তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ জেনে নিন
প্রিয় পাঠক মন্ডলী আজকে আমরা জানবো তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কি কি কারন রয়েছে এ সকল বিষয় সম্পর্কে। যে সকল বোনদের তারিখ অনুযায়ী মাসিক হয় না তারা অনেকেই চিন্তিত রয়েছেন। আসলে মূলত তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ কি এ সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ কি কি রয়েছে এবং বন্ধ হওয়ার কারণ কি কি এবং মাসিক চালু করার উপায় কি কি রয়েছে? সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
তারিখ অনুযায়ী মাসিক না হওয়ার কারণ
একজন মেয়ে হিসেবে দৈনন্দিন জীবনে আমাদের শরীরবৃত্তীয় নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এসব সমস্যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় – সময়মতো মাসিক না হওয়া বা ঋতুচক্রের অনিয়মিততা। মাসের নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী মাসিক শুরু না হলে অনেকেই দুশ্চিন্তায় ভোগেন। কেন এই সমস্যা হয় এবং এর করণীয় কী, সে নিয়েই আজকের আলোচনা।
সাধারণত, একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক নারীর মাসিক চক্র ২৮ থেকে ৩২ দিনের ব্যবধানে হয়ে থাকে। তবে কখনো কখনো দেখা যায়, মাসিক নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে শুরু হচ্ছে। এটি বেশ চিন্তার কারণ হলেও, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতার (Hormonal Imbalance) কারণে হয়ে থাকে।
নিচে অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কয়েকটি প্রধান কারণ তুলে ধরা হলো:
- ওজন বৃদ্ধিঃ শরীরের ওজন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়, যার প্রভাব পড়ে ঋতুচক্রে। বিশেষ করে হঠাৎ করে মোটা হয়ে যাওয়ার ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
- মানসিক চাপ বা টেনশনঃ অতিরিক্ত মানসিক চাপ বা উদ্বেগ শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। এর ফলে হরমোনের স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং মাসিক দেরিতে বা অনিয়মিতভাবে হতে পারে।
- অপরিচ্ছন্নতাঃ ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতার অভাব, বিশেষ করে গোপনাঙ্গের যত্নে অবহেলা, শরীরের ভেতরে সংক্রমণ সৃষ্টি করতে পারে। যা মাসিক চক্রে প্রভাব ফেলতে পারে।
- দূষিত পরিবেশঃ দূষণপূর্ণ পরিবেশে দীর্ঘ সময় বসবাসের ফলে শরীর নানা রকম টক্সিনের সংস্পর্শে আসে। এ ধরনের দূষণ শরীরের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটিয়ে ঋতুচক্রের অনিয়ম সৃষ্টি করতে পারে।
- অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসঃ নিয়মিত বাইরের ফাস্টফুড, অতিরিক্ত মিষ্টি, কোমল পানীয় ইত্যাদি গ্রহণ করলে তা শরীরের বিপাকক্রিয়া ও হরমোন উৎপাদনে প্রভাব ফেলে। ফলে মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।
- অপুষ্টি ও খাদ্যাভ্যাসে ভারসাম্যহীনতাঃ যখন আমরা প্রয়োজন অনুযায়ী পুষ্টিকর খাবার খাই না, তখন শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটে। আবার অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে যদি ওজন বেড়ে যায়, তাহলেও মাসিক চক্রের ব্যাঘাত ঘটে।
বন্ধ মাসিক চালু করার উপায়
অনেক সময় নানা কারণে নারীদের মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে কিংবা বন্ধ হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধানে কিছু ঘরোয়া উপায় ও চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে, যেকোনো পদ্ধতি গ্রহণের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
১. ঘরোয়া উপায়
- ✅ পেঁপে: কাঁচা পেঁপে জরায়ুর পেশি সক্রিয় করে, যা মাসিক শুরুতে সহায়তা করতে পারে।
- ✅ আদা: আদা শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে, যা মাসিক চালু করার জন্য উপকারী হতে পারে।
- ✅ ভিটামিন সি: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলমূল যেমন কমলা, লেবু, আমলকী ইত্যাদি মাসিক চক্র নিয়মিত রাখতে সহায়ক।
- ✅ গরম জলের সেঁক: তলপেটে হালকা গরম জলের সেঁক দিলে আরাম মেলে এবং মাসিক আসতে সাহায্য করতে পারে।
- ✅ যোগব্যায়াম ও মানসিক চাপ কমানো: নিয়মিত হালকা ব্যায়াম ও মেডিটেশন মানসিক চাপ কমায়, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়ক।
২. চিকিৎসা পদ্ধতি
- 🔹 হরমোন থেরাপি: কিছু ক্ষেত্রে ডাক্তাররা হরমোন থেরাপি ব্যবহার করেন মাসিক চক্র চালু করার জন্য।
- 🔹 জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল: নির্দিষ্ট জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করে।
৩. গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ
আপনার মাসিক যদি নিয়মিত না হয় বা একেবারেই বন্ধ থাকে, তবে দেরি না করে একজন গাইনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।প্রত্যেক নারীর শরীর ভিন্ন, তাই যেটা একজনের ক্ষেত্রে কার্যকর, সেটা অন্যজনের ক্ষেত্রে নাও হতে পারে। সতর্কতা ও সচেতনতার সঙ্গে সঠিক পদক্ষেপ নিলে এই সমস্যা সহজেই সমাধান করা সম্ভব।
দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
সাধারণভাবে মেয়েদের মাসিক (ঋতুচক্র) প্রতি ২৮ থেকে ৩২ দিনের মধ্যে হয়ে থাকে। তবে সব সময় যে এমনটাই হবে, তা নয়। অনেক সময় দেখা যায় ১ মাসের জায়গায় ২-৩ মাস পর মাসিক হয়। এই সময় আমরা ভয় পেয়ে যাই এবং নানা দুশ্চিন্তায় ভুগি। কিন্তু প্রশ্ন হলো—এমনটা কেন হয়?
মাসিক দেরি হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো:
- গর্ভধারণ নয়, অন্য কারণেও মাসিক বন্ধ হতে পারেঃ অনেকে মনে করেন, মাসিক না হওয়া মানেই গর্ভধারণ। কিন্তু তা সবসময় ঠিক নয়। বিশেষ করে যদি আপনি বিবাহিত না হন বা যৌন সম্পর্ক না থাকে, তাহলে গর্ভধারণের চিন্তা একেবারেই অযৌক্তিক।
- ওভারিতে সিস্ট হওয়াঃ অনেক সময় ডিম্বাশয়ে (ovary) ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয়, যাকে পিসিওএস বা PCOS বলা হয়। এটি মাসিক বন্ধ বা অনিয়মিত হওয়ার অন্যতম কারণ। ভয় পাওয়ার কিছু নেই—চিকিৎসা নিলে এটি ঠিক হয়ে যায় এবং মাসিকও স্বাভাবিক হয়।
- ওজন বৃদ্ধিঃ যদি হঠাৎ করে আপনার ওজন অনেক বেড়ে যায়, তবে সেটি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে, যার ফলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সঠিক ডায়েট ও শরীরচর্চা এই সমস্যার সমাধানে সহায়ক।
- হরমোনের সমস্যাঃ হরমোনের অতিরিক্ত ওঠানামার ফলে ঋতুচক্র অনিয়মিত হতে পারে। কখনও মাসিক দেরিতে হয়, আবার কখনও একদমই হয় না।
- জীবনযাত্রায় পরিবর্তনঃ যদি ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে মাসিক না হয়, তবে আপনার খাদ্যাভ্যাস, ঘুমের অভ্যাস ও মানসিক চাপের দিকেও নজর দিন। এই সবকিছুই মাসিকের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
করণীয়:
- পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া শুরু করুন
- অতিরিক্ত ওজন থাকলে তা কমানোর চেষ্টা করুন
- মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন
- নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
- নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হোন
পিরিয়ড না হলে কি কি সমস্যা হয়
হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কারণ
অনেক সময় হঠাৎ পিরিয়ড বন্ধ হয়ে গেলে আমরা ধরে নিই এটি গর্ভধারণের ফল। তবে বাস্তবে এর পেছনে আরও নানা শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে। মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণে মেয়েদের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পিরিয়ড পিছিয়ে যেতে পারে—এটি অন্যতম সাধারণ কারণ।
এছাড়া, পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম (PCOS) একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, যা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার মাধ্যমে মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করে। অনেকেই জানেন না, থাইরয়েডের সমস্যাও মেয়েদের শরীরে নানা জটিলতা তৈরি করে, যার মধ্যে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি প্রধান লক্ষণ।
পিরিয়ড নিয়মিত রাখতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন জরুরি। প্রতিদিনের ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ এবং মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা—এসব অভ্যাস পিরিয়ড স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রত্যেক নারীর উচিত নিজের শরীর ও মনের যত্ন নেওয়া। কারণ সুস্থ ও নিয়মিত জীবনধারাই হলো একজন নারীর সুস্বাস্থ্যের মূল চাবিকাঠি।
পিরিয়ড না হওয়ার কারণ
পিরিয়ড বা মাসিক ঋতুস্রাব নির্দিষ্ট সময়ে না হওয়া বা অনিয়মিত হওয়া অনেক কারণেই হতে পারে। এর পেছনে শারীরিক, মানসিক বা জীবনযাত্রাজনিত নানা বিষয় থাকতে পারে। নিচে পিরিয়ড বন্ধ বা অনিয়মিত হওয়ার কিছু সাধারণ কারণ তুলে ধরা হলো:
১.গর্ভাবস্থা: যদি আপনি যৌনভাবে সক্রিয় হন, তাহলে পিরিয়ড বন্ধের সবচেয়ে সাধারণ কারণ হতে পারে গর্ভধারণ। এমন পরিস্থিতিতে অবশ্যই প্রেগনেন্সি টেস্ট করা উচিত।
২. হরমোনের সমস্যা: শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা পিরিয়ডে প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন:
- থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা
- পিটুইটারি গ্রন্থির অসংগতি
- পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS)
৩. ওজনের তারতম্য: অত্যধিক ওজন বৃদ্ধি বা ওজন কমে যাওয়া – উভয়ই হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে পিরিয়ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
৪. মানসিক চাপ: বেশি মানসিক চাপ শরীরের হরমোন নিঃসরণে ব্যাঘাত ঘটায়, যা পিরিয়ড অনিয়মিত বা বন্ধ করে দিতে পারে।
৫. জীবনযাত্রার পরিবর্তন: খাদ্যাভ্যাসে হঠাৎ পরিবর্তন, অতিরিক্ত ব্যায়াম, ওজন হ্রাস/বৃদ্ধি বা ঘুমের অভ্যাসে পরিবর্তন – সবকিছুই পিরিয়ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
৬. বিভিন্ন রোগ: ডায়াবেটিস, থাইরয়েড রোগ, অথবা ডিম্বাশয়ে সিস্ট থাকলে পিরিয়ড অনিয়মিত হতে পারে।
৭. ঔষধের প্রভাব: নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ যেমন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি বা মানসিক রোগের ওষুধ, পিরিয়ডে প্রভাব ফেলতে পারে।
৮. অতিরিক্ত ব্যায়াম: খুব বেশি ব্যায়াম বা দেহের উপর চাপসাধ্য কসরত অনেক সময় হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে পিরিয়ড বন্ধ করে দিতে পারে।
করণীয়
যদি আপনার পিরিয়ড বারবার অনিয়মিত হয় বা কয়েক মাস ধরে না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কারণ সঠিক রোগ নির্ণয় ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ছাড়া সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
পিরিয়ড না হলে কি করবো
পিরিয়ড বন্ধ বা দেরি হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা দরকার। প্রথমেই গর্ভাবস্থার সম্ভাবনা পরীক্ষা করা উচিত, কারণ এটি মাসিক না হওয়ার অন্যতম সাধারণ কারণ। যদি গর্ভাবস্থা না থাকে, তাহলে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস, অতিরিক্ত শরীরচর্চা, মানসিক চাপ, কিংবা কোনো শারীরিক অসুস্থতাও এর কারণ হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ দীর্ঘ সময় সহবাস করার হোমিও ঔষধের নাম
এ ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তিনি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে সঠিক কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা বা নির্দেশনা দিতে পারবেন। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি কিছু ঘরোয়া উপায়ও চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে:
ঘরোয়া উপায়সমূহ:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম: মানসিক চাপ কমাতে এবং হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও অন্যান্য পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার মাসিক নিয়মিত করতে সাহায্য করতে পারে।
- নিয়মিত হালকা ব্যায়াম: যেমন হাঁটাচলা, যোগব্যায়াম ইত্যাদি শরীরকে সচল রাখে এবং পিরিয়ড স্বাভাবিক করতে সহায়তা করে।
- পেটে গরম সেঁক: গরম জলের সেঁক মাসিকজনিত ব্যথা ও অস্বস্তি কমাতে কার্যকর।
- যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান: শরীরে পানির ভারসাম্য বজায় রাখা হরমোন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে।
গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ:
যদি ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করার পরও পিরিয়ড না হয়, তাহলে দেরি না করে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। মনে রাখবেন, এখানে দেওয়া তথ্যগুলো সাধারণ জ্ঞানের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে এবং এগুলো কখনোই চিকিৎসকের পরামর্শের বিকল্প নয়। আপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী উপযুক্ত চিকিৎসা গ্রহণ করাটাই সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায়।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url