খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

 আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় বন্ধুরা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি। আসলেই কি কোন গুনাগুন হয়েছে ? আমি তাদের জবাবও বলবো যে হ্যাঁ অবশ্যই খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এবং সঠিক নিয়মে যদি কেউ না খায় তাহলে এর কিছু অপকারিতাও রয়েছে।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
সুতরাং চলুন জেনে আসি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এবং দিনে কয়টা করে আমাদের খেজুর খাওয়া উচিত এবং খালি পেটে কি খেজুর খাওয়া যাবে? এই সকল বিষয়ে পুরোপুরি বিস্তারিত জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।

খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

খেজুর এমন একটি ফল যেটি কম বেশি ছোট বড় সকলেই আমরা খেতে ভালবাসি। আর এই খেজুর গাছটি বেশিরভাগ সময় গরমের অঞ্চলে জন্মায়। আবার এই খেজুর তাজা ও হতে পারে কিংবা অনেক সময় শুকনাও হতে পারে। এই খেজুরের আবার বিভিন্ন রকমের ধরনও রয়েছে।খেজুর একটি খুবই স্বাস্থ্যবান ফল। 

যার কথা কোরআনে এবং হাদিসে অনেক জায়গায় উল্লেখ রয়েছে। এবং যেটা প্রিয় নবী মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও সেবন করতেন। এবং তিনি সেটা নিয়মিত খেতেন। এবং তিনি তার উম্মতদেরকে বলেছেন যে তোমরাও এই উপকারী খেজুর খেতে পা্রো। তাছাড়া এই খেজুর একটি এমন ফল। 
যেটা কিনা মানুষ পবিত্র রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারে খেয়ে থাকে। এছাড়াও এই খেজুরের অনেকগুলো গুণাগুণ রয়েছে। এবং এ খেজুর যদি কেউ সঠিক নিয়মে না খায় তাহলে তার জন্য এটি কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। চলুন নিম্নে জেনে আসি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্ক।
  • খেজুর হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করেঃ খেজুর এমন একটি ফল যেটি আমাদের শরীরের হজম শক্তিকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। কারণ আমরা জানি যে খেজুরের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার। যেটা কিনা আমাদের খাদ্য হজম শক্তিকে বাড়াতে সাহায্য করে।
  • খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে আমাদের সহায়তা করে। কারণ আমরা জানি যে খেজুরের মধ্যে রয়েছে ফাইবার। যেটা কিনা আমাদের শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
  • খেজুর আমাদের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করেঃ খেজুর সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। কেননা খেজুরের মধ্যে জাইসেমিক খুবই কম থাকে। যেটা কিনা রক্তের মধ্যে শর্করার মাত্রাটা কমাতে সহায়তা করে।
  • খেজুর হাড় মজবুতে সহায়তা করেঃ খেজুর এমন একটি ফল যেটি কিনা আমাদের শরীরের হার কে শক্ত করে তোলে। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়া্ম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ফসফরাস। যেটি আমাদের হাড়কে মজবুত করে।
  • খেজুর মস্তিষ্ককে বৃদ্ধি করেঃ খেজুর আমাদের মস্তিষ্কে তীক্ষ্ণতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। কেননা এটা রয়েছে নিউরো ডিজেনারেটিভ রোগের মতো বড় রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। আর খেজুরের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি যেটা কিনা আমাদের স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে।
  • খেজুর পুরুষের যৌন ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলেঃ খেজুর পুরুষের যৌন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত সঠিক পরিমাণে খেজুর খায়, তাহলে সেই পুরুষের শুক্রানু বৃদ্ধি পায়। কারণ খেজুরে রয়েছে স্টা এসটাডিওল যার দ্বারা শুক্রানুর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়।
  • খেজুর চুলের জন্য উপকারীঃ আমরা অনেকেই জানি না যে খেজুর খাওয়া আমাদের চুলের জন্য কতটা উপকারী। খেজুরের মধ্যে আসলে রয়েছে হচ্ছে আইরন যেটা আমাদের সুপে মজবুত করতে সাহায্য করে।
  • রক্তশূন্যতার জন্য খেজুর উপকারীঃ আমাদের অনেকেরই রক্ত মাঝে মধ্যে সল্পতা অর্থাৎ শূন্যতা দেখা দেয়, এটির প্রধান কারণ হলো খেজুর না খাওয়া। খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণের আয়রন যদি কিনা আমাদের রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। অধিকাংশ ব্যক্তি খেজুর না খাওয়ার কারণে তারা রক্তশূন্যতা ভুকতেছে।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলেঃ খেজুর যেটা কিনা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
  • খেজুর হার্ট কে সুরক্ষিত রাখেঃ আমাদের অনেকেরই হার্ড অনেকটা দুর্বল, এর একটি অন্যতম কারণ হলো খেজুর না খাওয়া। খেজুর খেলে আমাদের শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়, এবং ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে করে।

পুরুষদের জন্য খেজুরের উপকারিতা

আসলে পুরুষদের জন্য খেজুর একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কারণ প্রত্যেকটা পুরুষ মানুষেরই প্রত্যেকদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে খেজুর খাওয়া উচিত। কেননা তারা প্রত্যেকদিন অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যায় আর এই অক্লান্ত পরিশ্রমের পরেই খেজুর খাওয়াটা তার শরীরের জন্য খুবই ভালো। আরে খেজুর পুরুষ নারী বিবেচনা করে খাওয়ার কোন জিনিস নয়। 

এটি সকল ধরনের ব্যক্তিরা খেতে পারবে। কারণ এটি এর উপকারিতা ছোট বড় সকলের জন্যই রয়েছে। খেজুর পুরুষদের জন্য খাওয়ার বিশেষ উপকারিতা রয়েছে কেননা, প্রত্যেকটা পুরুষেরই দরকার হয় তাদের শরীরে যেন অধিক বেশি শক্তি থাকে। কেননা এই শক্তির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন রকমের কাজকর্ম করে থাকে। 

এবং কেউ যদি নিয়মিতভাবে প্রত্যেকদিন সকালে কিংবা সন্ধ্যায় নিয়মিত খেজুর খায় তাহলে সেই ব্যক্তির শরীরে কোন রোগ ব্যাধি আক্রমণ করতে পারবে না। স্বার্থ ছাড়া একজন পুরুষ দিনরাত 24 ঘন্টা খাটতে থাকে, সুতরাং তাদের দেহে খারাপ হিমোগ্লোবিন প্রবেশের মাধ্যমে বেশি হয়ে থাকে। 

সুতরাং হিমোগ্লোবিন তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে খেজুর প্রত্যেকদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। কারণ খেজুর খেলে শরীর থেকে খারাপ হিমোগ্লোবিন গুলো বাহির হয়ে যায় এবং ভালো হিমোগ্লোবিন তৈরি হতে থাকে। আর তাছাড়া প্রত্যেকটা পুরুষেরই দরকার তারা যেন সঠিকভাবে তাদের স্ত্রীদেরকে সুখ দিতে পারে। অর্থাৎ এখানে আসল কথা বলতে চাচ্ছি যে, 

কোন পুরুষ যদি নিয়মিত খেজুর খায় তাহলে তার শরীরে শুক্রাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। আর তাছাড়া তারা বিভিন্ন ধরনের বড় বড় বহু বহু অর্থাৎ হার্ট এটাকের মতন, বড় রোগ থেকে বাঁচতে পারে। বুঝতে পেরেছেন যে পুরুষদের জন্য ফেসবুকটা কতটা উপকারী একটি খাদ্য। তো আশা করি জানতে পেরেছেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত

খেজুরের আসলে স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে সবাই কম বেশি জানি। আসলে আমরা রমজান মাস ছাড়া খেজুরের কোন দাম দেই না। আসলে খেজুরটা তো শুধু রমজান মাসে খাওয়ার জন্যই আসে নাই। এটি প্রত্যেকটা ব্যক্তির জন্য নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখা প্রয়োজন এই খেজুর। 

কারণে এতে রয়েছে অত্যাধিক পরিমাণে পুষ্টিগুণ। আর তাছাড়া এটা যদিও মিষ্টি ফল সমৃদ্ধ এবং এটি কিনা আমাদের শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। আবার এই খেজুর খাওয়ার কিছু কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো আমাদের সবসময় মাথায় রাখা উচিত। 

অর্থাৎ খেজুরের নানা রকম উপকারিতা থাকলেও সকাল বিকাল খেজুর খাওয়া এটা ঠিক হবে না। কারণ আমরা জানি যে অতিরিক্ত যে কোন খাবারই আমাদের শরীরের জন্য বিপদ ডেকে আনে। সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী দিনে ৪ - ৫ টি করে খেজুর খাওয়া উচিত। 

আর এই পরিমাণ যদি খেতে পারেন তাহলে এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো হবে। ৪ - ৫ টি কিংবা ১০০ গ্রাম খেজুর এই মিলবে হচ্ছে ২৭৭ গ্রাম ক্যালোরি। কারণ খেজুর প্রচন্ডভাবে বৃষ্টি হওয়ার কারণে এটি আমরা অনেকে বেশি খেয়ে থাকি, সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যে যদিও খেজুর ওজন কমাতে সাহায্য করে। 

কিন্তু যদি আপনি নিয়মিতভাবে খান তাহলে এই খেজুর আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আশা করি জানতে পারলেন খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বা দিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত এ সম্পর্কে।

দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

প্রিয় পাঠক মন্ডলী অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ভাইয়া দুধ ও খেজুর খেলে কি কোন উপকারিতা রয়েছে ? আমি বলব যে হ্যাঁ অবশ্যই রয়েছে। অর্থাৎ কেউ যদি প্রত্যেকদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস দুধের সাথে দুটি করে খেজুর মিশিয়ে খায়। 
তাহলে তার শরীরে বিভিন্ন রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সাহায্য করবে। কারণ খেজুরের মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যেটা কিনা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। আর কেউ যদি দুধের সাথে খেজুর খায় তাহলে তার মন সবসময় ভালো থাকে এবং আরো অনেক রকমের উপকারিতা হয়ে থাকে।
  • রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়ঃ আমরা জানি যে খেজুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যেটা কিনা আমাদের রক্তের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অর্থাৎ হিমোগ্লোবিনটাকে বাড়াতে সাহায্য করে।, বিশেষজ্ঞদের গবেষণায় জানা গেছে যে, দুধ খেজুর কেউ যদি ভিজিয়ে রেখে কিছুক্ষণ পর পর গরম করার পর ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী কোনো মানুষ যদি প্রত্যেকদিন খালি পেটে এই খেজুর খায়, তাহলে মনে রাখবেন যে ১০ দিনের মধ্যেই ওই ব্যক্তির শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে গেছে।

  • বয়সের চাপ দূর করতে সহায়তা করেঃ খেজুরে এবং দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট, যেটা খাবার কারণে মুখে বয়স বাড়ার যে সাপটা পড়ে যায় এবং মুখের চামড়া গুলো যেভাবে কুচকিয়ে যায় এইগুলা সব ছাপ দূর হয়ে যায়। কেউ যদি নিয়মিতভাবে পরিমাণ মতো খেজুর এবং দুধ খায়।

  • প্রজনন ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলেঃ দুধের সঙ্গে প্রত্যেকদিন যদি কেউ খেজুর ভিজিয়ে খায় সেটা বুঝো কিংবা নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রজনন ক্ষমতা কে বাড়িয়ে তোলে। কারণ এটি একটি শক্তিশালী কম্বিনেশন অর্থাৎ এটি সব বয়সী পুরুষ এবং নারীদের যৌন ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। সে ক্ষেত্রে কয়েকটি খেজুর আপনি গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে দুধের সাথে খেতে পারেন।

  • চোখের সমস্যা দূর হয়ে যায়ঃ আমাদের অন্যকেই অল্প বয়সেই চোখে ঝাপসা দেখেন কিংবা কম দেখেন, তাদের জন্য বলব যে তারা যেন নিয়মিতভাবে দুধ এবং খেজুর খায়। কেননা চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে যদি কোন ব্যক্তি নিয়মিত দুধ এবং খেজুর খায় তাহলে তাদের দৃষ্টিশক্তি অনেকটা তীক্ষ্ণ হয়ে যায়।

  • ত্বকের এবং চুলের সমস্যা দূর করেঃ দুধ এবং খেজুর আপনার চুলের এবং ত্বকের অন্যতম একটি ঔষধ। যেটা কিনা আপনার ত্বকের বিভিন্ন ধরনের শ্রদ্ধার্ঘ দূর করে দিবে। তাছাড়া আপনার চুলে যদি ভিটামিনের চাহিদা কম থাকে তাহলে সেটা পূরণ করে দিবে।
আশা করি জানতে পেরেছেন যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা বা দুধ এবং খেজুরের মধ্যে কেমন গুনাগুন এবং এগুলা খেলে কি কি উপকারিতা আপনার হতে পারে।

খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা

আমরা অনেকেই জানিনা যে সকালে কোন ব্যক্তি যদি নিয়মিত খেজুর খায় খালি পেটে তাহলে তার কি কি উপকারিতা হতে পারে। আমাদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় একটি খাবার হচ্ছে খেজুর। যেটা কিনা আমরা রমজানের সময় প্রায় বেশি খেয়ে থাকি, ইফতার এবং সাহারিতে। কিন্তু এটা শুধু রমজান মাসে নয় এটা সারা বছর খাওয়া যেতে পারে। 

কোন ব্যক্তি যদি প্রত্যেকদিন সকালে খালি পেটে নিয়মিতভাবে খেজুর খায় তাহলে কোন রোগী তার কাছেও ভিড়তে পারবে না। অর্থাৎ আপনার ঘাটতি থেকে থাকে তাহলে খেজুর খাওয়ার পরে আপনার শরীরের আয়রনের ঘাটতিটা পূরণ করে দিবে। আর তাছাড়া খালি পেটে যদি কোন ব্যক্তি খেজুর খায় তাহলে খেজুরে গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন রয়েছে। 

ভিটামিন এ, এবং ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, প্রোটিন, ফাইবা্র, সালফার। ইত্যাদির ঘাটতি পূরণ করে দেয়। কারণ আমাদের শরীর সবসময় ক্লান্ত অবস্থায় থাকে। আর তাছাড়াও কিছুদিন পূর্বে একজন পুষ্টিবিদ জনাব ইশরাত জাহান বলেন, যদি কেউ প্রত্যেকদিন সকালে পাকা খেজুর খাই তাহলে সেটা তার শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এন্টিঅক্সিডেন্ট গুলা নিয়ে আসে। 

কারণ এতে প্রায় ৮০% চিনি জাতীয় উপাদান থাকে। প্রত্যেকদিন সকালে কোন ব্যক্তি খালি পেটে খেজুর খেলে তার জন্য বিশেষ বিশেষ উপকারিতা হয়। তাছাড়া কোন ব্যক্তি যদি জিম করে, তাহলে জিম করার পূর্বে খেজুর খাওয়া তার শরীরের জন্য ভালো। আর তাছাড়া খালি পেটে খেজুর খেলে আপনার শরীরের ওজনটা মাপ মতন থাকবে। 

অর্থাৎ মাত্র কয়েকটা খেজুর যদি আপনি খান তাহলে সেটা আপনার ক্ষুধার জ্বালাও কমিয়ে দেয়। আর এছাড়াও খেজুর যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক দিন খালি পেটে খায় তাহলে তার, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেবারে দূর হয়ে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন খালি পেটে খেজুর খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে।

খেজুর খাওয়ার উপযুক্ত সময়

খেজুর খাওয়ার সময় বলতে, আপনি প্রত্যেকদিন সকালে খেজুর খেতে পারেন। এবং রাত্রে ঘুমানোর পূর্বেও আপনি খেজুর খেতে পারেন কারণ দুই সময় আপনার খেজুরটা খুবই উপকারী। আর এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় আছে যেগুলো সময় আপনি খেজুর খেতে পারেন যেমন -সকালে যখন ঘুম থেকে উঠবেন উঠে সকালে ১১ টার দিক দিয়ে। 

এবং বিকেলে চারটের দিক দিয়ে প্রতিদিন একটা নিয়ম তালিকা করে খেজুর খেতে পারেন। আর প্রত্যেকদিন মনে রাখবেন যে তিন থেকে পাঁচটা খেজুর খাওয়া উচিত। আমরা অনেকেই খেজুরের বিশেষ উপকারিতা আমরা অনেকেই রয়েছি যারা খেজুরের বিশেষ বিশেষ কিছু উপকারিতা রয়েছে এগুলো আমরা জানি না, 
আমরা জানি যে প্রাচীনকাল থেকে খেজুর একটি জনপ্রিয় খাবার। আর অন্যান্য যত রকমের ফল রয়েছে এই সকল ফলের চেয়ে খেজুরের উপকারিতা অনেক গুণ বেশি। যেমন কয়েকটা বলি, এটি আপনার দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করবে, ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে দেয়।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ,আপনারা অনেকেই জানতে পেরেছেন যে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা কি কি রয়েছে এ সকল বিষয় সম্পর্কে। আসলে খেজুর খাওয়ার উপকারিতা গুনাগুন বেশি, এখন কেউ যদি এই খেজুরটা অনিয়মিতভাবে খায় তাহলে তার জন্য এটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য সঠিক সময়ে সঠিক নিয়মে প্রত্যেকটা ফল ফলাদি খাওয়া উচিত। 

আর এছাড়া খেজুরে রয়েছে বিভিন্ন রকমের প্রোটিন ফাইবার ইত্যাদি সকল ভিটামিন। যেগুলো কেন আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ওজনের দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর তাছাড়া আপনারা যারা ডায়াবেটিসের রোগী রয়েছেন তারা খুব অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করবেন খেজুর। 

কেননা কিছু কিছু খেজুর রয়েছে অনেক পরিমানে মিষ্টি। অর্থাৎ যেগুলা কিনা অধিক মিষ্টি দিয়ে পাকানো হয়। তো সবসময় চেষ্টা করবেন ভালো মানের খেজুর খাওয়ার, যেটা আপনার শরীরের জন্য ভালো হবে এবং আপনার খেতেও ভালো লাগবে। আশা করি পুরো পোস্টটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url