আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় - মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকাল আলোচনা করব আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়, মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া সম্পর্কে। অর্থাৎ আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়? মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি বা মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে। তো চলুন এ সম্পর্কে জেনে নিই।
আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় - মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট

মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা কি কি এ সম্পর্কে জানব, এবং এর পাশাপাশি আরো জানবো আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয়  বা সরকারি আয়রন ট্যাবলেট গুলো খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তো মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট সহ এই সকল বিষয় সম্পর্কে জানতে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।

মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট

মহিলাদের মাসিক সময় একটি মানবজীবনের প্রায় অবদান কারী অংশ। এই সময়ে স্ত্রীদের শরীর এবং মানসিকতা পরিবর্তন হয়ে থাকে। এই পরিবর্তনের সাথে মিলিত অসুস্থতা বা অপরিহার্য অকঠিনতা সহজেই আসে। তবে, আধুনিক মেডিসিন এবং পরিচর্যা সেবা এখন মহিলাদের সাথে এই সমস্যার দ্বারা সাহায্য করতে পারে। 
মাসিকের সময়ে আয়রন ট্যাবলেট হলো একটি এমন সরঞ্জাম যা মহিলাদের স্বাভাবিক পরিবর্তনের সাথে সাথে সঠিক পোষণ ও সম্পূর্ণ সেবা নিশ্চিত করে। আইরন হচ্ছে এমন এক ধরনের ট্যাবলেট যা কিনা মেয়েদের মাসিকের সময় এটি খাওয়া হয়। তাছাড়া যদি কোন নারীর শরীরে আয়রনের অভাব হয় তাহলে তার শরীরে ডেফিসিয়েন্সি অ্যানিমিয়া হয়ে থাকে। 

তাছাড়া একজন নারীর সুস্থ থাকা খুবই বেশি আবশ্যক। কেননা তাকে সামলাতে হয় অনেক কিছু। আর এজন্য আরো নারীদের কর্ম ক্ষমতা থাকতে তাদের শরীরে আয়রনের ভূমিকা অপরিসীম। তাছাড়া সাম্প্রতিক রাজধানীর একটি হেলথ ক্লিনিক এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন যে সুস্থতার জন্য একজন নারীর শরীরে আয়রনের খুবই প্রয়োজন। 

কেননা নারীর শারীরিক সুস্থতা এবং কাজের প্রতি খুবই মনোযোগ হওয়ার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আইরন ট্যাবলেট পালন করে। কেননা নারীদের শরীরে যখন আয়রনের অভাব হয় তখন তাদের এরকম ভাবে মাথাব্যথা মাথা ঝিমঝিম করা এছাড়াও দুর্বলতা অনুভব হওয়া এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের বিভিন্ন রকমের ত্রুটি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। 

এছাড়াও এটার অভাবে মেয়েদের সব সময় কাজে অমনোযোগ হয়ে থাকে এবং কাজের প্রতি কোন আগ্রহ থাকে না এবং মেজাজ সবসময় হয়ে থাকে খিটখিটে। এজন্য সবসময় খেয়াল রাখতে হবে যেন ছোট থেকেই কন্যা শিশু কিংবা বাচ্চা শিশুদের আয়রনের কোন ঘাটতি না হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 

আর তাছাড়া সব সময় চেষ্টা করতে হবে আয়রন পাওয়া যাবে এরকম কিছু উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণিজ খাবার খাওয়ার। কেননা অনেক সময় দেখা যায় অধিক বেশি ট্যাবলেট খাওয়ার কারণে এতে করে অন্য রকমের সমস্যা দেখা দেয়। 

অবশ্যই আপনাদের এদিকে খেয়াল রাখতে হবে রেখে উদ্ভিজ্জ এবং প্রাণিজ যে সকল খাবারগুলো রয়েছে যেগুলোতে আয়রন পাওয়া যাবে সকল খাবারগুলো খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তো এছাড়া যে সকল খাবারগুলো রয়েছে যেগুলো খেলে আপনারা আয়রন পেতে পারেন এ সকল খাবারগুলো বেছে বেছে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তো আশা করছি মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

ইতিমধ্যেই আপনারা জানতে পেরেছেন মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া সম্পর্কে। যে আয়রন ট্যাবলেট তাদের কেন খাওয়া উচিত এই সম্পর্কে। তো চলুন আজকে জানবো মেয়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার কিছু নিয়ম সম্পর্কে যে কি কি নিয়মে তারা আইরন ট্যাবলেট সেবন করবে। আইরন ট্যাবলেট এটি এমন একটি ট্যাবলেট যার মধ্যে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এক ধরনের যৌগ। 

যা কিনা আমাদের শরীরের বেশিরভাগই যে সকল কর্ম ক্ষমতা গুলো রয়েছে এগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষ করে মহিলাদের রক্তস্বল্পতার ক্ষেত্রে এই ট্যাবলেটটি অধিক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কোন সময় যদি রক্ত পরীক্ষা করা হয় এবং তাতে দেখা যায় যে আয়রন ডেফিসিয়েন্সি বা অ্যানিমিয়া এই রোগ টি হয়েছে। 
অর্থাৎ রক্তের হিমোগ্লোবিন এর মাত্রা ঠিক রাখার জন্য স্বাভাবিকভাবে অন্তত ১০ দিনে ১ গ্রাম করে হিমোগ্লোবিন বেড়ে যায় শুধু আয়রন ট্যাবলেট সেবন করার কারণে। অতএব আপনি যদি আপনার হিমোগ্লোবিন কে ঠিক রাখতে চান তাহলে অবশ্যই তিন মাস একটানা প্রত্যেক মাসে একটা করে ঔষধ আপনাকে সেবন করতে হবে। এবং এটি আপনাকে খেতে হবে সকালে খাবার খাওয়ার ১ ঘন্টা আগে কিংবা যদি এক ঘন্টা আগে না খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই খাবার .২ ঘন্টা পরে খেতে পারবেন। 

তাছাড়া যদি আপনার পাকস্থলীতে কোন রকমের এসিড না থেকে থাকে তাহলে আইরন ট্যাবলেট খুব সহজেই শোষিত হতে পারে। অতএব আপনার অবশ্যই এই সকল পদ্ধতিতে আয়রন ট্যাবলেট খাবেন। তো আশা করছি মেয়েদের আইরন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন, বা মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কে।

সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম

সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি ? আয়রন ট্যাবলেট মূলত এটি খাওয়ার নিয়ম বলতে প্রত্যেকটি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ারই একটি নিয়ম রয়েছে যদি আপনি সেই নিয়মে খান তাহলে এতে করে আপনারা এর সঠিক উপকারিতা পাবেন। তো সরকারি আয়রন ট্যাবলেট এটিও এক ধরনের আয়োজন ট্যাবলেট। 

বর্তমান সময়ে আয়রনের ঘাটতিতে অধিক বেশি প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষরা এবং বিশেষ করে নারীরা আয়রনের অভাবে ভুগতেছে। তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ এবং নারীদের আয়রন ডোজ মূলত ৬০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত সেবন করতে হয়। এবং সেটি প্রত্যেকদিন অন্তত ৩ বার থেকে ৪ বার সেবন করতে হবে। 
আর অবশ্যই এটি খালি পেটে খেতে হবে এবং সেটি যেন খাবারের ১ ঘন্টা আগে হয়। এবং যদি খাবার পরে খান তাহলে অবশ্যই সেটি দুই ঘন্টা পরে খাবেন। তাছাড়া প্রত্যেক ডাক্তাররাই কারণ ঔষধটা প্রেসক্রিপশনে খাবারের পরে গ্রহণ করার জন্য লিখে থাকে। তো সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সাধারণত নিম্নলিখিত পরামর্শ দেওয়া হয়ঃ
  1. ডোজের মাত্রা মেয়াদকালঃ সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার জন্য নিশ্চিত ডোজ ও মেয়াদকাল থাকে। ডোজ এবং মেয়াদকালের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ প্রাপ্ত করা উচিত।
  2. সাথে খাওয়াঃ কিছু খাবার জাতীয় আয়রন অণুর শক্তিশালী খাবার সঙ্গে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উত্তম। ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে আপনার খাবারের মধ্যে আয়রনের মাত্রা নির্ধারণ করা উচিত।
  3. অধিক ও কম খাওয়াঃ ডাক্তারের নির্দেশনা মেনে আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া উচিত। যেখানে অধিক আয়রনের প্রয়োজন, সেখানে ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী ডোজ বাড়াতে পারেন।
  4. নিরিখে না খাওয়াঃ আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার সময় কোন ধরণের পরিক্ষার পরিচ্ছন্নতা দেখানো উচিত নয়।
  5. অনিয়মিত ডোজের মেয়াদ পূর্ণ করা উচিতঃ আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়মিত ডোজের মেয়াদ পূর্ণ করা উচিত। ডোজের মেয়াদ পূর্ণ না করলে উপকারিতা প্রাপ্ত হতে পারে না।
সর্বোচ্চ গুরুত্ব রাখতে হলে, সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পরামর্শ স্বাস্থ্যকর এবং নিরাপদ হওয়া উচিত। সমস্যা হলে তা দ্রুত ডাক্তারের সাথে আলাপ করা উচিত।তো আশা করছি সরকারি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

মানব দেহের জন্য লৌহ এবং আয়রন এই দুইটা জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের শরীরের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি এখনো আমাদের শরীরের জন্য উপকারী কারণে এটি আমাদের শরীরের মধ্যকার বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকর বর্জ্য যে সকল পদার্থগুলো রয়েছে এ সকল পদার্থগুলোকে বের করে থাকে।
আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি মোটা হয় - মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট
এবং আমাদের শরীরের মধ্যে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বৃদ্ধি করে দেয়। আইরন ট্যাবলেট লোহিত রক্ত কণিকার পাশাপাশি আরো বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা আপনার দেহে ঘটায় তো চলুন কি কি উপকারিতা রয়েছে আয়রন ট্যাবলেটএ এ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
উপকারিতাঃ
  • আপনার দেহে লোহিত রক্ত কণিকার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে
  • আপনার দেহে শক্তি উৎপাদনকে বৃদ্ধি করে তোলে।
  • আপনার মস্তিষ্কের স্নায়ুকে আরো অধিক বেশি প্রভাবিত করে তোলে।
  • আইরন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি হয়ে যায়।
  • আইরন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে আপনার খাবারের প্রতি রুচি অনেক বেশি বেড়ে যায়।
  • আয়রন ট্যাবলেট খেলে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আগে থেকে অনেক বেশি বৃদ্ধি হয়।
  • আপনার শরীরে রক্তের মধ্যে যে সকল অপ্রয়োজনীয় পদার্থগুলো থাকে সকল পদার্থগুলোকে বের করে দেয়।
  • দেহের মধ্য থেকে অপ্রয়োজনীয় সকল ধরনের বর্জ্যকে নিষ্কাশন করে আয়রন ট্যাবলেট।
তো আপনি যদি আয়রন ট্যাবলেট খান তাহলে আপনি অবশ্যই এ সকল উপকারিতা গুলো লাভ করতে পারবেন। এমনকি আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে আপনার শরীরে যদি আয়রনের কোন রকমের ঘাটতি হয়ে থাকে সকল ঘাটতি দূর হয়ে যায়। যা কিনা আপনি খুব সহজে খাবার খেয়ে পূরণ করতে পারবেন না।
অপকারিতা
প্রত্যেকটা জিনিসেরই একটি ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে আয়রন ট্যাবলেটের যেমনিভাবে ভালো দিক রয়েছে ঠিক তেমনি ভাবে এটি খাওয়ার ফলে কিছু অপকারিতাও আছে। অর্থাৎ আপনার শরীরে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে। তো আয়রন ট্যাবলেট খেলে কি কি অপকারিতা হতে পারে তো চলুন এবার সেগুলো জেনে নিই।
  • অতিরিক্ত আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত মাত্রায় বমি বমি ভাব হয় বা বমি হওয়া।
  • আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অনেক সময় পেটে অতিরিক্ত মাত্রায় খিচুনি খিঁচুনি ভাব হয়।
  • আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে অনেক সময় দেখা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য বেড়ে যায়।
  • এই ট্যাবলেটটি খাওয়ার ফলে এপিগ্যাস্ট্রিক এর ব্যথা হতে থাকে।
তো আয়রন ট্যাবলেট খেলে এই সকল অপকারিতা আপনার হতে পারে। আশা করছি আয়রন ট্যাবলেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা কি বা আয়রনের ট্যাবলেট খেলে কি কি হতে পারে, বা মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

আয়রন ট্যাবলেট সাইড ইফেক্ট

যেহেতু আয়রন ট্যাবলেট একটি পর্যাপ্তভাবে প্রভাবশালী চিকিত্সা সরঞ্জাম, এটি সাথে কিছু সাইড ইফেক্ট সহজেই আসতে পারে, যেমন পেট সম্বন্ধে অসুস্থতা বা কবজ। তবে, এই সাইড ইফেক্ট সাধারণত অস্থায়ী এবং হালকা হয়। ব্যবহারের পূর্বে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত এবং প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করা উচিত।  

মাসিকের সময়ে আয়রন ট্যাবলেট একটি দরকারী ঔষধ হতে পারে যেটি নারীদের স্বাস্থ্য ও সামগ্রিক সুখের ক্ষেত্রে সাহায্য করে। তবে, এটি ব্যবহারের আগে ডাক্তারের পরামর্শ অবশ্যই প্রয়োজন। নিজের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা হতে পারে এবং আনন্দময় জীবনের দিকে প্রবৃদ্ধি করতে সাহায্য করতে পারে।

আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হয়

আয়রন ট্যাবলেট এটি এমন এক ধরনের ট্যাবলেট যা কিনা আপনার শরীরের যেমনিভাবে আয়রনের খাটটি পূরণ করে দেয়। ঠিক তেমনিভাবে এটি যদি আপনি অতিরিক্ত মাত্রায় খান সেক্ষেত্রে এর কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিবে। এবং আপনার শরীরে কিছু বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে। 

তো আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আয়রন ট্যাবলেটটি খান সে ক্ষেত্রে এটি আপনার অতিরিক্ত মাত্রায় গ্রহণের ফলে আপনার নিম্ন রক্তচাপ হতে পারে অর্থাৎ রক্তের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। কেননা অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়ার ফলে এটি আপনার শরীরে শোষিত না হওয়ার ফলে এটি এরকম বিষক্রিয়া হয়। 
এবং এছাড়াও অতিরিক্ত মাত্রায় আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার ফলে আপনার অন্তরের মধ্যে বেধড় সৃষ্টি হয় এবং লিভারের বিভিন্ন রকমের ক্ষতি হতে থাকে। যা কিনা আপনার মৃত্যুর মুখোমুখি পর্যন্ত আপনাকে ঠেলে দিতে পা্রে। 

তো আপনি যদি অতিরিক্ত মাত্রায় আয়রন ট্যাবলেট খান বা আয়রন ট্যাবলেট বেশি যদি খেয়ে ফেলেন সে ক্ষেত্রে আপনার এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। তো আশা করছি জানতে পারলেন আয়রন ট্যাবলেট বেশি খেলে কি হতে পারে এ সম্পর্কে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক মন্ডলী আশা করি মাসিকের সময় আইরন ট্যাবলেট সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। অর্থাৎ মাসিকের সময় আইরন ট্যাবলেট কি নিয়মে খেতে হবে বা কোন কোন আয়রন ট্যাবলেট খেতে হবে বা অধিক পরিমাণে যদি কোন সময় আয়রন ট্যাবলেট খান, তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কি কি ক্ষতি হতে পারে, এ সকল বিষয় সম্পর্কে আশা করি সে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। 

সুতরাং আজকের আমাদের এই পোস্টটি পড়ে যদি আপনারা উপকৃত হন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং এই পোস্টটি আপনারা আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন যেন তারাও পোস্টটি পড়ে অর্থাৎ মাসিকের সময় আয়রন ট্যাবলেট এই পোস্টটি পড়ে তারাও উপকৃত হতে পারে। সুতরাং আজকের মত এখানেই শেষ করছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, খোদা হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url