গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, মানুষ তার শরীরের মধ্যে সবচাইতে বেশি যত্ন নেয় তার মুখের। অনেকেই জানিনা গোলাপজল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি? তো আজকে জানবো গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি কি রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে আসি।
গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়
রূপচর্চার জন্য মানুষ কি করে না বিশেষ করে মেয়েরা। তখন রূপচর্চার জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হচ্ছে, গোলাপ জল। গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় কি বা কিভাবে গোলাপ জল ব্যবহার করব এর নিয়ম জানতে হলে নিম্নে পুরো পোস্টে বিস্তারিত করতে থাকুন।

ভূমিকা

আমরা মানুষ মূলত রূপচর্চার জন্য কিনা কি করে থাকি, কারণ মানুষের পুরো শরীরের মধ্যে মুখ একমাত্র স্থান যেটা দেখলে মানুষ ব্যক্তির সৌন্দর্য ধরতে পারে। তো এই রূপচর্চার জন্য আমরা এখন এমন এমন ফেসপ্যাক ব্যবহার করে থাকি যেগুলা ব্যবহার করার কারণে মানুষ তার মুখ আগের থেকে আরও বেশি খারাপ করে ফেলছে। তো বিশেষ করে আমাদের মধ্যে মেয়েরা সবচাইতে বেশি রূপচর্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। 

তো সকল বন্ধুদের জন্য আজকের আর্টিকেল টি। যারা তাদের মুখের সৌন্দর্যকে অধিক বেশি আকর্ষণীয় করতে তাই। আসলে আমাদের অজানা যে গোলাপ ফুলের ব্যবহার কিন্তু শুধু ফুল হিসেবেই পরিচিত নয় কিংবা ফুলের মধ্যেই সে সীমাবদ্ধ নয়। তার আরো অনেক রকমের গুনাগুন রয়েছে যেগুলো আমাদের সকলেরই অজানা। এই গোলাপ ফুল আরো একটি বিষয় খেত যে সেটি এখন নারীদের রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে। 

তবে আমরা বাজারে যাই গোলাপ জল পাই এই গোলাপ জলের কেমন একটি কার্যকারিতা দেখা যায় না। তবে আপনি যদি ঘরে সেই গোলাপ জলটি বানান তাহলে সেটি, আপনার জন্য অধিক বেশি উপকারী হবে। কেননা সেটি তখন শতভাগ ভেজাল মুক্ত থাকে। চলুন জেনে আসি গলার জল ব্যবহার করে আপনি কিভাবে আপনার রূপচর্চাকে আরো অধিক বেশি সৌন্দর্য করে তুলবেন।

গোলাপ জল দিয়ে রূপচর্চা

এখন বর্তমান সময়ে রূপচর্চা করে না এরকম মানুষ পাওয়া খুবই মুশকিল। ছেলে হোক মেয়ে হোক সকলেই তাদের রূপ মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য সব সময় রূপের যত্ন নেয়। বিশেষ করে তার মুখের। তো আপনার এই ত্বকটাকে মোলায়েম করতে সব সময় যেন ত্বক উজ্জ্বলতা দেখায় এরকমটা যদি আপনি করতে চান তাহলে আপনি অবশ্যই গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন। 

কারণ গোলাপ জল আপনার ত্বককে মোলায়েম করার পাশাপাশি এটি আপনার উজ্জ্বলতা টাকে আরও বেশি ফিরিয়ে দেয়, এই গোলাপ জল। তাই আপনি যদি প্রত্যেকদিন নিয়মিতভাবে অন্তত দুইবার করে গোলাপ জল আপনি আপনার মুখে দিয়ে ধুয়ে নেন তাহলে এটার জন্য আপনি অনেক বেশি উপকারিতা লাভ করতে পারবেন। 

আপনি এই গোলাপ জল ক্লেনজারের পাশাপাশি, অর্থাৎ শুধু ক্লেনজারের জন্যই নয় এটি আপনি টোনার হিসেবেও অধিক বেশি ব্যবহার করতে পারবেন। আর তাছাড়া আপনি যদি মেকআপ করে থাকেন তাহলে আপনি মেকআপ করার আগে আপনি যদি গোলাপ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নেন তাহলে সে মেকআপ অনেকক্ষণ ধরে থাকবে। 

আর তাছাড়াও যদি আপনি মেকআপ তোলার সময় অর্থাৎ যদি মেকআপ তুলতে চান এ সময় যদি আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করেন তাহলেও এটি আপনার জন্য অনেকটা উপকারী হবে আপনার ত্বকের জন্য। আশা করি, গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, অর্থাৎ গোলাপ জল দিয়ে আপনি আপনার রূপচর্চা কিভাবে করবেন এ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

গোলাপ জল মুখে কিভাবে ব্যবহার করব

আমরা এতক্ষণ জানলাম গোলাপজল দিয়ে কিভাবে রূপচর্চা করা যায় বা গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়। কিন্তু এই গোলাপ জলটা কিভাবে ব্যবহার করব এটা অনেকে জানিনা তো চলুন জেনে আসি কিভাবে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করবেন। আমরা কে চায়না আমাদের ত্বকটা গোলাপের মতো নরম হোক সকলেই চাই। 

তবে আপনি জানেন কি যে গোলাপজল শুধু আপনার সুরক্ষিত বা মোলায়েম করে না এটি আপনার ঠোঁট চুল সবকিছুতেই, গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যদি আপনি সেটি সঠিকভাবে সঠিক নিয়মে ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন। তো চলুন জেনে গোলাপ জল ব্যবহারের নিয়ম।
  1. আপনি প্রত্যেকদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে এক চামচ করে গোলাপ জল নিবেন এবং সেটি এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে ভালো করে মিশিয়ে মিক্সচার করে নিবেন। এরপর সেটি তুলোর সাহায্যে পুরো মুখে মেখে নিবেন। তবে শুধু মুখে নিবেন না কোডটাও ভালো করে ঘষে নিবেন কারণ এতে ঠোটের উপরে থাকা যেই মরা পোস্টগুলো থাকে এগুলো সব কিছু দূর হয়ে যায়।
  2. আপনি এই গোলাপ জলটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যখন গোলাপ জল ব্যবহার করবেন তখন গোলাপ জল এর সাথে ভালোভাবে অ্যালোভেরা মিক্সার করে নিবেন, এর পরে আপনি সেটি একটি স্প্রে বোতলের মধ্যে রাখবেন। রাখার পরে সারা দিনের মধ্যে যখন সময় পাবেন বিশেষ করে গোসলের পর তখন আপনি আপনার মুখে স্প্রে করবেন।
  3. আপনার চোখের নিচে যদি কোন ফোলা ভাব থাকে তাহলে সেটি গোলাপজল অল্পতেই সারিয়ে তুলবে। আপনি যখন সারাদিন ক্লান্তির পর বাসায় ফিরবেন তখন বাসায় এসে দুটো কটন নিবেন, দুটো কটন নেওয়ার পরে সেটি আপনি গোলাপ জল দিয়ে ভিজিয়ে নিবেন নিয়ে আপনি আপনার চোখের নিচে ভালো করে মাসাজ করবেন। এতে করে আপনার চোখের নিচের যেই দাগ গুলা আছে এই দাগ গুলা দূর হয়ে যাবে এবং ক্লান্তিটাও দূর হয়ে যাবে।
  4. আপনি গোলাপ জল ঠোঁটের পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি এভাবে ব্যবহার করবেন, এক চা চামচ গোলাপ জল নিবেন এবং এর মধ্যে এক চা চামচ মধু নিবেন এবং যদি পারেন একটু করে চিনি মিশিয়ে এটা আপনার ঠোঁটে ভালো হবে ঘষে ঘষে লাগিয়ে দিবেন। এটি আপনি অনেকক্ষণ ধরে লাগিয়ে রাখার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
  5. গোলাপ জল আপনি আপনার চুলের পরিচর্যার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি গোলাপ জল নিবেন যতটুকু পরিমান লাগে নিয়ে এরপরে এর মধ্যে লেবুর রস চিপে দিবেন চিপে দুইটা একসাথে করে মিক্সচার করে, এটা আপনার চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখবেন। এবং কিছুক্ষণ পরেই যে কোন শ্যাম্পু দিয়ে সেটি ধুয়ে নেবেন।
আশা করি জানলেন যে গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং কিভাবে আপনি আপনার চুলের ও যত্ন নিতে পারবেন, মুখের যত্ন সহ।

গোলাপ জল কখন ব্যবহার করতে হয়

গোলাপজল আপনি কখন কখন ব্যবহার করতে পারবেন এই বিষয়ে অনেকেই জানিনা। চলুন এ বিষয় নিয়ে কিছু নতুন তথ্য জেনে আসি যে সময়ে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করলে আপনি এর সঠিক ফলাফল পাবেন। চলুন নিম্নে জেনে আসা যাক।
  • গরমের সময়কার সেরা একটি প্রসাধনের মধ্যে অন্যতম প্রসাধনই হলো গোলাপজল। এটির বিশেষত হলো এটি আপনার ত্বকের তৈলাক্ত যেগুলা রয়েছে এই সকল কিছু দূর করে দিবে অর্থাৎ এটি আপনার ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে হবে। তবে আপনি ত্বককে পরিষ্কার করার জন্য এটি টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
  • রাত্রে যখন ঘুমাতে যাবেন তখন ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে গোলাপজল ব্যবহার করলে, এটি আপনার জন্য অনেকটা ভালো ফলাফল পাওয়া সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করে থাকেন। কারণ রাতের বেলা তো আপনার ত্বক হিল হওয়ার জন্য অনেক বেশি সময় পেয়ে থাকে। এমনকি রাত্রে বিভিন্ন প্রকার দূষণ থেকে আপনার ত্বক বিরত থাকে। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।
  • তবে আবার এমনটা নয় যে আপনি দিনের বেলায় গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারবেন না। আপনি অবশ্যই দিনের বেলায় গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারবেন। যখন আপনি কোথাও বাইরে বের হওয়ার ইচ্ছা করবেন, তখন আপনি বের হওয়ার পূর্বে ত্বকের যত্নে গোলাপজল লাগিয়ে নিন। কারণ এটি আপনার ত্বকের শীতলতা বৃদ্ধি পাবে।
  • তবে চেষ্টা করবেন দিনে দুইবার করে গোলাপজল ব্যবহার করবার। কেননা আপনি যদি ত্বকে প্রত্যেকদিন গোলাপ জল দুইবারের বেশি ব্যবহার করেন তাহলে সেটি আপনার অতিরিক্ত হয়ে যাবে। আর সেটা হলো আপনি একবার সকালে ব্যবহার করবেন, আর একবার রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে ব্যবহার করে, আপনি আপনার মুখটাকে ধরে নিবেন। এবং এতে করেই আপনি অনেকটা ভালো ফলাফল পাবেন।

ব্রণ দূর করতে গোলাপ জলের ব্যবহার

অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন যে ভাইয়া ব্রণ দূর করতে কি গোলাপ জলের কোন কার্যকারিতা রয়েছে? আমি বলব হ্যাঁ অবশ্যই রয়েছে কেননা। আপনি যদি এই নিয়মে অর্থাৎ এই সঠিক নিয়মে যদি আপনি গোলাপজল ব্যবহার করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এটি আপনার মুখের ব্রণ সহ মুখের যেকোন রকমের টুই লাগতো ভাব দূর করতে সাহায্য করবে। 

চলুন জেনে আসি গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং কিভাবে আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন।প্রথমেই বলব গোলাপ জল যে কোন ধরনের ত্বকের জন্যই ব্যবহৃত করা যায়। কারণ এটি আপনার ত্বকের যে কোন রকমের ব্রণ সহ দাগ দূর করে দিবে।
গোলাপ জলের স্প্রেঃ খাঁটি গোলাপ জল নিবেন এবং স্প্রে বোতল নিবেন নেওয়ার পরে একটি ফেসিয়াল ক্লিন যার এর মধ্যে ফেসিয়াল টিস্যু ব্যবহার করবেন। প্রথমে আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনার টা দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। তারপরে স্প্রে বোতলে থাকা খাঁটি গোলাপ জলটি আপনার মুখে স্প্রে করতে থাকবেন, ২০ সেকেন্ড ধরে। এবং ২০ সেকেন্ড পর আপনি অপেক্ষা করবেন এবং এরপরে টিস্যু দিয়ে আপনার মুখটা মুছে নিবেন। এতে করে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত মস্তেরাইজার গোলা দূর হয়ে যাবে। এভাবে আপনি এভাবে আপনি দিনে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করবেন।
লেবুর রস এবং গোলাপ জলঃ আপনি লেবুর রস এবং গোলাপ জল দিয়েও আপনি আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে পারেন। কিভাবে? প্রথমে আপনাকে এক চা চামচ লেবুর রস নিতে হবে এবং এক চা চামচ করে খাঁটি গোলাপ জল নিবেন এর সাথে তুলা রাখবেন কাছে এবং সাথে রাখবেন ফেসিয়াল ক্লিনজার। প্রথমে আপনি আপনার মুখ ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিবেন এরপর শুকিয়ে নিবেন। নেওয়ার পরে লেবুর রস এবং গোলাপ জলটি ভালোভাবে মিক্সচার করে নিবেন এরপরে একটি ছোট তোলার টুকরা নিয়ে সেটি সেই গোলাপ জলের পানি এবং লেবুর রসের মধ্যে ভিজিয়ে নিবেন, নিয়ে ধীরে ধীরে আপনার মুখে মাসাজ করতে থাকবেন। এবং এটি আপনি .১৫ মিনিট ধরে করবেন। করার পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে আপনার মুখটা ধুয়ে নিবেন। ব্রণ না কমা পর্যন্ত এটি আপনি সপ্তাহে তিন থেকে চারবার করবেন।
গ্লিসারিন এবং গোলাপ জলঃ এবং গোলাপ জলের মাধ্যমেও আপনি আপনার মুখের ব্রণ দূর করতে পারবেন। যদি বলেন কিভাবে? সর্ব প্রথমে আপনি ১ থেকে ২ কাপ গোলাপ জল পানি নিবেন। নেওয়ার পরে ১ - ৪ কাপ গ্লিসারিন নিবেন, এর সাথে নিবেন ফেসিয়াল ক্লিনজার এবং তোলা। আপনি আপনার মুখে প্রথমে ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন আপনার মুখ। এরপরে গ্লিসারিন এবং গোলাপজল একটি পাত্রে ভালোভাবে মিক্সচার করে নিবেন। এরপরে আপনার কাছে থাকা যে তোলা এই তোলাটি দিয়ে একটু একটু করে সে গোলাপ জলের পানি এবং গ্লিসারিন দুইটা ভিজিয়ে নিবেন, নিয়ে এটি আপনার মুখে ভালোভাবে মাসাজ করতে থাকবেন, এবং কিছুক্ষণ পর সেটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিবেন। ধুয়ে নেওয়া হয়ে গেলে এটি কিছুক্ষণের জন্য শুকিয়ে রাখবেন। এটি আপনি প্রত্যেকদিন .১ - ২ বার করবেন।
আশা করি গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায় এবং এর পাশাপাশি মুখের ব্রণ দূর করার উপায় গুলো জানতে পেরেছেন।

গোলাপ জলের অপকারিতা

গোলাপ জল, এটার কোন অপকারিতার দিক নেই। তবে আপনি যদি এর ব্যবহার সঠিক করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার জন্য কোন ক্ষতিকর হবে না। কিন্তু যদি আপনি এর সঠিক ব্যবহার না করে থাকেন তাহলে অবশ্যই এটি আপনার জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে। আসলে আমরা জানি প্রত্যেকটি জিনিসেরই একটি নিয়ম রয়েছে কেউ যদি এই নিয়মের বাহিরে, 

অর্থাৎ নিয়ম অতিক্রম করে যদি সে বেশি কিছু করতে যায় তাহলে অবশ্যই তার ক্ষতি সে নিজে ডেকে আনবে। সুতরাং গোলাপ জল এটি ঔষধি একটি ভেষজ বলা চলে। সুতরাং আপনি উপরে নিয়মে যেইভাবে বলা রয়েছে এই নিয়মে যদি আপনি গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন, 

তাহলে অবশ্যই আপনি গোলাপ জল দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়, এ সম্পর্কে ব্যবহার করলে বুঝতে পারবেন। এবং গোলাপ জলের কোন উপকারিতা আপনি দেখতে পাবেন না। যদি কিনা আপনি সঠিক নিয়মে সেটি ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বৃন্দ, নিত্যনতুন দিনের রূপচর্চার জন্য আমরা সকলেই গোলাপ জলের ব্যবহার করে থাকি। সুতরাং আপনি জানতে পারলেন যে গোলাপ জল ব্যবহার করে ঘরে বসেই কোন কেমিক্যাল ছাড়াই আপনি আপনার পথ সুন্দর রাখতে পারবেন। তবে এটা মনে রাখতে হবে সব সময় যে, গোলাপ জলের উপকারিতা কিন্তু অপরিসিম। 

কারণ এটি পূর্বে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এবং সকলেই এর একটি উপকারিতা লাভ করেছে। তবে এর পাশাপাশি গোলাপ জল খুবই উপকারী কিন্তু যদি আপনি সঠিক ব্যবহার না করতে পারেন, তাহলে এটি আপনার জন্য অপকারিতা হতে পারে। তবে ভয়ের কোন কারণ নেই গোলাপ জলের উপকারিতায় বেশি এর অপকারিতা কম রয়েছে। 

সুতরাং আপনি গোলাপ জল শুধু তাকেই নয় এটি চুলের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং আমাদের পোস্টটি আপনাদের কাছে যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আপনার পাশাপাশি আপনার বন্ধুর উপকারের জন্য সকলকে শেয়ার করে দিন, ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ব্লগার জাফর সাহেবের নিতিমালা মেনে কমেন্ট করুন

comment url