বাজারে চলতি পথে আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন মুদ্রা
প্রিয় পাঠক মন্ডলী বাজারে চলতি পথে আসছে ২০, ৫০,ও ১০০০ টাকার নতুন মুদ্রা। তো এটি কবে আসতে চলেছে এবং এটি হওয়ার কারণ কি? এবং এর পাশাপাশি আরও বিস্তারিত তথ্য চলুন নিম্নে জেনে নেওয়া যাক।
বাজারে চলতি পথে আসছে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন মুদ্রা আসতে চলেছে এবং সেটি কবে এবং কি কারনে সেটি আসবে? এবং এটি বাস্তবায়িত হবে কিনা? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে থাকুন।
নতুন রূপে বাজারে আসছে ঈদুল আযহা উপলক্ষে টাকার নোট। কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, এবারের ঈদকে সামনে রেখে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও গত ঈদুল ফিতরের আগে নতুন নোট ছাড়েনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
গাজীপুরে অবস্থিত দ্যা সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন (টাকশাল) ইতোমধ্যেই নতুন এসব নোট ছাপার কাজ শুরু করেছে। নতুন সংস্করণের নোটে আর থাকছে না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এর পরিবর্তে দেখা যাবে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি এবং পূর্ববর্তী কিছু নকশার পুনঃপ্রয়োগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, ঈদের আগেই নতুন নকশার এই নোট বাজারে ছাড়া হবে। তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। নোট ছাপার কাজও শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
নতুন নোটে যে প্রতীকী অবয়ব ব্যবহৃত হবে, তা তরুণদের সংগ্রামকে প্রতিফলিত করবে, তবে কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির চেহারা নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও টাঁকশাল সূত্রে জানা গেছে, ২০ টাকার নতুন নোটের ছাপার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহেই এটি বাংলাদেশ ব্যাংকে হস্তান্তর করবে টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ। তার পরের সপ্তাহে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোটও বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কবে এসব নোট বাজারে ছাড়া হবে। প্রথমে মতিঝিল অফিসসহ অন্যান্য শাখায় এবং পরে বিভিন্ন ব্যাংকে সরবরাহ করা হবে নতুন নোট। ঈদের ছুটির আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, কারণ চাহিদার তুলনায় এবার নোট ছাপানো হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন নকশার নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে।
এরপর বাংলাদেশ ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে কবে এসব নোট বাজারে ছাড়া হবে। প্রথমে মতিঝিল অফিসসহ অন্যান্য শাখায় এবং পরে বিভিন্ন ব্যাংকে সরবরাহ করা হবে নতুন নোট। ঈদের ছুটির আগে সীমিতসংখ্যক নোট ছাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে, কারণ চাহিদার তুলনায় এবার নোট ছাপানো হয়েছে তুলনামূলকভাবে কম। টাঁকশাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন নকশার নোট ছাপাতে সাধারণত এক থেকে দেড় বছর সময় লাগে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকার পদত্যাগ করলে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। এরপর, গত ডিসেম্বর মাসে নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি মাসে নতুন নোট ছাপার কাজ শুরু হয়েছে। তবে টাকশালের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে একসঙ্গে তিনটির বেশি মূল্যমানের নোট ছাপানো সম্ভব নয়। তাই প্রাথমিকভাবে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট ছাপানো হচ্ছে।
এদিকে, শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি সংবলিত নোট নিয়ে বিতর্ক শুরু হলে গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক একটি চিঠির মাধ্যমে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়। একইসঙ্গে, ব্যাংকগুলোর যেসব শাখায় ইতিমধ্যে নতুন নোট পাঠানো হয়েছে, সেগুলো আর বিতরণ না করে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ফলে বাজারে নতুন নোটের লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরোনো ছেঁড়া-ফাটা নোটের প্রচলন বাড়তে থাকে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url