায়।
  • তো এখন এই ডারিয়া হলে আপনার কি কি করনীয় এবং কি কি কাজ করলে আপনি ডায়রিয়া থেকে মুক্ত হতে পারবেন এবং সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন। চলুন তাহলে বিস্তারিতভাবে সেগুলো জেনে আসি।
ডায়রিয়া হলে করনীয় কিঃ
  • আপনি যখন টয়লেটে যাবেন এবং টয়লেট শেষ করে যখন বাহির হবেন তখন আপনি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে আপনার হাত ধুয়ে নিবেন।
  • আপনার কাপড় চোপড় কিংবা বিছানা যখন দেখবেন যে পায়খানা কিংবা বমির কাছে এসেছে তখন আপনি সেগুলোকে আলাদা করে ধুয়ে ফেলবেন এবং তারপর সেগুলো ব্যবহার করবেন।
  • অনেক সময় পায়খানার দরজার শিকল কিংবা হাতল সহ বিভিন্ন রকমের হাতল সমূহে, জীবাণুর প্রভাব হয়ে থাকে অতএব এ সকল জায়গায় হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
  • যদি সম্ভব হয় আপনি, যদি নিয়মিত রান্নাবান্না করে থাকেন তাহলে ডায়রিয়া যখন হবে তখন আপনি রান্না করা থেকে বিরত থাকবেন।
  • এবং আপনার যখন ডায়রিয়া হয়ে যাবে তখন আপনি যেই থালা বাসন খান কিংবা চুরি কিংবা চামচ কিংবা গোসলের সময় যে সকল গামছা কিংবা তোয়ালে ব্যবহার করেন এ সকল তোয়ালে গামছা সকল কিছু আলাদা করে নিবেন শুধু আপনার জন্য।
  • আর যখন আপনার ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখতেছেন চলে যাচ্ছে, তখনও আপনি পুরোপুরি আলাদা অবস্থায় থাকবেন। আলাদা খাবেন আলাদাভাবে গোসল করবেন আলাদা আলাদা চলাফেরা করবেন। যতক্ষণ না দুই সপ্তাহ পার না হচ্ছে আপনার ডায়রিয়া ভাল হওয়ার কতক্ষণ পর্যন্ত আপনি নিয়মগুলো মেনে চলুন আশা করি আপনি খুব সহজেই ডায়রিয়া থেকে মুক্ত হতে পারবেন বা ডায়রিয়া হলে করণীয় কি বুঝতে পেরেছেন।

ডায়রিয়া হলে কি কি খাওয়া যাবে না

আমাদের যখন ডায়রিয়া হয়ে যায় তখন আমাদের অনেক কিছু নিয়ম করে মেনে খেতে হয়। অর্থাৎ যে কোন কিছু খেলে আমাদের পেটে আবার সমস্যা হতে পারে এবং ডায়রিয়া আরো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। এজন্য আপনি ডায়রিয়া হলে করণীয় কি, বা যে সকল খাবারগুলো খাবেন না সেগুলো নিম্নে বিস্তারিত বলা হলো-
চা কিংবা কফিঃ আপনার যখন ডায়রিয়া হবে তখন আপনি কখনোই চা কিংবা কফি খাবেন না কারণ এগুলোতে রয়েছে ক্যাফিন জাতীয় খাবার। যেগুলা কিনা আপনার পেটের জ্বালাপোড়া অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে। তবে আপনি চায়ের পরিবর্তে চায়ের সাথে যে আদা দেয় এই আদাটা খেতে পারে না।
দুধঃ আপনার ডায়রিয়া সম্পন্ন ভালো না হওয়া পর্যন্ত আপনি দুধের ধারে কাছে যাবেন না কারণ দুধ খেলে আপনার ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। কারণ দুধ আমাদের অনেক সময় গ্যাসের সমস্যা করে এবং এটি আমাদের হজমেরও সমস্যা করে থাকে। তাই দুধ না খাওয়াই ভালো, ডায়রিয়া যতক্ষণ না ভালো না হচ্ছে।
ঝাল কিংবা তেল জাতীয় খাবারঃ আপনার যখন ডায়রিয়া হয়ে যায় তখন আপনি মসলা জাতীয় কিংবা অধিক বেশি ঝাল জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলবেন। কারণ এতে করে আপনার পেটে অধিক বেশি গ্যাস হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে আর যার কারণে আপনাকে বারবার বাথরুমে দৌড়াতে হবে।
মদ পান করাঃ ডায়রিয়া এমন একটি রোগ জীবাণুর কারণে যেটি হয়ে থাকে, সুতরাং মদ যদি পান করেন এতে করে আপনার পেটে আরও বেশি জীবাণুর সৃষ্টি হতে পারে এবং এটি আপনার হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। অর্থাৎ আপনি মদ পান থেকে বিরত থাকবেন যতক্ষণ না ডায়রিয়া ভালো না হচ্ছে।

ডায়রিয়া হলে কি ফল খাওয়া যাবে

ডায়রিয়া হলে ফল অবশ্যই খাওয়া যাবে কিন্তু এমন কিছু ফল খাওয়া যাবেনা যে সকল ফল গুলা রস ছাড়া জাতীয়। অর্থাৎ আপনাকে ফলমূল খেতে হবে অবশ্যই কিন্তু রস জাতীয় যেগুলো আছে কিনা আপনার শরীরের পানির পরিমাণ বাড়িয়ে দিবে। কারণ আপনার যখন ডায়রিয়া হয় কিংবা পাতলা পায়খানা হয়। 
তখন এটা কারণে আপনার শরীর থেকে পানির পরিমাণ কমে যায় এবং পুষ্টির পরিমাণও কমে যায়। অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আপনার পানির স্বল্পতা দেখা দেয়। সুতরাং পানি জাতীয় ফল বেশি বেশি খাবেন। এবং যদি এমন কোন ফল খাওয়ানো হয় যে সকল ফলগুলো রস করে খাওয়া যায়। 

তাহলে চেষ্টা করবেন, ওই ফলগুলো রস করে খাওয়ার। কারণ যে কোন ফল রস করে খেলে এটি আপনার ডায়রিয়া হতে সুস্থ করতে অধিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে ডায়রিয়া যদি হয় কিংবা পাতলা পায়খানা যদি হয় তাহলে আপনি রস জাতীয় ফল খেতে পারেন।

সর্বশেষ পরামর্শ

সব সময় মনে রাখবেন ডায়রিয়া একটি মারাত্মক রোগ বাহির একটি জীবাণু জাতীয় রোগ। যেটি কিনা শুধু আপনারই নয় এটি আপনার কারণে পরিবারস্থ লোকদেরও হতে পারে। কারণ এটি একটি ছোঁয়াচে অর্থাৎ মারাত্মক জীবাণু বাহি রোগ। সুতরাং ডায়রিয়া হলে করনীয় কি. আশা করি উপরে পুরো পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন। 

যে ডায়রিয়া হলে আপনার কি কি করনীয় এবং কোন কোন খাবার খেলে, আপনি ডায়রিয়া থেকে বাঁচতে পারবেন এবং কি কি করা থেকে বিরত থাকতে হবে যদি আপনার ডায়রিয়া হয়। তো আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url