পড়া মনে রাখার সহজ কৌশল - পড়া মনে রাখার মন্ত্র

সুপ্রিয় বন্ধুরা আজকে তোমাদের সামনে আলোচনা করব যে পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল কি। এবং পড়া মনে রাখার মন্ত্র কি, আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা জানিনা কিভাবে পড়া করলে পড়া মনে থাকবে। এবং কি কি উপায়ে আমরা সহজে পড়া মুখস্ত করে ফেলতে পারবো।

পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল - পড়া মনে রাখার মন্ত্র
তাহলে চলো দেরি না করে জেনে আসি পড়া মনে রাখার কিছু ইসলামিক টিপস এবং কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকবে এবং পড়ার আগে কিছু খাবার আছে কিনা ও পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল যেগুলা খেলে আমাদের পড়া তাড়াতাড়ি মুখস্থ হবে। বিস্তারিতভাবে জানতে পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণভাবে পড়ুন।

পড়া মনে রাখার ইসলামিক উপায়

প্রিয় বন্ধুরা আমরা সকলেই চাই যে, আমরা বিশেষ করে যারা ছাত্র আছি তারা সকলেই চাই যে আমাদের পড়া যেন সবসময় মনে থাকে এবং পরীক্ষায় গিয়ে যেন আমরা সঠিকভাবে মনে করে লিখতে পারি এজন্য আমাদের পড়াটা পুরোপুরি মনে রাখা দরকার। অনেকে জানতে চেয়েছেন যে ভাইয়া পড়া মনে রাখার কোন ইসলামিক উপায় রয়েছে কি? 
আমি বলব যে হ্যাঁ অবশ্যই রয়েছে কিন্তু এর আগে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে পড়াশুনা না করলে আপনি ইসলামিক উপায়েও আপনার পড়া মনে রাখতে পারবেন না, যদি আপনি পড়াশোনা না করে থাকেন। এজন্য আমাদেরকে পড়াশোনা করতে হবে এর পাশাপাশি কিছু ইসলামিক উপায়ে রয়েছে যেগুলো ফলো করলে আপনার পড়াশোনায় আরো বেশি মনোযোগ হবেন এবং আপনার পড়া আগের চাইতে বেশি মনে রাখতে পারবেন এবং পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল। চলুন জেনে আসি কি কি সেই উপায় গুলো -
  • আপনি যখন পড়ার ইচ্ছা করবেন অর্থাৎ পড়ার টেবিলে যখন বসবেন তার কিছুক্ষণ আগে আপনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত শুনে আপনি পড়তে বসবেন।
  • সব সময় মনে রাখবেন আপনি একনাগারে বেশিক্ষণ করবেন না কারণ এক নাগারে বেশিক্ষণ পড়লে আপনার ব্রেনের উপর অধিক বেশি চাপ পড়ে যায়, এজন্য পড়ার ফাঁকে ফাঁকে আপনি বিরতি দেওয়ার চেষ্টা করবেন এবং ব্রেক নেওয়ার চেষ্টা করবেন যাতে আপনি যেটুকু পড়াশোনা করেছেন এতটুকু যেন মেমোরাইজড করতে পারেন।
  • আপনার এটা মনে রাখা উচিত যে পড়াশোনা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো ফজরের নামাজের পর অর্থাৎ অধিক সকালে। আপনি ধরেন দিনে পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা করে পড়াশোনা করেন কিংবা আপনাকে.৫ - ৬ ঘন্টা করে পড়াশোনা করতে হয়। তাহলে আপনি তার থেকে দুই তিন ঘন্টা পড়াশোনা আপনি সকাল সকাল কমপ্লিট করে নিবেন। কারণ এতে করে আপনার সকালে বেলা আপনার মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে।
  • পড়াশোনার ক্ষেত্রে আপনি একে অপরের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবেন অবশ্যই এবং তবে নিজেকে হতাশ হলে চলবে না এটা সবসময় মাথায় রাখবেন। নিজের জন্য যে কোন নিয়ম আপনি বেটার মনে করবেন কোন স্টুডেন্টকে আপনি আপনার আগে যেতে দিবেন না, এবং সব সময় অন্যের দিকে না তাকিয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
  • পড়াশোনার পাশাপাশি যখন আপনি ব্রেক নিবেন ব্রেকের মাঝখানে আপনি বিভিন্ন অনলাইন কিংবা ইন্টারনেটের মধ্যে ঢুকবেন না আপনি বাহিরে ঘোরাফেরা করবেন কিংবা অন্য কোন কিছু নিয়ে আলাপ আলোচনা করবেন। যাতে করে আপনার মস্তিষ্ক আপনার ব্রেইন সোশ্যাল মিডিয়ায় আটকে না যায়।
  • আশা করি এই সকল টপিকগুলো যদি আপনি মেইনটেইন করতে পারেন তাহলে আপনি সঠিকভাবে পড়াশোনা যেগুলো করবেন সেগুলা মনে রাখতে পারবেন এবং পরীক্ষার হলে গিয়ে সঠিকভাবে লিখে আসার, আর পড়া মনে রাখার গোপন কৌশলআশা করতে পারেন।

পড়া মনে রাখার মন্ত্র

আমরা অনেকেই অনেক রকম ভাবে যে কোন রকমের পড়াশোনা মনে রাখার চেষ্টা করি এরকম ভাবে অনেকেই চিন্তা করেন যে পড়া মনে রাখার কি কোন মন্ত্র রয়েছে, যাতে করে আমরা সে পড়াশোনাটা সে মন্ত্র পড়ে মনে রাখব। আসলে বিষয়টা হচ্ছে পড়াশোনা নিজের মধ্যে কেউ যদি ভালোভাবে পড়াশোনা করে তাহলে সে ভালো করতে পারবে, 

আর যে পড়াশোনা করবে না সে যতই মন্ত্র তন্ত্র পাঠ করুক তার কোন কাজে আসবে না। এজন্য যখন আপনি পড়াশোনা করবেন, তার আগে আপনি কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে পড়াশোনা করবেন, যে আপনাকে এই পড়াটা করতেই হবে যে কোন ভাবে কালকে আপনাকে এই পড়াটা শিক্ষকের কাছে দিতেই হবে এরকমটা কিছু মনে রেখে, 

আপনি পড়াটা শুরু করবেন দেখবেন যে কোন কিছু মুখস্ত করায় আপনার জন্য সহজ হয়ে যাবে। আর এভাবে যদি আপনি পড়াশোনা করতে পারেন এবং প্রতি সকালে উঠে পড়ালেখা করতে পারেন তাহলে আপনার পড়া মনে রাখাটা সহজ হয়ে যাবে এর জন্য কোন মন্ত্র তন্ত্রের দরকার হবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন যে পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল এবং পড়া মনে রাখার গোপন মন্ত্র।

কোন সময় পড়লে পড়া মনে থাকে

কোন সময় পড়লে আসলে আমাদের পড়া মনে থাকে, অর্থাৎ পড়াশোনার করার সঠিক সময় কোনটা এবং কোন সময় পড়লে আমাদের পড়াটা মনে থাকে। চলুন এবার এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাক। আসলে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পড়াশোনা শুধু নয়, কোন কাজ করার ইচ্ছা যখন কোনো ব্যাক্তি করে তখন যেন সে অতি সকালে উঠে সে কাজটা করার চেষ্টা করে। 

কেননা কেউ যদি খুব ভোরবেলা কোন কাজ করে শুরু করে তাহলে সে সেই কাজটা করতে এমন কোন পেরেশানির মধ্যে পড়বে না। অর্থাৎ খুব সহজেই তারপর পড়াশোনাটা মনে রাখবে, এবং ওই সময় কেউ যদি পড়াশোনা করে তাহলে তার মস্তিষ্ক অন্য সময় যদি, দুই ঘন্টা পড়লে দশ পৃষ্ঠা মুখস্ত হয় তাহলে ভোরবেলা কেউ যদি পড়ে এক ঘন্টা পরলে তার ১৫ থেকে ২০ পৃষ্ঠা মুখস্ত হয়ে যায়। 
অর্থাৎ ভোরবেলা হচ্ছে পড়াশুনা করার একটি শর্ত সময়, কেননা ওই সময়টাই প্রত্যেকটা ব্যক্তির ফ্রেশ থাকে। এবং সারারাত ঘুমের কারণে তার পুরনো সকল বিষয়গুলো রয়েছে সকল কিছু তার ব্রেন থেকে রিসেট হয়ে যায়, অর্থাৎ তার ব্রেন টি ঘুমের মাধ্যমে তার পুরনো সকল চিন্তা ভাবনা যে করছিল এই সকল চিন্তা ভাবনা গুলো দূর হয়ে যায় এবং সে সঠিকভাবে আবার শুরু থেকে তার ব্রেন টা অর্থাৎ তার মেমোরিটা লোড নিতে থাকে। 

অর্থাৎ অতি ভোরবেলা যদি কোনো রাত্রি পড়াশোনা করে তাহলে সে যে কোন রকমের পড়া খুব সহজে মুখস্ত করে ফেলতে পারবে এবং সে সেই পড়াগুলো খুব সহজেই মনে রাখতে পারবে এবং সে পড়াগুলো আর ভুলবে না এবং চিরকাল তার মাথায় সেই পাড়াগুলো থেকে যাবে কারণ সে পড়াগুলো হচ্ছে ভোরবেলায় পড়া। অধিক বেশি মনে রাখতে পারবেন, এবং তখনই বুঝতে পারবেন পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল।

পড়া মনে রাখার খাবার

প্রিয় বন্ধুরা পোড়া মনে রাখার বিশেষ বিশেষ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলা খেলে আসলে শুধু পড়া নয় আপনি যে কোন বিষয়ই আপনার মাথায় অধিক বেশি ধরে রাখতে পারবেন। চলুন নিম্নে জেনে আসি কি কি সেই খাবারগুলা যেগুলা খেলে আপনি পড়া মনে রাখতে পারবেনঃ
বাদামঃ প্রিয় বন্ধুরা বাদাম এমন একটি খাবার, অনেক দিন আগে গবেষণায় দেখা গেছে যে বাদাম এর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু বিশেষ উপাদান যা কিনা আপনার ব্রেনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিকাশের ক্ষেত্রে, আপনার ব্রেনে কোন রকমের পড়া কিংবা কোন কথা সব সময় ধরে রাখতে কিংবা মনে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আপনারা হয়তো জানেন যে এই বাদামের বিভিন্ন রকমের পুষ্টি রয়েছে, এই কারণে বলতেছি যে বাদাম খান নিয়মিত তাহলে আপনি এর গুনাগুন দেখতে পাবেন।
ডিমঃ প্রিয় বন্ধুরা ডিম এমন একটি খাবার যেটা খেলে কিনা আপনার ব্রেন বেশি একটিভ হয়। এবং ডিমে রয়েছে অধিক বেশি পুষ্টি যেমন সেলেনিয়াম ওমেগা - ৩। যেটার মাধ্যমে কিনা আমাদের যেই নার্ভ রয়েছে নার্ভ টা ভালো থাকে। এজন্য প্রত্যেকদিন সকালে খাবার আগে ডিম খেয়ে নেবেন।
সবুজ শাকসবজিঃ সবুজ সবজি ছাড়া, আমরা একদিনও টিকতে পারবো না। কারণ সবুজ শাকসবজি এমন একটি খাবার যেটা আমাদের খেয়ে বেঁচে থাকতে হয়। আর যেটার মধ্যে রয়েছে অধিক অধিক গুনে পুষ্টিতে ভরা একটি খাবার। যেটা কিনা আপনার ব্রেনের অধিক বেশি, সঞ্চালনে সহযোগিতা করবে। এজন্য প্রত্যেকদিনের খাদ্য তালিকায় আপনি সবুজ শাকসবজি রাখবেন এতে করে আপনার ব্রেন ক্লিয়ার থাকবে এবং পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল গুলা বুঝতে পারবেন এবং আপনি যেকোনো ধরনের পড়া খুব বেশি মনে রাখতে পারে।

পড়া বোঝার উপায়

পড়া বোঝা আসলে এমন একটি বিষয় যেটা আমরা সকলেই কম-বেশি বোঝার চেষ্টা করি. কিন্তু কিছু কিছু কঠিন শব্দের কারণে আমরা কিছু কিছু পড়াগুলো বুঝতে পারি না, আর এই সমস্যাটা আমাদের প্রায় সকলের মধ্যেই রয়েছে। আর এই পড়াটা না বোঝার কারণে আমরা শিক্ষককেও অনেকেই আছে লজ্জার কারণে বলতে পারেনা, 

কিংবা যেকোনো কারণে শিক্ষককে বলতে চাই না। এই সমস্যা থেকে আমাদের উত্তীর্ণ হতে হলে আমাদের বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে পড়াশোনা করতে হবে তাহলেই আমরা প্রত্যেকটা পড়া সঠিকভাবে বুঝতে পারবো। তাহলে চলুন নির্ণয় কয়েকটি পড়া বোঝার কৌশল জেনে আসি-
অধ্যায়ভিত্তিক প্রশ্ন তৈরি করুনঃ যখন আপনি কোন একটি অধ্যায় পড়বেন কিংবা করার প্রস্তুতি নিবেন তখন সেই অধ্যায়ের কি কি প্রশ্ন হতে পারে মনোযোগ দিয়ে একবার পড়বেন পড়ার পরে সে অধ্যায়ের প্রশ্নগুলি আপনি আলাদা ভাবে টুকে রাখুন।
পড়া শুরু করাঃ কোন বিষয়ে যখন আপনি পড়া শুরু করবেন তখন সেই বিষয়ের পার্থক্য গুলো ঠিক করে নিবেন যে কোনটা সুফল দিয়ে এবং কোনটা মন্দ দিক কোনটা ভালো দিক এবং কোনটার সাথে কোনটার অধিক বেশি পার্থক্য রয়েছে এভাবে আপনি, পড়ার শুরুতেই বিষয়গুলো আলাদা আলাদা করে নিন। এতে করে আপনার পড়ার স্পিড টা আরো বেশি বাড়বে।
পড়া গুলা নোট করে নিনঃ প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরই উচিত পড়ার সময় খাতা কলম যেন হাতের কাছে থাকে। কেননা যখন তুমি কোন একটি বিষয় পড়বে এবং সেটা যদি তুমি গুরুত্বপূর্ণ মনে কর তাহলে তখন সেই বিষয়টা খাতায় টুকে রাখবে, কেননা সেই প্রশ্নটি তুমি পরের বার পড়তে গেলে তোমার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
পড়ার সময় চিহ্ন ব্যবহার করাঃ পড়ার সময় শিক্ষার্থীদের আরো একটি বিষয় ফলো করা উচিত সেটি হচ্ছে যখন সে পড়াশোনা শুরু করবে তখন যেন তার হাতে কালার প্যান্ট কিংবা হাইপেন থাকে কেননা সে গুরুত্বপূর্ণ যে লাইনগুলো রয়েছে কেননা গুরুত্বপূর্ণ যে সকল লাইন গুলো রয়েছে এই লাইনগুলোতে সে যেন আন্ডারলাইন করতে পারে কেননা এইগুলা পরীক্ষার পর্ব মুহুর্তে পড়া তার জন্য সহজ হয়ে যাবে।
লেখা এবং পড়া রিভাইস করে নেওয়াঃ শিক্ষার্থীরা যখন তোমরা কোন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করবে তখন যে কোন অধ্যায় হতে পারে সেটা যখন পড়া শেষ হয়ে যাবে তখন পুনরায় সেই অধ্যায়টা একবার হলেও চোখ বুলিয়ে রিভিশন করে নিবে। এটা পরেরবার তোমার জন্য পড়তে সুবিধা হবে।
আশা করি প্রিয় শিক্ষার্থীরা তোমরা বুঝতে পেরেছ যে পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল কি এবং খুব সহজে কিভাবে তোমরা পড়া বুঝতে পারবে কিংবা পড়া গুলো বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবে।

পড়া মনে থাকে না কেন

এখন আসলে প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরই একই সমস্যা যে তারা পড়া মনে রাখতে পারে না। আসলে এটা এখন প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীর সমস্য, আসলে এই সমস্যার অনেকগুলো কারণ রয়েছে, ছোট বড় সকল ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের এই সমস্যাটা বেশি হয়ে থাকে। চলুন নিম্নে জেনে আসি কি কি কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়া পড়েও অনেকবার পড়েও পড়া মনে রাখতে পারে না।

আসলে পড়া মনে না থাকার সবচাইতে বড় একটি কারণ হলো মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা না করা, প্রত্যেকটা শিক্ষার্থীরই উচিত যে তারা পড়াশোনা সব সময় মনোযোগ দিয়ে যেন করে। কারণ পড়াশোনায় যদি কেউ মনোযোগ না দেয় তাহলে সেই পড়া হাজার বার পড়লেও কখনো মনে থাকবে না সে পড়া। এজন্য যখন প্রত্যেকটা শিক্ষার্থী পড়তে বসবে সর্বপ্রথম তাকে মনোযোগ দিতে হবে পড়ার মধ্যে। 

যখন সে পড়তে বসবে তখন তাকে তার কন্সেন্ট টা পড়ার মধ্যেই দিতে হবে। আর তাকে এমন একটি জায়গায় পড়তে বসতে হবে যে জায়গায় কোন সাউন্ড হবে না কিংবা কোন হাসি আমাশা ফেল খেল খেলো এগুলা যেন না হয়। আর যখন পড়তে বসবে তখন যত সম্ভব চেষ্টা করবে একা একা পড়তে বসার। কেননা একা একা পড়তে বসলে তারপরের মধ্যে অনেকটা মনোযোগ বেশি চলে আসবে। 

এছাড়াও আরো অন্যান্য কারণ রয়েছে যেমন ধরেন আপনাকে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে কারণ পুষ্টিকর খাবার যদি না খান তাহলে আপনার মস্তিষ্ক ভালো হয় কাজ করবে না এবং পড়াশোনা করলেও ভালো করে পড়াগুলো মনে রাখতে পারবেন না। এজন্য চেষ্টা করতে হবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার যেগুলা খেলে ব্রেন সবসময় তরতাজা থাকে। 
আর তাছাড়া মনে রাখতে হলে তোমাকে প্রত্যেকটা পড়া বারবার করে পড়তে হবে, একবার পড়ে থুয়ে দিলে ওই পড়াটা আর একবারও দেখলেও না পড়লেও না। এভাবে যদি পড়ো তাহলে তোমার পড়া কখনো মনে থাকবে না। আশা করি বুঝতে পেরেছ কি কি কারনে তোমরা আসলে পড়া মনে রাখতে পারো না এবং কি কি করলে তোমরা খুব সহজেই পড়া গুলো মনে রাখতে পারবে।

সর্বশেষ পরামর্শ

শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বশেষ পরামর্শ থাকবে যে তারা যেন সবসময় প্রত্যেকটা পড়া মনোযোগ সহকারে পড়ে এবং পড়ার সময় যেন তার মনটা শুধু পড়ার দিকেই কনসেন্ট থাকে। অন্যথায় মনে রাখতে হবে যে হাজার বার করেও যদি কোন ছাত্রী কিংবা ছাত্রী এদিক-ওদিক তাকিয়ে হাসি তামাশার মধ্যে পড়াশোনা করে তাহলে কখনো তার পড়া মনে থাকবে না। 
আশা করি উপরে বিস্তারিত পুরো পোস্টটি পড়ে বুঝতে পেরেছেন যে পড়া মনে রাখার গোপন কৌশল এবং পড়া খুব সহজেই মনে রাখার জন্য কি কি উপায়ে রয়েছে, এবং কি কি উপায়ে প্রত্যেকটা পড়া সঠিকভাবে মনে রাখতে পারবেন এবং বুঝতে পারবেন। পুরো পোস্টটি ভালো লাগলে কমেন্ট করে বিস্তারিত জানিয়ে দিবেন। এরকম আরও বিষয়ে আর্টিকেল তৈরি করবো ইনশাল্লাহ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url